বহুপদী সংখ্যামালা (Polynomials)

Submitted by arpita pramanik on Fri, 04/22/2011 - 11:32

বহুপদী সংখ্যামালা (Polynomials)

বহুপদী সংখ্যামালা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের তার আগে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে । 

  1. সহগ ( Coefficient )
  2. পদ ( term ) এবং রাশি ( Expression )

সহগ (Coefficient) : সহগ হল কোনো বীজগাণিতিক রাশির উৎপাদক। কোনো বর্ণ বা অক্ষর দিয়ে সহগ গঠিত হলে তাকে বর্ণমূলক সহগ (Literal Coefficient) বলে । আবার কেবলমাত্র সংখ্যা দিয়ে সহগ গঠিত হলে তাকে বলে সংখ্যামূলক সহগ (Numerical Coefficient) .

যেমন 2abx2 বীজগাণিতিক পদটিতে 2 হল abx2 এর সংখ্যামূলক সহগ । 2a হল bx2 এর সহগ এবং 2ab হল x2 এর সহগ । আবার bcx পদটিতে bc হল x এর বর্ণমূলক সহগ । 

সহগ সাধারণত কোনো পদের বাঁদিকে লেখা হয়, যদি কোনো পদে সহগের উল্লেখ না থাকে, তবে সহগ হিসাবে 1 ধরতে হয় । যেমন x3 এর সহগ 1 কিংবা a2 এর সহগ হল 1 ।

পদ (Term) এবং রাশি (Expression) : পদ হল একটি সংখ্যা বা চলরাশি বা একাধিক সংখ্যা এবং চলরাশির গুণিতক । এক বা একাধিক পদ যদি যোগ বিয়োগ চিহ্ন দ্বারা মিলিত হয় তাকে রাশি বলে । 

যেমন a2+abc এই রাশিতে বিভিন্ন পদগুলি হল a2,ab,c এরা যথাক্রমে যোগ এবং বিয়োগের মাধ্যমে  a2+abc রাশিটি গঠন করেছে । আবার 4x3+5xy15xy2 এই রাশির বিভিন্ন পদগুলি হল 4x3,5xy,15xy2 এরা যথাক্রমে যোগ এবং বিয়োগের মাধ্যমে 4x3+5xy15xy2 রাশিটি গঠন করেছে ।

 

বহুপদী সংখ্যামালা (Polynomials) : সকল বীজগাণিতিক সংখ্যামালা যাদের চলের সূচক অখন্ড সংখ্যা তাদের বহুপদী সংখ্যামালা (Polynomials) বলে ।

যেমন x2,x3+8,x7+5x+8 ইত্যাদি এরা হল বহুপদী সংখ্যামালা কারণ এদের চল x এর সূচক গুলি অখন্ড। কিন্তু x+1,3x2+y,x23y ইত্যাদি বহুপদী সংখ্যামালা নয় কারণ এদের x এবং y চলের সূচক সর্বদা অখন্ড নয় । 

*****

Comments

Related Items

সামন্তরিকের ষষ্ঠ উপপাদ্য

কোনো চতুর্ভুজের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমদ্বিখন্ডিত করলে চতুর্ভুজটিকে সামান্তরিক বলে।

সামন্তরিকের পঞ্চম উপপাদ্য

পঞ্চম উপপাদ্য : সামান্তরিকের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমদ্বিখণ্ডিত করে।

সামন্তরিকের চতুর্থ উপপাদ্য

কোনো চতুর্ভুজের বিপরীত কোণগুলি সমান হলে , চতুর্ভুজটি একটি সামান্তরিক হবে।

সামন্তরিকের তৃতীয় উপপাদ্য

কোনো চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলি সমান হলে , চতুর্ভুজটি একটি সামান্তরিক হবে।

সামন্তরিকের দ্বিতীয় উপপাদ্য

কোনো সামান্তরিকের (i) প্রতিটি কর্ণ সামান্তরিককে দুটি সর্বসম ত্রিভুজে বিভক্ত করে (ii) বিপরীত বাহুগুলির দৈর্ঘ্য সামন। (iii) বিপরীত কোণ গুলি মানে সমান।