বিভিন্ন প্রকার রাশিমালা

Submitted by arpita pramanik on Sat, 08/29/2020 - 23:59

বিভিন্ন প্রকার রাশিমালা (Different types of Expression)

 

বীজগাণিতিক রাশিমালা ( Algebraical Expression ) দুইপ্রকার 

  1. সরল রাশি ( Simple Expression ) বা এক পদীয় ( Monomial )
  2. জটিল রাশি ( Complex Expression )

জটিল রাশি ( Complex Expression ) আবার তিন প্রকার 

  1. দ্বিপদরাশি ( Binomial )
  2. ত্রিপদরাশি ( Trinomial )
  3. বহুপদীয় রাশি ( Polynomial )
পোলো

 

সরল রাশি ( Simple Expression ) বা এক পদীয় ( Monomial ) : কোনো বীজগাণিতিক রাশিমালাতে কেবলমাত্র একটি পদ থাকলে তাকে সরল রাশি বলে । যেমন , 2x , a÷b , 4a×5cb ইত্যাদি । 

দ্বিপদরাশি ( Binomial ) : দুই পদযুক্ত রাশিমালাকে দ্বিপদরাশি (Binomial) বলে । যেমন , a+x , 2x2+3 , 5xyx3  ইত্যাদি । 

ত্রিপদরাশি ( Trinomial ) : কোনো রাশিমালাতে তিনটি পদ থাকলে তাকে ত্রিপদরাশি (Trinomial) বলে । যেমন , a+b+c , x4+5y2z , 2x3yz+x3 ইত্যাদি । 

বহুপদীয় রাশি ( Polynomial ) : তিনটির বেশি পদ বিশিষ্ট রাশিমালাকে বহুপদীয় রাশি (Polynomial) বলে । যেমন , x3+3xyz+5xy2 , 5z2+3y2x3z3y4xz+7xyz ইত্যাদি ।

মনে রাখতে হবে 8 , 1 , -5 , 10 ইত্যাদি এরাও কিন্তু বহুপদী সংখ্যামালা এদেরকে ধ্রূবক বহুপদী সংখ্যামালা (Constant Polynomial) বলে । কিন্তু (0) শূন্য কে শূন্য বহুপদী সংখ্যামালা (Zero Polynomial) বলে । 

 

অপেক্ষক এবং চলমানরাশি ( Function and Variables ) : 

কোনো বর্ণ দিয়ে প্রকাশিত বীজগাণিতিক রাহিমালাকে ওই বর্ণের অপেক্ষক বলা হয় এবং ওই বর্ণটিকে ওই অপেক্ষকের চলমান রাশি বলা হয় । অর্থাৎ অপেক্ষক নির্ণয়কারী বর্ণকেই চলমান রাশি বলা হয় । 

যেমন , x2+2x+1 এই রাশিকে x এর অপেক্ষক বলা হয় । আবার x হল এই অপেক্ষকের চলরাশি । 

x3+3x2y3xy2 এই রাশিকে x এবং y এর অপেক্ষক বলা হয় । আবার x এবং y হল এই অপেক্ষকের চলরাশি ।

অপেক্ষক সাধারণত প্রকাশ করা হয় f(x),g(x),ϕ(x),ψ(x) , f(x,y)ইত্যাদি সংকেত দ্বারা । 

অপেক্ষক প্রধাণত দুই প্রকার হয় 

  1. অখন্ড অপেক্ষক ( Integral function )
  2. মূলদ অপেক্ষক ( Rational function )

 

অখন্ড অপেক্ষক ( Integral function ) : যে অপেক্ষকের চলরাশিগুলি হরে অবস্থান করে না তাকে অখন্ড অপেক্ষক বলে। যেমন x2+2x+3

মূলদ অপেক্ষক ( Rational function ) : যে অপেক্ষকের চলরাশিগুলির সূচক ভগ্নাংশ হয় না তাকে মূলদ অপেক্ষক বলে। যেমন x3+2x2+3y , 5x4+6x3y2

 

বহুপদীয় রশির ঘাত হল প্রদত্ত চলরাশিগুলির সর্বোচ্চ ঘাত বা মাত্রা ( degree )।

যেমন f(x)=5x33x+8 এই বহুপদী সংখ্যামালার মাত্রা হল 3 . আবার g(x)=5x153x2+8 এই বহুপদী সংখ্যামালার মাত্রা হল 15 .

শূন্য ছাড়া যেকোনো বহুপদী সংখ্যামালার মাত্রা 0 . যেমন  8=8x0 , 5=5x0 . কিন্তু শূন্য বহুপদী সংখ্যামালার মাত্রা অসংজ্ঞাত। যেহেতু 0=0x0 , 0=0x10

*****

Comments

Related Items

রৈখিক সহ সমীকরণ

রৈখিক সহ সমীকরণ (Linear Simultaneous Equations)

সূচনা (Introduction)

ভেদক ও মধ্যবিন্দু সংক্রান্ত অংকের সমাধান

ভেদক ও মধ্যবিন্দু সংক্রান্ত অংকের সমাধান ( Prove and Solution of Transversal and Mid-Point Theorem Related Problems)

লেখচিত্রের সাহায্যে যেকোনো দুটি বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব নির্ণয়

মনে করি P ও Q দুটি বিন্দু উহাদের স্থানাঙ্ক হল যথাক্রমে [EQUATION-1] এবং [EQUATION-2] . P ও Q যোগ করা হল এখন আমাদের PQ এর দূরত্ব বা দৈর্ঘ্য নির্ণয় করতে হবে।

লেখচিত্রের সাহায্যে মূলবিন্দু থেকে যেকোনো বিন্দুর দূরত্ব নির্ণয়

মনে করি XOX' ও YOY' সরলরেখাদ্বয় লম্বভাবে পরস্পরকে O বিন্দুতে ছেদ করেছে। XOX' ও YOY' এইদুটি স্থানাঙ্ক রেখা বা Co-Ordinate axes এবং O হল মূলবিন্দু ( Origin ) ।

লেখচিত্রের সাহায্যে রৈখিক সহসমীকরণ সমাধান

মনে করি 3x + 4y = 25 এবং 4x - 3y = 0 দুটি সমীকরণ এদেরকে আমাদের সমাধান করতে হবে। দেখা যাচ্ছে দুটি সরলরেখার একটি সাধারণ বিন্দু হল (3,4) . অর্থাৎ দুটি সরলরেখা পরস্পরকে (3,4) বিন্দুতে ছেদ করেছে।