প্রশ্ন:- ’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?
১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল 'করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে' ।
ভারত ছাড়ো আন্দোলনে কৃষকদের ভূমিকা :- ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৮ই আগস্ট জাতীয় কংগ্রেসের বোম্বাই অধিবেশনে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাব পাশ হলে পরদিন ৯ই আগস্ট ভারত জুড়ে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল, মিছিল, বিক্ষোভ ও গণ অভ্যুত্থান শুরু হয় ।
(১) আসাম, বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ প্রভৃতি স্থানের কৃষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আন্দোলনে যোগ দেয় ।
(২) বাংলার মেদিনীপুর, বীরভূম, ঢাকা, ফরিদপুর, দিনাজপুর, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান প্রভৃতি জেলার কৃষকদের আন্দোলন গণ বিদ্রোহের রূপ পায় ।
ভারত ছাড় আন্দোলনে শ্রমিকদের ভূমিকা :-
(১) ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হলে ভারতের কমিউনিস্ট দল তাঁদের আদর্শ ও নীতির প্রতি আনুগত্য বশত এই আন্দোলনের বিরোধিতা করে । বিশ্বযুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তাঁরা উৎপাদন বন্ধ না করার আহ্বান জানায় । তা সত্ত্বেও ভারতের শ্রমিক শ্রেণিকে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বাইরে রাখা সম্ভব হয়নি ।
(২) গান্ধিজি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে কারারুদ্ধ করার প্রতিবাদে বোম্বাই, নাগপুর, আমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, কানপুর, দিল্লী, জামসেদপুর, মাদ্রাজ, ইন্দোর প্রভৃতি শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকরা এক সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট ও কর্মবিরতি পালন করে । আমেদাবাদ শিল্পাঞ্চলের কাপড় কলগুলিতে প্রায় তিন মাস ধরে ধর্মঘট চলে ।
(৩) শ্রমিক ধর্মঘটের জন্য টাটাদের জামসেদপুর লৌহইস্পাত কারখানার উৎপাদন প্রায় ১৩ দিন ধরে বন্ধ ছিল ।
*****