পুষ্টি, পুষ্টির পর্যায় ও পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা

Submitted by arpita pramanik on Thu, 02/21/2013 - 08:49

পুষ্টি, পুষ্টির পর্যায়ক্রম, পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা (Nutrition, Phase of Nutrition and Importance or Significance of Nutrition) :

পুষ্টি (Nutrition)

সংজ্ঞা:-  যে প্রক্রিয়ায় জীব পরিবেশ থেকে নানা খাদ্য উপাদান (পরিপাক) গ্রহন করে তাকে কোশীয় প্রোটোপ্লাজমে অঙ্গিভূত করে, জীবনের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া সমুহ সাম্পাদান করে ও স্বাভাবিকতা বজায় রাখে তাকে পুষ্টি (Nutrition) বলে ।  উদ্ভিদের পুষ্টি সংগঠিত হয় সংশ্লেষ ও আত্তীকরণের মাধ্যমে এবং প্রাণীর পুষ্টি সংগঠিত হয় খাদ্য গ্রহণ, খাদ্য পরিপাক, শোষণ, আত্তীকরণ ও বহিষ্করণের মাধমে ।

পুষ্টি এক প্রকার উপচিতি বিপাক কারণ এই প্রক্রিয়ায় জীবদেহের শুষ্ক ওজন বৃদ্ধি পায়  ।

 

উদ্ভিদ ও প্রাণীর পুষ্টির পর্যায়ক্রম (Phase of Nutrition)

উদ্ভিদের পুষ্টির পর্যায়:-

উদ্ভিদের পুষ্টি দুটি পর্যায়ে ঘটে— 1. সংশ্লেষ (Synthesis) 2. আত্তীকরণ (Assimilation) ।  উদ্ভিদের এইরকম পুষ্টিকে হলোফাইট (Holophytic) পুষ্টি বলে । 

 

প্রাণীর পুষ্টির পর্যায়:-

প্রাণীর পুষ্টি পাঁচটি পর্যায়ে ঘটে— 1. খাদ্যগ্রহণ (Ingestion),  2. খাদ্য পরিপাক (Digestion),  3. শোষণ (Absorption),   4. আত্তীকরণ (Assimilation) এবং  5. বহিষ্করণ (Egestion) । প্রাণীদের এইরকম পুষ্টিকে হলোজোয়িক (Holozoic) পুষ্টি বলে । 

 

পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা (Importance or Significance of Nutrition)

জীব দেহে পুষ্টির গুরুত্ব একাধিক —

১৷ বৃদ্ধি, গঠন ও ক্ষয়পূরণ:- পুষ্টির ফলে জীব দেহে বৃদ্ধি, গঠন ও ক্ষয়পূরণ সম্ভব ।

২৷ শক্তি অর্জন:- পুষ্টির মূল উৎস হল খাদ্য । খাদ্যের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে শক্তি সঞ্চিত থাকে । সুতরাং শক্তি অর্জনের জন্য পুষ্টির গুরুত্ব অপরিসীম ।

৩৷ শারীরবৃত্তীয় কার্য পরিচালনা:- পুষ্টির মাধ্যমে স্থৈতিক শক্তি ব্যবহারযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে জীবদেহে নানাবিধ শারীরবৃত্তীয় কার্যপ্রণালী সম্পান্ন হয় ।

৪৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:- পুষ্টির মাধ্যমে জীবদেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।

৫। ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য সঞ্চয়:- পুষ্টির মাধ্যমেই জীবদেহের কোশে ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য সঞ্চিত হয় ।  

৬। তাপ উত্পাদন:- প্রাণীদেহে তাপ উত্পাদন ও সংরক্ষণেও পুষ্টির গুরুত্ব আছে ।  

*****

Related Items

আরশোলার গমন

চলা ফেরা বা হাঁটার জন্য আরশোলার তিন জোরা সন্ধিল পদ বর্তমান। আরশোলার পৃষ্ঠ দেশে দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডকে মোট দু জোরা ডানা আছে। আরশোলার দু জোরা ডানার মধ্যে প্রথম ডানা জোরা শক্ত ও পুরু। তারা উড্ডয়নে সাহায্য করে না। দ্বিতীয় ডানা জোরা স্বচ্ছ ও পাতলা ...

কেঁচোর গমন

প্রাণীর নাম – কেঁচো, গমন অঙ্গের নাম, গমনে সাহায্যকারী পেশীর নাম, গমন পদ্ধতির নাম, গমন পদ্ধতি - কেঁচোর দেহ খণ্ডতলের অঙ্গীয় তলে অবস্থিত আণুবীক্ষণিক এক আয়তন কণ্টক সদৃশ্য অঙ্গ হল সিটি । সিটির এক প্রান্ত দেহ অভ্যন্তরস্ত থলির মধ্যে থাকে। ...

অ্যামিবার গমন

প্রাণীর নাম - অ্যামিবা, গমন অঙ্গের নাম, গমন পদ্ধতির নাম, গমন পদ্ধতি - ক্ষনপদ হল অ্যামিবার কোষ পর্দা সমূহ দেহ প্রোটোপ্লাজমের অংশ বিশেষ যা নলাকারে প্রসারিত হয়। গমনের সময় ক্ষনপদ সামনের দিকে প্রসারিত হয় এবং কোনো কঠিন বস্তুর সঙ্গে ক্ষনপদটিকে দৃঢ় ভাবে আবদ্ধ করে।

উদ্ভিদ দেহে ন্যাস্টিক চলন

উদ্ভিদের স্থায়ী অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের তীব্রতা বা ব্যাপ্তি অনুসারে হয় , তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে। ন্যাস্টিক চলনের প্রকারভেদ , ফটোন্যাস্টি, থার্মোন্যাস্টি, নিকটিন্যাস্টি, কেমোন্যাস্টি, সিসমোন্যাস্টি। ...

উদ্ভিদ দেহে ট্রপিক চলন

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসরন করে হয় তখন তাকে ট্রপিক চলন বা দিকনির্ণীত চলন বা ট্রপিজম বলে। ট্রপিক চলনের প্রকারভেদ, ফটোট্রপিক চলন, ফটোট্রপিক চলনের পরীক্ষা, জিওট্রপিক চলন, জিওট্রপিক চলনের পরীক্ষা, হাইড্রোট্রপিক চলন ...