মানব দেহে কার্বোহাইড্রেটের কাজ ও গুরুত্ব (Function and importance of Carbohydrate in human body)
কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrate)
সংজ্ঞা :- কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত যে জৈব যৌগে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন 2:1 অনুপাতে থাকে তাকে কার্বোহাইড্রেট বলে।
কার্বোহাইড্রেটের বৈশিষ্ট্য (Feature of Carbohydrate)
১৷ এই খাদ্য কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত।
২৷ এই খাদ্যে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের অনুপাত 2:1 ।
৩৷ এদের একক হল শর্করা [tex]\left[ {{C_n}{{\left( {{H_2}O} \right)}_n}} \right][/tex]
৪৷ এই খাদ্য অ্যামাইলোলাইটিক উৎসেচক দ্বারা বিশ্লিষ্ট হয়।
কার্বোহাইড্রেটের শ্রেণীবিভাগ (Classifition of Carbohydrate)
শর্করা অনুর উপস্থিতির ওপর ভিত্তি করে কার্বোহাইড্রেটকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
শর্করার শ্রেণীবিভাগ |
শর্করা অনুর সংখ্যা |
উদাহরণ |
১৷ মনোস্যাকারাইড |
১ টি |
গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ ও গ্যালাকটোজ |
২৷ ডাই স্যাকারাইড
|
২ টি |
ল্যাকটোজ, মলটোজ ও সুক্রোজ |
৩৷ পলিস্যাকারাইড
|
একাধিক |
শ্বেতসার, সেলুলোজ ও গ্লাইকোজেন (প্রাণীজ) |
কার্বোহাইড্রেটের উদ্ভিদজ্য উৎস (Sources of Carbohydrate)
১৷ চাল, গম, ভুট্টা, আলু, ওল, কচু ইত্যাদি থেকে শ্বেতসার পাওয়া যায়।
২৷ খেঁজুর, আঙুর, আপেল ইত্যাদি থেকে গ্লুকোজ পাওয়া যায়।
৩৷ পাকা আম, কলা, কমলালেবু ইত্যাদি থেকে ফ্রুকটোজ পাওয়া যায়।
৪৷ মিছরি, চিনি,গুড় ইত্যাদি থেকে সুক্রোজ পাওয়া যায়।
৫৷ শাকসবজি, বেল, তরমুজ, থোড় ইত্যাদি থেকে সেলুলোজ।
কার্বোহাইড্রেটের প্রাণীজ উৎস (Sources of Carbohydrate)
১৷ দুধে দুগ্ধ শর্করা বা ল্যাকটোজ পাওয়া যায়।
২৷ পাঁঠার যকৃৎ ও পেশীতে থাকে গ্লাইকোজেন।
শর্করা খাদ্যের গুরুত্ব (Importance of Carbohydrate)
১৷ শক্তি উৎপাদনে - কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্যের প্রধান কাজ হল শক্তি উৎপাদন করা। 1 গ্রাম কার্বোহাইড্রেটের সম্পূর্ণ দহনে 4.0 cal তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।
২৷ কোষ্টবদ্ধতা দূরীকরণে - শাকসবজিতে সঞ্চিত সেলুলোজ জাতীয় খাদ্য কোষ্টবদ্ধতা দূর করে।
৩৷ রক্ত শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে - প্রাণীদেহের যকৃৎ ও পেশীতে সঞ্চিত গ্লাইকোজেন প্রয়োজনে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
৪৷ বিশেষ গুরুত্ব - শর্করা খাদ্য প্রোটিন ও ফ্যাট সংশ্লেষে অংশ গ্রহন করে। এই জাতীয় খাদ্য প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে। সেই কারণে শর্করা খাদ্য কে “ প্রোটিন বাঁচোয়া খাদ্য “ বলে।
তাপন মূল্য (Calorific value) কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যবস্তুর সম্পূর্ণ জারণ হলে যে পরিমাণ তাপশক্তি উৎপন্ন হয়, তাকে ঔ খাদ্যের তাপন মূল্য(Calorific value) বলে ।
*****
- 24088 views