এশিয়ার দক্ষিণ বাহিনী নদীগুলি

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 12/16/2014 - 12:58

এশিয়ার দক্ষিণ বাহিনী নদীগুলির গতিপথ : এশিয়া মহাদেশের উল্লেখযোগ্য দক্ষিণ বাহিনী নদীগুলি হল গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, সিন্ধু, মেকং, ইরাবতী, সালুয়েন, টাইগ্রিস, ইউফ্রেটিস

(১) গঙ্গা : গঙ্গা নদী হিমালয় পর্বত থেকে উৎপন্ন হওয়ার পর দক্ষিণ পূর্বে প্রবাহিত হয়ে মোহনার কাছে ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে একসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে । যমুনা, শোন, চম্বল, গন্ডক, ঘর্ঘরা প্রভৃতি গঙ্গার উল্লেখযোগ্য উপনদী । গঙ্গা নদীর দৈর্ঘ্য ২,৪০০ কিলোমিটার ।

(২) ব্রহ্মপুত্র : ব্রহ্মপুত্র নদ তিব্বতের মানস সরোবরের কাছ থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্বদিকে বয়ে গিয়ে হিমালয়ের পূর্ব সিমান্তে এসে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে । এর দৈর্ঘ্য ২,৭২০ কিমি ।

(৩) সিন্ধু : সিন্ধু নদ তিব্বতের মানস সরোবরের কাছ থেকে উৎপন্ন হয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে পরে দক্ষিণে বেঁকে গিয়ে আরব সাগরে পতিত হয়েছে । সিন্ধু নদের দৈর্ঘ্য ২,৮০০ কিমি ।

(৪) মেকং : চিন সাধারণতন্ত্রের অন্তর্গত কুয়েনলুন পর্বতের দক্ষিণ দিকে ইয়াংসি কিয়াং নদীর উৎসের কাছে থেকে উৎপন্ন হয়ে মেকং নদীটি থাইল্যান্ডের পূর্ব দিক দিয়ে দক্ষিণ-পূর্বে বয়ে গিয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে পড়েছে ।

(৫) ইরাবতী : ইরাবতী নদী মায়ানমারের উত্তরে ইউনান মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে মার্তাবান উপসাগরে পতিত হয়েছে ।

(৬) সালুয়েন : সালুয়েন নদী মায়ানমারের উত্তরে ইউনান মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে মার্তাবান উপসাগরে পতিত হয়েছে ।

(৭) টাইগ্রিস : টাইগ্রিস নদী আর্মেনীয় মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে মোহনার কাছে ইউফ্রেটিস নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে ও এরপর ওই মিলিত নদী প্রবাহ সাত-এল-আরব নামে পারস্য উপসাগরে পড়েছে ।

(৮) ইউফ্রেটিস : ইউফ্রেটিস নদী আর্মেনীয় মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে মোহনার কাছে টাইগ্রিস নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে ও তারপর ওই মিলিত নদী প্রবাহ সাত-এল-আরব নামে পারস্য উপসাগরে পড়েছে ।

*****

Related Items

কাবেরী নদী (The Kaveri)

কাবেরী নদী (The Kaveri) : কর্ণাটক রাজ্যের তালাকাভেরি উচ্চভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে কাবেরী নদী কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । কাবেরী নদীর দৈর্ঘ্য ৭৬৫ কিমি.

কৃষ্ণা নদী (The Krishna)

কৃষ্ণা নদী (The Krishna) : পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মহাবালেশ্বরের শৃঙ্গের কিছুটা উত্তরে প্রায় ১৪০০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হওয়ার পর কৃষ্ণা নদী দক্ষিণ-পূর্বে তেলেঙ্গানা ও অন্ধপ্রদেশ রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিশাল বদ্বীপ সৃষ্টি করে

গোদাবরী নদী (The Godavari)

গোদাবরী নদী (The Godavari) : গোদাবরী নদী 'দক্ষিণ ভারতের গঙ্গা' নামে পরিচিত । মহারাষ্ট্রের ব্রম্ভগিরি পাহাড়ের ত্র্যম্বক শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে এবং পরে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে গোদাবরী নদী মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ

মহানদী (The Mahanadi)

মহানদী (The Mahanadi) : ছত্তিসগড় রাজ্যের রায়পুর জেলার দক্ষিণাংশের সিয়াওয়া মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্য অতিক্রম করার পর বদ্বীপ সৃষ্টি করে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । মহানদী

তাপী নদী (The Tapti)

তাপী বা তাপ্তি নদী (The Tapti) : মধ্যপ্রদেশের মহাদেব পর্বতের মুলতাই উচ্চভূমির প্রায় ৭৭০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হয়ে তাপী নদী মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের ওপর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে সাতপুরা ও অজন্তার মধ্যবর্তী সংকীর্ণ উপত