ভারতের কৃষি

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 03/03/2012 - 17:54

ভারতের উৎপন্ন কৃষিজ ফসল (Production of Agricultural Crops) : ভারতের উৎপন্ন কৃষিজ ফসলকে দুটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা যায়, (ক) ফসল রোপণ ও তোলার সময় অনুসারে এবং (খ) উৎপন্ন ফসলের ব্যবহার অনুসারে ।

(ক) ফসল রোপণ ও তোলার সময় অনুসারে : চাষের সময় ও ফসল তোলার সময় অনুযায়ী ভারতের কৃষিজ ফসলগুলিকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়; (i) রবি ফসল এবং (ii) খারিফ ফসল ।

(i) রবি ফসল (Rabi Crops) : রবি শস্যের অর্থ হল ‘শীতকালীন ফসল’ । প্রধানত জলসেচের উপর নির্ভর করে শীতকালে যেসব ফসলের চাষ করা হয় সেইসব ফসল কে রবি ফসল বলে । গম, যব, আলু বিভিন রকমের তৈলবীজ ও ডাল রবি ফসলের উদাহরণ ।

(ii) খারিফ ফসল (Kharif Crops) : খারিফ শস্যের অর্থ হল বর্ষাকালীন ফসল । বর্ষাকালে বৃষ্টির জলের উপর নির্ভর করে যেসব ফসলের চাষ করা হয়, সেইসব ফসলকে খারিফ ফসল বলে । ধান, পাট, ভুট্টা, আখ, জোয়ার, বাজরা, কার্পাস প্রভৃতি খারিফ ফসলের উদাহরণ ।

(খ) উৎপন্ন ফসলের ব্যবহার অনুসারে : ব্যবহারের প্রকৃতি অনুসারে ভারতের উৎপন্ন কৃষিজ ফসলকে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা যায়;  (i) খাদ্যশস্য,  (ii) রোপনাত্মক বাগিচা ফসল (iii) অর্থকরী ফসল ও (iv) অন্যান্য ফসল ।

(i) খাদ্য শস্য (Food grains) : ধান, গম, ভুট্টা, জোয়ার, বাজরা, রাগী প্রভৃতি ।

(ii) রোপনাত্মক বাগিচা ফসল (Plantation Crops) : একবার রোপণের পর যেসব গাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে ফসল পাওয়া যায় তাদের রোপনাত্মক বাগিচা ফসল বলে । যেমন চা, কফি তামাক, নানা রকমের ফল প্রভৃতি ।

(iii) অর্থকরী ফসল (Cash crop) : যেসব ফসল বিক্রি করে কৃষকদের অর্থাগম হয় তাকে অর্থকরী ফসল বলে । পাট, তুলা প্রভৃতি তন্তু জাতীয় ফসল, ডাল, খাদ্যশস্য বা বাগিচা ফসল বিক্রি করেও অর্থাগম হতে পারে ।

(iv) অন্যান্য ফসল (Other crops) : আখ, বিভিন্ন রকমের তৈলবীজ প্রভৃতি ।

*****

Related Items

কাবেরী নদী (The Kaveri)

কাবেরী নদী (The Kaveri) : কর্ণাটক রাজ্যের তালাকাভেরি উচ্চভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে কাবেরী নদী কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । কাবেরী নদীর দৈর্ঘ্য ৭৬৫ কিমি.

কৃষ্ণা নদী (The Krishna)

কৃষ্ণা নদী (The Krishna) : পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মহাবালেশ্বরের শৃঙ্গের কিছুটা উত্তরে প্রায় ১৪০০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হওয়ার পর কৃষ্ণা নদী দক্ষিণ-পূর্বে তেলেঙ্গানা ও অন্ধপ্রদেশ রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিশাল বদ্বীপ সৃষ্টি করে

গোদাবরী নদী (The Godavari)

গোদাবরী নদী (The Godavari) : গোদাবরী নদী 'দক্ষিণ ভারতের গঙ্গা' নামে পরিচিত । মহারাষ্ট্রের ব্রম্ভগিরি পাহাড়ের ত্র্যম্বক শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে এবং পরে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে গোদাবরী নদী মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ

মহানদী (The Mahanadi)

মহানদী (The Mahanadi) : ছত্তিসগড় রাজ্যের রায়পুর জেলার দক্ষিণাংশের সিয়াওয়া মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্য অতিক্রম করার পর বদ্বীপ সৃষ্টি করে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । মহানদী

তাপী নদী (The Tapti)

তাপী বা তাপ্তি নদী (The Tapti) : মধ্যপ্রদেশের মহাদেব পর্বতের মুলতাই উচ্চভূমির প্রায় ৭৭০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হয়ে তাপী নদী মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের ওপর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে সাতপুরা ও অজন্তার মধ্যবর্তী সংকীর্ণ উপত