প্রশ্ন :- ক্ষুদিরাম বসু ও লালা হরদয়ালকে মনে রাখা হয় কেন ?
ক্ষুধিরাম বসুকে মনে রাখার কারণ :
(১) বিংশ শতকের প্রথম ভাগের বিপ্লবী আন্দোলনে যুগান্তর দলের সক্রিয় সদস্য ক্ষুদিরাম বসুর অবদান চিরস্মরণীয় ।
(২) এই সময় বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দমন মূলক কার্যকলাপের জন্য যুগান্তর দল কলকাতার চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ।
(৩) যুগান্তর দলের দুই তরুণ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকীকে কিংসফোর্ডকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়, কিন্তু নিরাপত্তার কারণে কিংসফোর্ড এই সময় বিহারের মজঃফরপুরে বদলি হয়ে যান । সেখানেই তাঁকে বোমা মেরে হত্যা করতে গিয়ে ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি ব্যর্থ হন, ক্ষুদিরাম পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান এবং বিচারে তাঁর ফাঁসি হয় ।
(৪) অগ্নিযুগের প্রথম শহিদ ক্ষুদিরামের নির্ভীক দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ বাংলার যুবসমাজকে বিপ্লবী মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেছিল । সেই জন্যই তাঁকে মনে রাখা হয় ।
লালা হরদয়ালকে মনে রাখার কারণ :
(১) সাহারানপুর এবং রুরকি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিপ্লবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত লালা হরদয়াল ছিলেন পাঞ্জাবের বিপ্লবী আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ।
(২) ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁর নেতৃত্বে পাঞ্জাবে বিপ্লবী কার্যকলাপ ব্যাপক আকার ধারণ করে । সেই সময় তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে ‘বয়কট’ ও 'প্রত্যক্ষ সংগ্রামের' ডাক দেন ।
(৩) ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারত ছেড়ে বিদেশে চলে যান এবং ১৯১৩ সালে আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে গদর পার্টির প্রতিষ্ঠা করেন । ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করে যে কোনোও উপায়ে ভারতের স্বাধীনতা অর্জন করাই ছিল এই দলের লক্ষ্য । লালা হরদয়ালের দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের আদর্শ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল । এইজন্য তাকে মনে রাখা হয় ।
*****