লেখচিত্রের সাহায্যে যেকোনো দুটি বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব নির্ণয়

Submitted by arpita pramanik on Mon, 08/31/2020 - 21:39

লেখচিত্রের সাহায্যে যেকোনো দুটি বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব নির্ণয় 

মনে করি P ও Q দুটি বিন্দু উহাদের স্থানাঙ্ক হল যথাক্রমে (x1,y1) এবং (x2,y2) . P ও Q যোগ করা হল এখন আমাদের PQ এর দূরত্ব বা দৈর্ঘ্য নির্ণয় করতে হবে । Distance Between Two Points

এখন P ও Q বিন্দু থেকে OX এর উপরে PN ও QM দুটি লম্ব অঙ্কন করা হল এবং P বিন্দু থেকে QM এর উপর PR লম্ব টানা হল । 

এখন PR ।। OX ( যেহেতু PR এবং OX দুটোই QM এর লম্ব )

অতএব PNMR একটি আয়তক্ষেত্র । 

অতএব PR = NM = OM - ON = x2x1 ( যেহেতু ON=x1 এবং OM=x2 )

QR = QM - RM = QM - PN = y2y1 ( যেহেতু PN=y1 এবং QM=y2 )

এখন PQR হল সমকোণী ত্রিভুজ। অতএব পিথাগোরাসের উপপাদ্য প্রয়োগ করে পাই  

PQ2=PR2+QR2PQ=PR2+QR2=(x2x1)2+(y2y1)2

সুতরাং P(x1,y1) এবং Q(x2,y2) দুটি বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব হল (x2x1)2+(y2y1)2 একক। যেহেতু দূরত্ব কখনো ঋণাত্মক হয়না সেই কারণেই সবসময় ধনাত্মক মান ধরা হবে । 

*****

Comments

Related Items

উৎপাদকে বিশ্লেষণ (Factorisation)

মনে করি x রাশির যদি সর্বোচ্চ ঘাত 2 হয় সেই রাশিকে দ্বিঘাত রাশি বলে। যেমন Equation1 এই রাশির সর্বোচ্চ ঘাত 2 . এর তিনটি পদের সোহাগ যথাক্রমে 1 , 3 , 2. এবার এই মধ্যে সোহাগ 3 কে বিশ্লেষণ করে কিরূপে রাশিটিকে উৎপাদকে বিশ্লেষণ

স্থানাঙ্ক জ্যামিতি : দূরত্ব নির্ণয়

বীজগণিতের সাহায্যে বিভিন্ন জ্যামিতিক আকারের ধারণা গড়ে ওঠাকে স্থানাঙ্ক জ্যামিতি ( Co-ordinate Geometry ) বলা হয়। অর্থাৎ স্থানাঙ্ক জ্যামিতিতে বীজগণিতের সাহায্যে জ্যামিতির ধারণা করতে পারি তাই স্থানাঙ্ক জ্যামিতি ব্যাপকতরভাবে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ব্যবহার করা হয়।

সরল সুদ কষার উদাহরণ ও সমাধান

সমস্যাটিতে তিনটি বিষয় আছে বলে এখানে বহুরাশিক পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে । যথা (i) আসল ও মোট সুদের মধ্যে এবং (ii) সময় ও মোট সুদের মধ্যে । (i) সময় অপরিবর্তিত আছে ধরে নিলে, আসলের সঙ্গে মোট সুদের সরল সম্পর্ক । এখানে আসল বেড়েছে তাই সুদ বাড়বে অর্থাৎ ভগ্নাংশটি

লাভ-ক্ষতি সংক্রান্ত অঙ্কের সমাধান

লাভ-ক্ষতি সংক্রান্ত অংকের সমাধান (Solution of Profit and Loss ), বিভিন্ন পরীক্ষায় আগত প্রশ্নপত্র আলোচনা করা হলো

লাভ-ক্ষতি (Profit and Loss)

ক্রয়মূল্য ( Cost Price ): যে মূল্যের বিনিময়ে কোনো জিনিস ক্রয় বা কেনা হয় তাকে ওই জিনিসের ক্রয়মূল্য বলে। উৎপাদন মূল্য : কোনো জিনিস তৈরি করতে যে টাকা খরচ হয় তাকে ওই জিনিসের উৎপাদন মূল্য বলে।