‘সেফটি ভালভ তত্ত্ব’ কী ? এই তত্ত্ব কী মেনে নেওয়া যায় ?

Submitted by avimanyu pramanik on Sun, 01/09/2022 - 15:01

প্রশ্ন:- ‘সেফটি ভালভ তত্ত্ব’ কী ? এই তত্ত্ব কী মেনে নেওয়া যায় ?

অনেকে অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত ইংরেজ কর্মচারীকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রকৃত উদ্যোক্তা বলে মনে করেন । জাতীয় কংগ্রেস গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে হিউম বলেছিলেন, ‘সেই সময় ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এক ষড়যন্ত্র চলছিল । অবিলম্বে যদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হত, তাহলে ভারতে হিংসাত্মক বিপ্লব ছিল অনিবার্য’। ধ্বংসাত্মক শক্তির প্রতিরোধক সেফটি ভালভ (Safety Valve) হিসাবে তিনি জাতীয় কংগ্রেস গঠন করার পরিকল্পনা করেন, একেই ‘সেফটি ভালভ তত্ত্ব’ বলা হয় । তিনি মনে করেছিলেন যে, একমাত্র ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মতো কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারলে হিংসাত্মক অভ্যুত্থান নিবারণ করা সম্ভব হবে ।

হিউমের ‘সেফটি ভালভ তত্ত্ব’ই যে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার মূল কারণ তা বলা যায় না । জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার মূলে ছিল স্বদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য রাজনৈতিক চেতনাসম্পন্ন ভারতীয় নেতাদের প্রবল আকাঙ্খা । যে সব ভারতীয় নেতা হিউমের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলেন, তাঁরা ছিলেন উন্নত চরিত্রের দেশপ্রেমিক এবং তাঁদের উদ্যোগেই জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ।

*****

Comments

Related Items

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং চিকিৎসাবিদ্যা চর্চার বিকাশ

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং চিকিৎসাবিদ্যা চর্চার বিকাশ:-

ঊনিশ শতকের সূচনালগ্নে ভারতে প্রাচীন দেশীয় চিকিৎসা-ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল । পরবর্তীকালে ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক দেশীয় চিকিৎসা-শাস্ত্রে শিক্ষাদানের পরিবর্তে আধু

পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে ডেভিড হেয়ার ও জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন -এর ভূমিকা

উনিশ শতকে যে সব মানুষ বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ডেভিড হেয়ার । ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্কটল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন । ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় এসে ঘড়ির ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন । ঔ

পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে রাজা রামমোহন রায় ও রাজা রাধাকান্ত দেব -এর ভূমিকা

ঊনিশ শতকে বাংলায় আধুনিক পাশ্চাত্যশিক্ষার প্রসারে রাজা রামমোহন রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন । রাজা রামমোহন রায় মনে করতেন আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার ওপর ভিত্তি করেই নতুন ভারত গড়ে উঠবে । তিনি নিজের খরচে ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় 'ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি' নামে

নারীশিক্ষা ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

ঊনিশ শতকের সূচনালগ্ন পর্যন্ত নানা রকম সামাজিক বিধিনিষেধের ফলে বাংলায় নারীশিক্ষার বিশেষ প্রসার ঘটেনি । এরপর থেকে উনিশ শতকে ভারতে নারীশিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে কিছু সমষ্টিগত ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ শুরু হয় । সমষ্টিগত উদ্যোগে নব্যবঙ্গীয় গোষ্ঠী, খ্রিস্টান মিশনারি এবং ব্রাহ্মসমা

ভারতে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার

অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠা করলেও প্রথমদিকে তারা এদেশে ইংরেজি ও পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি । ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজদের আইন-আদালত গড়ে উঠতে শুরু করে । ইংরেজ বণিকরা নানা জায়গায