পরাধীন ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনে বিনায়ক দামোদরের অবদান লেখ ।

Submitted by avimanyu pramanik on Mon, 01/10/2022 - 21:33

প্রশ্ন:  পরাধীন ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনে বিনায়ক দামোদরের অবদান লেখ ।

বিপ্লবী আন্দোলনে বিনায়ক দামোদর সাভারকরের ভূমিকা—

(১) মহারাষ্ট্রের বিপ্লবী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন বিনায়ক দামোদর সাভারকর ।

(২) তিনি ‘মিত্রমেলা’ নামে এক সমিতি গঠন করে তরুণদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়াসী হন । তরুণদের অস্ত্রবিদ্যায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারেও তিনি যত্নশীল ছিলেন ।

(৩) ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘অভিনব ভারত’ নামে এক বিপ্লবী  সমিতি গঠন করে ভারতের নানা স্থানে শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে দেন ।

(৪) ১৯০৬ সালে বিনায়ক লন্ডনে চলে যান এবং গোপনে ভারতে অস্ত্রশস্ত্র পাঠাতে থাকেন ।

(৫) ইতিমধ্যে তাঁর অনুগামী মদনলাল ধিংড়া ইংল্যান্ডে স্যার কার্জন উইনিকে হত্যা করেন । এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে সাভারকরকে গ্রেফতার করা হয় । বিচারে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয় ।

৬) দীর্ঘ ছাব্বিশ বছর কারাবাসের পর তিনি মুক্ত হলে তাঁকে 'বীর সাভারকর’ আখ্যা দেওয়া হয় ।

*****

Comments

Related Items

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং চিকিৎসাবিদ্যা চর্চার বিকাশ

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং চিকিৎসাবিদ্যা চর্চার বিকাশ:-

ঊনিশ শতকের সূচনালগ্নে ভারতে প্রাচীন দেশীয় চিকিৎসা-ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল । পরবর্তীকালে ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক দেশীয় চিকিৎসা-শাস্ত্রে শিক্ষাদানের পরিবর্তে আধু

পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে ডেভিড হেয়ার ও জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন -এর ভূমিকা

উনিশ শতকে যে সব মানুষ বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ডেভিড হেয়ার । ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্কটল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন । ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় এসে ঘড়ির ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন । ঔ

পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে রাজা রামমোহন রায় ও রাজা রাধাকান্ত দেব -এর ভূমিকা

ঊনিশ শতকে বাংলায় আধুনিক পাশ্চাত্যশিক্ষার প্রসারে রাজা রামমোহন রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন । রাজা রামমোহন রায় মনে করতেন আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার ওপর ভিত্তি করেই নতুন ভারত গড়ে উঠবে । তিনি নিজের খরচে ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় 'ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি' নামে

নারীশিক্ষা ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

ঊনিশ শতকের সূচনালগ্ন পর্যন্ত নানা রকম সামাজিক বিধিনিষেধের ফলে বাংলায় নারীশিক্ষার বিশেষ প্রসার ঘটেনি । এরপর থেকে উনিশ শতকে ভারতে নারীশিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে কিছু সমষ্টিগত ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ শুরু হয় । সমষ্টিগত উদ্যোগে নব্যবঙ্গীয় গোষ্ঠী, খ্রিস্টান মিশনারি এবং ব্রাহ্মসমা

ভারতে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার

অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠা করলেও প্রথমদিকে তারা এদেশে ইংরেজি ও পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি । ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজদের আইন-আদালত গড়ে উঠতে শুরু করে । ইংরেজ বণিকরা নানা জায়গায