দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সমাপ্তি ও ভারতীয় রাজনীতি

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 04/24/2012 - 09:47

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সমাপ্তি ও ভারতীয় রাজনীতি :

১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি এবং আজাদ হিন্দ বাহিনীর অভিযান ভারতে রাজনৈতিক পালাবদলের নতুন পটভূমি তৈরি করে । মহাত্মা গান্ধি জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানালে ব্রিটিশ সরকার তাতে গুরুত্ব না দেওয়ায় গান্ধিজির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় । পক্ষান্তরে মহম্মদ আলি জিন্নার পাকিস্তানের দাবীও কংগ্রেস-মুসলিম লিগ সমঝোতার সমস্ত সম্ভাবনা বিনষ্ট হয় । সারা দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা, রক্তপাত পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তোলে । এই পরিস্থিতিতে রাজা চক্রবর্তী গোপালাচারী কিছু সমাধান সূত্রের প্রস্তাব দেন । এই প্রস্তাব 'মি. আর ফর্মুলা' নামে পরিচিত । এই ফর্মুলা অনুযায়ী

(ক) মুসলিম লীগ জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ ভাবে ভারতের স্বাধীনতার দাবি জানাবে এবং একই সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সামিল হবে ।

(খ) মুসলিম অধ্যুষিত উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের মানুষজন গণভোটের মাধ্যমে স্থির করবে তারা ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকবে কি না ।

(গ) বিভাজনের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত নতুন রাষ্ট্রের স্বার্থ সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে ।

(ঘ) ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ক্ষমতা হস্তান্তরের পরই এই শর্তগুলি প্রযুক্ত হবে ।

বলা বাহুল্য, মুসলিম লীগ মি. আর ফর্মুলা বর্জন করায় অঙ্কুরেই এটি বিনষ্ট হয় ।

*****

Related Items

অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি (Anti-Circular Society)

অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি (Anti-Circular Society):-

বাঙালিদের ব্রিটিশ বিরোধিতাকে দুর্বল করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসক লর্ড কার্জন প্রশাসনিক অজুহাত দেখিয়ে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ২০শে জুলাই সরকারিভাবে বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা ঘোষণা কর

বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন পর্বে ছাত্র আন্দোলন

বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন পর্বে ছাত্র আন্দোলন (Participation of Students in the anti-Partition Movement of Bengal):-

বাংলার মানুষদের ব্রিটিশ বিরোধিতাকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসক লর্ড কার্জন প্রশাসনিক অজুহাত দেখিয়ে ১৯০৫ খ্র

বিশ শতকের ভারতে ছাত্র আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

বিশ শতকের ভারতে ছাত্র আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (Students' Movements in Twentieth Century):-

বিশ শতকের ভারতে ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনগুলির মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চারটি জাতীয় আন্দোলন হল—(i) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশি আন্দ

আজাদ হিন্দ ফৌজের নারীবাহিনী

আজাদ হিন্দ ফৌজের নারীবাহিনী (Women's Wing of the Ajad Hind Fauj):-

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ভারতকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে রাসবিহারী বসু জাপানে গিয়ে সেখানে তিনি বিপ্লবীদের সংগঠিত করার চেষ্টায় ছিলেন । ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের

কল্পনা দত্ত (Kalpana Datta)

কল্পনা দত্ত (Kalpana Datta):-

বিশ শতকে ব্রিটিশ-বিরোধী বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ব্যর্থতার ফলে সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে ওঠে । সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে বাংলার নারীসমাজ প্রথমদিকে পরোক্ষভাবে অংশ নিতে শুরু করলেও ব