জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড (The Jallianwalabagh Massacre)

Submitted by avimanyu pramanik on Mon, 04/23/2012 - 17:20

জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড (The Jallianwalabagh Massacre) :

রাউলাট আইনের প্রতিবাদে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে । ব্রিটিশ সরকার সভাসমিতি ও জমায়েতের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন । সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই এপ্রিল পাঞ্জাবের হাজার হাজার মানুষ অমৃতসরের কাছে জালিয়ানওয়ালাবাগের এক সংরক্ষিত উদ্যানে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হন । সভা চলাকালে অমৃতসরের সামরিক শাসনকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এডওয়ার্ড হ্যারি ডায়ার ও তার সশস্ত্র বাহিনী সভাস্থলটি ঘিরে ফেলে কোনো রূপ সতর্কবার্তা ছাড়াই নিরস্ত্র জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেন । আবালবৃদ্ধবনিতার ওপর এই বর্বরোচিত গুলি চালানোর ঘটনায় বহু অসহায় শিশু, নারী, বৃদ্ধ ও যুবা হতাহত হন । সরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা ৩৭৯ জন এবং আহত হন ১২০০ জন । সারাদেশ পুলিশের এই নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডে স্তম্ভিত হয়ে যায় ।

ব্রিটিশ সরকারের বর্বর অত্যাচারের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সরকার প্রদত্ত নাইট উপাধি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন । নরমপন্থী সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন "জালিয়ানওয়ালাবাগের বীভৎস ঘটনা সারা দেশে মহাযুদ্ধের হোম শিখা প্রজ্বলিত করেছিল" । গান্ধিজিও এই ঘটনায় মর্মাহত হন এবং ভারতবাসীর এই তীব্র ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব উপলব্ধি করে তিনি দেশব্যাপী এক বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেন যার নাম অহিংস অসহযোগ আন্দোলন । এসময় খিলাফৎ আন্দোলন এই অসহযোগ আন্দোলনে শক্তি সঞ্চার করেছিল ।

*****

Related Items

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ:-

মাধ্যমিকের নমুনা প্রশ্ন:-

১. সুই মুন্ডা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন—                [মাধ্যমিক-২০১৭]       

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - সংস্কার : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - সংস্কার : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা:-

মাধ্যমিকের নমুনা প্রশ্ন :-

১.  'বামাবোধিনী' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন—          [মাধ্যমিক- ২০১৭]

ভাষার ভিত্তিতে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক

ভাষার ভিত্তিতে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক (Initiatives Undertaken and Controversies Related to Linguistic Reorganization of States):-

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট অবিভক্ত ভারত দ্বিখণ্ডিত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে । স্বাধীনতা লাভের পর ন

আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ

আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ :-

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের 'ভারতের স্বাধীনতা আইন' অনুযায়ী ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট অবিভক্ত ভারত দ্বিখণ্ডিত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে এবং ভারত ও পাকিস্তান নাম দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয় । মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চ

১৯৪৭-পরবর্তী উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ও বিতর্ক

১৯৪৭-পরবর্তী উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ও বিতর্ক (Initiative Undertaken and Controversies Related to the Refugee Problem in Post-1947 India) :-

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস হওয়া 'ভারতের স্বাধীনতা আইন' অনুসারে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব