মানব দেহে খনিজ লবনের প্রয়োজনীয়তা

Submitted by arpita pramanik on Thu, 05/23/2013 - 23:23

মানব দেহে খনিজ লবনের প্রয়োজনীয়তা (Importance of Minerals in Human Body)

খনিজ লবনের প্রয়োজনীয়তা (Importance)

১৷ পুষ্টি - জীব দেহের স্বাভাবিক পুষ্টির জন্য খনিজ লবনের প্রয়োজনীয়তা আছে।

২৷ বৃদ্ধি - জীব দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য খনিজ লবনের প্রয়োজন।

৩৷ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা - রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অর্জনের জন্য খনিজ লবনের গ্রহনের প্রয়োজন আছ।

 

সাতটি খনিজ লবনের নাম ও তাদের উৎস

খনিজ পদার্থের নাম

উৎস

অভাবজনিত ফল

লোহা (Fe)

উদ্ভিদজ্জ - কাঁচাকলা, মোচা, বিভিন্ন শাক সব্জি, থোর, ডুমুর ইত্যাদি।

উদ্ভিদ - সবুজ পাতা হলুদ হয়, অর্থাৎ ক্লোরোসিস হয়।

প্রাণীজ - মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি

প্রাণী - অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা

 

 

খনিজ পদার্থের নাম

উৎস

অভাবজনিত ফল

ম্যাগনেসিয়াম(Mg)

উদ্ভিজ্জ - সকল প্রকার সবুজ শাক সব্জি ও দানা শস্য প্রভৃতি।

উদ্ভিদ - ক্লোরোসিস হয়।

প্রাণীজ - মাংস, সামদ্রিক মাছ প্রভৃতি।

প্রাণী - স্নায়ু দুর্বল রোগ অনিয়মিত হৃৎস্পন্দ ।

 

 

খনিজ পদার্থের নাম

উৎস

অভাবজনিত ফল

ক্যালসিয়াম(Ca)

উদ্ভিজ্জ - দানাশস্য, ডাল, ফুলকপি, গাজর, লেবু ইত্যাদি।

উদ্ভিদ - পত্র কুঞ্চন মূল ও কাণ্ডের বৃদ্ধি ব্যহত।

প্রাণীজ - দুধ, ডিম, ছোটো মাছ, মাংস, মাখন ইত্যাদি।

প্রাণী - রিকেট, দন্তক্ষয় ইত্যাদি।

 

 

খনিজ পদার্থের নাম

উৎস

অভাবজনিত ফল

ফসফরাস(P)

উদ্ভিজ্জ - দানা শস্য, সবুজ শাক সব্জি, সয়াবিন ইত্যাদি।

উদ্ভিদ - স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত ও পত্র গাঢ় ও নীল বর্ণ ধারণ করে।

প্রাণীজ - দুধ, ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি।

প্রাণী - রিকেট, দন্তক্ষয় ইত্যাদি।

 

 

 

খনিজ পদার্থের নাম

উৎস

অভাবজনিত ফল

সোডিয়াম(Na)

উদ্ভিজ্জ - শাক সব্জি, ফলমূল [খাদ্য লবন]।

উদ্ভিদ - স্বাভাবিক বৃদ্ধি লোপ।

প্রাণীজ - মাছ, ডিম, দুধ ইত্যাদি।

প্রাণী -  ওজন হ্রাস, রক্তাল্পতা ইত্যাদি।

 

 

খনিজ পদার্থের নাম

উৎস

অভাবজনিত ফল

পটাসিয়াম(K)

উদ্ভিজ্জ - শাক সব্জি, ফল মূল ইত্যাদি।

উদ্ভিদ - পত্র কুঞ্চন ও বিবর্ণ হয়।

প্রাণীজ -  মাছ, ডিম প্রভৃতি।

প্রাণী - স্নায়ু দুর্বল ও অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন।

 

 

 

খনিজ পদার্থের নাম

উৎস

অভাবজনিত ফল

আয়োডিন(I)

উদ্ভিজ্জ - শাক সব্জি, সারকম, পিঁয়াজ ইত্যাদি।

উদ্ভিদ - বৃদ্ধি ব্যহত হয়।

প্রাণীজ - সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক লবন, ডিম, দুধ ইত্যাদি ।

প্রাণী - গলগণ্ড

 

*****

Related Items

কেঁচোর গমন

প্রাণীর নাম – কেঁচো, গমন অঙ্গের নাম, গমনে সাহায্যকারী পেশীর নাম, গমন পদ্ধতির নাম, গমন পদ্ধতি - কেঁচোর দেহ খণ্ডতলের অঙ্গীয় তলে অবস্থিত আণুবীক্ষণিক এক আয়তন কণ্টক সদৃশ্য অঙ্গ হল সিটি । সিটির এক প্রান্ত দেহ অভ্যন্তরস্ত থলির মধ্যে থাকে। ...

অ্যামিবার গমন

প্রাণীর নাম - অ্যামিবা, গমন অঙ্গের নাম, গমন পদ্ধতির নাম, গমন পদ্ধতি - ক্ষনপদ হল অ্যামিবার কোষ পর্দা সমূহ দেহ প্রোটোপ্লাজমের অংশ বিশেষ যা নলাকারে প্রসারিত হয়। গমনের সময় ক্ষনপদ সামনের দিকে প্রসারিত হয় এবং কোনো কঠিন বস্তুর সঙ্গে ক্ষনপদটিকে দৃঢ় ভাবে আবদ্ধ করে।

উদ্ভিদ দেহে ন্যাস্টিক চলন

উদ্ভিদের স্থায়ী অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের তীব্রতা বা ব্যাপ্তি অনুসারে হয় , তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে। ন্যাস্টিক চলনের প্রকারভেদ , ফটোন্যাস্টি, থার্মোন্যাস্টি, নিকটিন্যাস্টি, কেমোন্যাস্টি, সিসমোন্যাস্টি। ...

উদ্ভিদ দেহে ট্রপিক চলন

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসরন করে হয় তখন তাকে ট্রপিক চলন বা দিকনির্ণীত চলন বা ট্রপিজম বলে। ট্রপিক চলনের প্রকারভেদ, ফটোট্রপিক চলন, ফটোট্রপিক চলনের পরীক্ষা, জিওট্রপিক চলন, জিওট্রপিক চলনের পরীক্ষা, হাইড্রোট্রপিক চলন ...

উদ্ভিদ দেহে ট্যাকটিক চলন

ট্যাকটিক চলন - বহিঃস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ অঙ্গের স্থান পরিবর্তন কে আবিষ্ট চলন বা ট্যাকটিক চলন বলে। ট্যাকটিক চলনের প্রকারভেদ , ফটোট্যাকটিক, থার্মট্যাকটিক, কেমোট্যাকটিক, হাইড্রোট্যাকটিক।