প্রোটিনের কাজ ও গুরুত্ব

Submitted by arpita pramanik on Fri, 05/03/2013 - 08:40

প্রোটিনের কাজ ও গুরুত্ব (Function and Importance of Protein) :

প্রোটিন (Protein)

সংজ্ঞা (Definition) - কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেনের স্বনিত যে জৈব যৌগ অ্যামাইনো অ্যাসিড উৎপন্নও করে তাকে প্রোটিন বলে ।

প্রোটিনের বৈশিষ্ট্য (Feature)

১৷ প্রোটিন কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেনের সমন্বয়ে  গঠিত ।

২৷ প্রোটিনের একক হল অ্যামাইনো অ্যাসিড ।

৩৷ প্রোটিওলাইটিক  উৎসেচক দ্বারা বিশ্লিষ্টও হয় ।

প্রোটিনের শ্রেণীবিভাগ (Classification of Protein)

প্রোটিন কে তিন ভাগে ভাগ করা যায় ।

সরল প্রোটিন

সংযুক্ত প্রোটিন

লুব্ধ প্রোটিন

যে প্রোটিন কেবল অ্যামাইনো অ্যাসিডের সমন্বয়ে গঠিত তাকে সরল প্রোটিন বলে ।

যেমন অ্যাল্বুমিন(ডিম),

জিলেটিস(মাংস)

যে প্রোটিন অন্য কোনো অপ্রোটিন বস্তুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রোটিন গঠন করে তাকে সংযুক্ত

প্রোটিন বলে।

যেমন ল্যপোপ্রোটিন=লিপিড+প্রোটিন

সরল প্রোটিন পাচিত হওয়ার সময়ে যে সমস্ত পদার্থ উৎপন্ন হয় তাকে লুব্ধ প্রোটিন বলে।

যেমন পেপটোন, পেপটাইড

প্রোটিনের উৎস (Source of Protein)

উদ্ভিজ্জ উৎস

প্রাণীজ উৎস

বিভিন্ন ধরনের ডাল, সয়াবিন, বীন, গম ইত্যাদি

মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের সাদা অংশ, ছানা ইত্যাদি

প্রোটিনের গুরুত্ব (Importance of Protin)

১৷ দেহের বৃদ্ধি, কোষ গঠন ও ক্ষয়পুরন  হল প্রোটিনের প্রধান কাজ ।

২৷ 1 gm অনু প্রোটিন দহনে 4.1 kcal তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের প্রত্যহ প্রায়    100-150gm প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের প্রয়োজন ।

৩৷ অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ করা প্রোটিনের কাজ ।

৪৷ দেহস্থ উৎসেচক, হরমোন ইত্যাদি সৃষ্টি করা প্রোটিনের কাজ ।

 

অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড

সংজ্ঞা - যে সমস্ত অ্যামাইনো অ্যাসিড প্রাণীদের দেহে সংশ্লোষিত না হলেও দেহের জৈবিক কাজে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং যারা খাদ্যের মাধ্যমে বাইরে থেকে সংগৃহীত হয়, তাদের অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড বলে ।

এ গুলি হল লাইসিন, ভ্যালিন, লিউসিন, আইসোলিউসিন, মিথিওনিন, ফিনাইল অ্যালানিন, থ্রিওনিন ও ট্রিপটোফ্যান ।

একটি সরল অ্যামাইনো অ্যাসিড হল লাইসিন। সরল প্রোটিন হল অ্যালবুমিন ।

 

প্রোটিনের অভাবজনিত রোগ

নাম

লক্ষন

কোয়াশিয়রকর

প্রোটিনের অভাবে শরীর ফুলে যায়, ত্বক শুকনো ও খসখসে হয়ে যায় ।

ম্যারাসমাস

প্রোটিনের অভাবে শিশুদের হাত পা সরু হয়ে যায়। এই রোগে আক্রান্ত শিশুকে বৃদ্ধের মত দেখায় ।

*****

Related Items

আরশোলার গমন

চলা ফেরা বা হাঁটার জন্য আরশোলার তিন জোরা সন্ধিল পদ বর্তমান। আরশোলার পৃষ্ঠ দেশে দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডকে মোট দু জোরা ডানা আছে। আরশোলার দু জোরা ডানার মধ্যে প্রথম ডানা জোরা শক্ত ও পুরু। তারা উড্ডয়নে সাহায্য করে না। দ্বিতীয় ডানা জোরা স্বচ্ছ ও পাতলা ...

কেঁচোর গমন

প্রাণীর নাম – কেঁচো, গমন অঙ্গের নাম, গমনে সাহায্যকারী পেশীর নাম, গমন পদ্ধতির নাম, গমন পদ্ধতি - কেঁচোর দেহ খণ্ডতলের অঙ্গীয় তলে অবস্থিত আণুবীক্ষণিক এক আয়তন কণ্টক সদৃশ্য অঙ্গ হল সিটি । সিটির এক প্রান্ত দেহ অভ্যন্তরস্ত থলির মধ্যে থাকে। ...

অ্যামিবার গমন

প্রাণীর নাম - অ্যামিবা, গমন অঙ্গের নাম, গমন পদ্ধতির নাম, গমন পদ্ধতি - ক্ষনপদ হল অ্যামিবার কোষ পর্দা সমূহ দেহ প্রোটোপ্লাজমের অংশ বিশেষ যা নলাকারে প্রসারিত হয়। গমনের সময় ক্ষনপদ সামনের দিকে প্রসারিত হয় এবং কোনো কঠিন বস্তুর সঙ্গে ক্ষনপদটিকে দৃঢ় ভাবে আবদ্ধ করে।

উদ্ভিদ দেহে ন্যাস্টিক চলন

উদ্ভিদের স্থায়ী অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের তীব্রতা বা ব্যাপ্তি অনুসারে হয় , তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে। ন্যাস্টিক চলনের প্রকারভেদ , ফটোন্যাস্টি, থার্মোন্যাস্টি, নিকটিন্যাস্টি, কেমোন্যাস্টি, সিসমোন্যাস্টি। ...

উদ্ভিদ দেহে ট্রপিক চলন

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসরন করে হয় তখন তাকে ট্রপিক চলন বা দিকনির্ণীত চলন বা ট্রপিজম বলে। ট্রপিক চলনের প্রকারভেদ, ফটোট্রপিক চলন, ফটোট্রপিক চলনের পরীক্ষা, জিওট্রপিক চলন, জিওট্রপিক চলনের পরীক্ষা, হাইড্রোট্রপিক চলন ...