ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর : নদী, হিমবাহ ও বায়ুর কাজ

Submitted by avimanyu pramanik on Mon, 03/05/2012 - 17:30

নদী, হিমবাহ ও বায়ুর কাজ (Work of Rivers, Glaciers and Winds)

প্রশ্ন:- নদী (River) কাকে বলে ?

উত্তর:- বৃষ্টির জল, তুষার-গলা জল, হ্রদ বা ঝর্ণার জল ভূমির ঢাল অনুসারে গড়িয়ে এসে স্বাভাবিক যে জলধারা বা জলস্রোতের সৃষ্টি করে তাকে নদী বলে

প্রশ্ন:- শুষ্ক অঞ্চলে কোমল শিলার ওপর গঠিত নদী উপত্যকাকে কী বলে ?

উত্তর:- শুষ্ক অঞ্চলে কোমল শিলার ওপর গঠিত নদী উপত্যকাকে ক্যানিয়ন (Canyon) বলে ।

প্রশ্ন:- একটি পৃথিবী বিখ্যাত ক্যানিয়নের (Canyon) নাম কী ?

উত্তর:- উত্তর আমেরিকার কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন একটি পৃথিবী বিখ্যাত ক্যানিয়ন ।

প্রশ্ন:- পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ (Delta) কোনটি ?

উত্তর:- পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ হল গঙ্গা নদীর মোহনা

প্রশ্ন:- সঞ্চয় কাজ সর্বাধিক হয় নদীর কোন গতিতে ?

উত্তর:- সঞ্চয় কাজ সর্বাধিক হয় নদীর নিম্নগতিতে

প্রশ্ন:- ড্রামলীন (Drumlin) কী  ?

উত্তর:- ড্রামলীন (Drumlin) হল হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট একপ্রকার ভূমিরূপ । ভূ-পৃষ্ঠের ওপর এদের দেখতে অনেকটা উলটানো চামচের মত ।

প্রশ্ন:- হিমবাহ কী  ?

উত্তর:- চলমান বরফের স্তুপকে হিমবাহ (Glacier) বলে ।

প্রশ্ন:-  ধ্রিয়ান কী  ?

উত্তর:- চলমান বালিয়াড়িকে ধ্রিয়ান  বলে ।

প্রশ্ন:- গিরিখাত কাকে বলে ?

উত্তর:- নদী উপত্যকা গভীর হলে তাকে গিরিখাত বলে ।

প্রশ্ন:- নদীর কোন স্থলে পলিশঙ্কু গঠিত হয় ?

উত্তর:- নদীর উচ্চ ও মধ্যগতির সংযোগ স্থলে পলিশঙ্কু গঠিত হয় ।

প্রশ্ন:- রসে মোতানে (Roche Moutonne) কী  ?

উত্তর:- রসে মোতানে (Roche Moutonne) হল হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট একপ্রকার ভূমিরূপ

প্রশ্ন:- বায়ুপ্রবাহের দ্বারা সুক্ষ্ম বালিকণা বহুদুরে বাহিত ও সঞ্চিত হয়ে যে ভূমিরূপ গঠন করে তাকে কী বলে ?

উত্তর:- বায়ুপ্রবাহের দ্বারা সুক্ষ্ম বালিকণা বহুদুরে বাহিত ও সঞ্চিত হয়ে যে ভূমিরূপ গঠন করে তাকে লোয়েস (Loess) বলে ।

প্রশ্ন:- প্রবাহমান বায়ুর গতিপথের সঙ্গে সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠা বালিয়াড়িকে (Sandune) কী বলে ?

উত্তর:- প্রবাহমান বায়ুর গতিপথের সঙ্গে সমান্তরালভাবে গড়ে ওঠা বালিয়াড়িকে অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি (Longitudinal Dune) বলে ।

প্রশ্ন:- মন্থকূপ সৃষ্টি হয় কীভাবে ?

উত্তর:- নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে মন্থকূপ সৃষ্টি হয় ।

প্রশ্ন:- এরিটি (Arete) বা অ্যারেৎ কী  ?

উত্তর:- এরিটি বা অ্যারেৎ হল হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট একপ্রকার ভূমিরূপ

প্রশ্ন:- পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার দু'পাশে থাকা ধাপযুক্ত ভুমিরূপকে কী বলা হয় ?

উত্তর:- পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকার দু'পাশে থাকা ধাপযুক্ত ভুমিরূপকে নদীমঞ্চ বলা হয় ।

প্রশ্ন:- পর্বতের গায়ে যে সীমারেখার ওপর সারা বছর বরফ জমে থাকে তাকে কী বলে ?

উত্তর:- পর্বতের গায়ে যে সীমারেখার ওপর সারা বছর বরফ জমে থাকে তাকে হিমরেখা (Snow Line) বলে ।

প্রশ্ন:- বহিঃবিধৌত সমভূমি (Out-wash-Plain) হিমবাহের কোন কাজের ফলে গঠিত হয় ?

উত্তর:- বহিঃবিধৌত সমভূমি (Out-wash-Plain) হিমবাহের সঞ্চয় কাজের ফলে গঠিত হয় ।

প্রশ্ন:- হিমবাহ থেকে নিঃসৃত জলস্রোতের মাধ্যমে হিমবাহ উপত্যকায় যে সমস্ত পলি সঞ্চিত হয় তাকে কী বলে ?

উত্তর:- হিমবাহ থেকে নিঃসৃত জলস্রোতের মাধ্যমে হিমবাহ উপত্যকায় যে সমস্ত পলি সঞ্চিত হয় তাকে ভ্যালি ট্রেন বলে ।

প্রশ্ন:- বায়ু ও জলধারার যৌথ ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজের ফলে কী গঠিত হয় ?

উত্তর:- বায়ু ও জলধারার যৌথ ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজের ফলে পেডিমেন্ট (Pediment) গঠিত হয় ।

প্রশ্ন:- প্রায়-সমতল মরুভুমির মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকে কঠিন শিলা গঠিত টিলাগুলিকে কী বলে  ?

উত্তর:- প্রায়-সমতল মরুভুমির মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকে কঠিন শিলা গঠিত টিলাগুলিকে ইনসেলবার্জ (Inselberg) বলে ।

প্রশ্ন:- বৃষ্টিহীন শুষ্ক মরুপ্রায় অঞ্চলের নদী উপত্যকা যখন খুব গভীর হয় তখন তাকে কী বলে ?

উত্তর:- বৃষ্টিহীন শুষ্ক মরুপ্রায় অঞ্চলের নদী উপত্যকা যখন খুব গভীর হয় তখন তাকে ক্যানিয়ন (Canyon) বলে ।

প্রশ্ন:- হিমবাহে ঢাকা নদীখাতে হিমবাহ বাহিত নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে দীর্ঘ, স্বল্প উঁচু আঁকাবাঁকা শৈলশিরার মত ভূমিরূপ গঠিত হয় তাকে কী বলে ?

উত্তর:- হিমবাহে ঢাকা নদীখাতে হিমবাহ বাহিত নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে দীর্ঘ, স্বল্প উঁচু আঁকাবাঁকা শৈলশিরার মত ভূমিরূপ গঠিত হয় তাকে এসকার (Esker) বলে ।

প্রশ্ন:- হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে প্রান্ত গ্রাবরেখায় (Terminal Moraine) সৃষ্টি হওয়া ত্রিকোণাকার ভূমিকে কী বলে ?

উত্তর:- হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে প্রান্ত গ্রাবরেখায় (Terminal Moraine) সৃষ্টি হওয়া ত্রিকোণাকার ভূমিকে কেম (Kame) বলে ।

প্রশ্ন:- রাজস্থানের মরুভূমি অঞ্চলে চলন্ত বালিয়াড়িকে (Sabdune) কী বলে ?

উত্তর:- রাজস্থানের মরুভূমি অঞ্চলে চলন্ত বালিয়াড়িকে (Sabdune) ধ্রিয়ান বলে ।

প্রশ্ন:- উচ্চগতিতে নদীর প্রধান কাজ কী  ?

উত্তর:- উচ্চগতিতে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয়

প্রশ্ন:- উচ্চগতিতে নদীর প্রধান কাজ কী  ?

উত্তর:- উচ্চগতিতে নদীর প্রধান কাজ হল ক্ষয়

প্রশ্ন:- ইয়ার্দাং ভূমিরূপ কোথায় দেখা যায় ?

উত্তর:- ইয়ার্দাং ভূমিরূপ দেখা যায় শুষ্ক অঞ্চলে

প্রশ্ন:- সমপ্রায় ভূমিতে অবস্থিত গোলাকার অনুচ্চ টিলাকে কী বলে ?

উত্তর:- সমপ্রায় ভূমিতে অবস্থিত গোলাকার অনুচ্চ টিলাকে মোনাডন্ক বলে ।

প্রশ্ন  গৌর ভূমিরূপটি কিসের তরঙ্গের দ্বারা গঠিত হয় ?

উত্তর:- গৌর ভূমিরূপটি বায়ুর তরঙ্গের দ্বারা গঠিত হয় ।

প্রশ্ন:- পার্বত্যপ্রবাহে নদী উপত্যকার আকৃতি ইংরেজি কোন অক্ষরের মতো হয় ?

উত্তর:- পার্বত্যপ্রবাহে নদী উপত্যকার আকৃতি ইংরেজি ' V ' অক্ষরের মতো হয় ।

প্রশ্ন:- পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ উপত্যকার আকৃতি ইংরেজি কোন অক্ষরের মতো হয় ?

উত্তর:- পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ উপত্যকার আকৃতি ইংরেজি 'U' অক্ষরের মতো হয় ।

প্রশ্ন:- হিমশৈল কাকে বলে ?

উত্তর:- সমুদ্রে ভাসমান বিশালাকৃতি হিমবাহকে হিমশৈল বলে ।

প্রশ্ন:- ফিয়র্ড কী  ?

উত্তর:- সমুদ্রোপকূল সংলগ্ন আংশিক জলপূর্ণ গিরিখাতকে ফিয়র্ড বলে ।

প্রশ্ন:- প্যাটানস্টার কিভাবে সৃষ্টি হয় ?

উত্তর:- হিমসিঁড়ির মধ্যে হিমবাহ-গলা জল জমে প্যাটানস্টার সৃষ্টি হয় ।

প্রশ্ন:- ক্রেভাসেস কী  ?

উত্তর:- হিমবাহের উপরের পৃষ্ঠের ফাটলগুলিকে ক্রেভাসেস বলে ।

প্রশ্ন:- হামাদা কী  ?

উত্তর:- প্রস্তরময় অমসৃণ মরুভুমিকে হামাদা বলে ।

প্রশ্ন:- বার্খান (Barkhan) কী ?

উত্তর:- তির্যক বালিয়াড়িকে বার্খান বলে ।

প্রশ্ন:- বায়ুর কোন কাজের ফলে বার্খান (Barkhan) সৃষ্টি হয় ?

উত্তর:- বায়ুর সঞ্চয় কাজের ফলে বার্খান সৃষ্টি হয় ।

প্রশ্ন:- র‍্যাপিড কী ?

উত্তর:-  কঠিন শিলাযুক্ত অঞ্চলে কম ঢালযুক্ত ছোটো ছোটো জলপ্রপাতকে র‍্যাপিড বলে ।

প্রশ্ন:- প্লায়া কাকে বলে  ?

উত্তর:- মরুভূমি অঞ্চলে সৃষ্ট হ্রদকে প্লায়া বলে ।

প্রশ্ন:- মোহানা কালে বলে  ?

উত্তর:- নদী যেখানে এসে সমুদ্রে মেশে তাকে নদীর মোহানা বলে ।

প্রশ্ন:- জলপ্রপাত কোথায় বেশি দেখা যায়  ?

উত্তর:- নদীর পার্বত্যগতিতে জলপ্রপাত বেশি দেখা যায় ।

*****

Related Items

কাবেরী নদী (The Kaveri)

কাবেরী নদী (The Kaveri) : কর্ণাটক রাজ্যের তালাকাভেরি উচ্চভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে কাবেরী নদী কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । কাবেরী নদীর দৈর্ঘ্য ৭৬৫ কিমি.

কৃষ্ণা নদী (The Krishna)

কৃষ্ণা নদী (The Krishna) : পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মহাবালেশ্বরের শৃঙ্গের কিছুটা উত্তরে প্রায় ১৪০০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হওয়ার পর কৃষ্ণা নদী দক্ষিণ-পূর্বে তেলেঙ্গানা ও অন্ধপ্রদেশ রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিশাল বদ্বীপ সৃষ্টি করে

গোদাবরী নদী (The Godavari)

গোদাবরী নদী (The Godavari) : গোদাবরী নদী 'দক্ষিণ ভারতের গঙ্গা' নামে পরিচিত । মহারাষ্ট্রের ব্রম্ভগিরি পাহাড়ের ত্র্যম্বক শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে এবং পরে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে গোদাবরী নদী মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ

মহানদী (The Mahanadi)

মহানদী (The Mahanadi) : ছত্তিসগড় রাজ্যের রায়পুর জেলার দক্ষিণাংশের সিয়াওয়া মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্য অতিক্রম করার পর বদ্বীপ সৃষ্টি করে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । মহানদী

তাপী নদী (The Tapti)

তাপী বা তাপ্তি নদী (The Tapti) : মধ্যপ্রদেশের মহাদেব পর্বতের মুলতাই উচ্চভূমির প্রায় ৭৭০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হয়ে তাপী নদী মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের ওপর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে সাতপুরা ও অজন্তার মধ্যবর্তী সংকীর্ণ উপত