মানুষের গমন পদ্ধতি

Submitted by arpita pramanik on Sat, 05/25/2013 - 22:04

মানুষের গমন পদ্ধতি (Locomotion of Human body) :

প্রাণীর নাম - মানুষ

গমন অঙ্গের নাম - অস্থি, পেশী, অস্থি সন্ধি

গমন পদ্ধতির নাম - দ্বিপদ গমন

মানুষের গমনে সহায়ক অস্থি সমূহ - মানব দেহে মোট ২০৬ টি অস্থি থাকে । মানব অস্থি তন্ত্রের মত মেরুদণ্ড, শ্রোণীচক্র ও পায়ের অস্থি গুলি গমনে সাহায্য করে । 

১৷ মেরুদণ্ড – কশেরুকার দ্বারা গঠটি ঋজু অস্থি অক্ষ কে মেরুদণ্ড বলে। মেরুদণ্ডে কশেরুকারের সংখ্যা ৩৩টি ।

২৷ শ্রোণীচক্র – সংখ্যা [tex] 1 \times 2 = 2[/tex] । মানব দেহের প্রধান গমন অঙ্গ পদ শ্রোণীচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে ।

৩৷ পায়ের অস্থি

ফিমার ( Femur ) -  [tex] 1 \times 2 = 2[/tex]

টিবিয়া ( Tibia ) , ফিবিউলা ( Fibula ) -  [tex] 2 \times 2 = 2[/tex]

টারসাল ( Tarsal ) -  [tex] 7 \times 2 = 14[/tex]

মেটাটার্সাস ( Metatarsus ) -  [tex] 5 \times 2 = 10[/tex]

ফ্যারেঞ্জেরস ( Phalanges ) - [tex] 14 \times 2 = 28[/tex]

 

মানুষের গমনে সহায়ক অস্থি সন্ধি সমূহ - ছয় প্রকার অস্থি সন্ধি দ্বিপদ গমনের সাথে সংশ্লিষ্ট

১৷ স্কন্ধের সন্ধি, ২৷ কব্জির সন্ধি, ৩৷ কনুই ও হাঁটুর সন্ধি, ৪৷ অ্যাম্বুলার সন্ধি, ৫৷ কব্জি ও গোড়ালির সন্ধি, ৬৷ করটি ও মেরুদণ্ডের সন্ধি

মানুষের গমনে সহায়ক পেশী - অস্থি ও অস্থি সন্ধির সঙ্গে যুক্ত থাকে পেশী । এই পেশী গুলির সংকোচন ও প্রসারনে অস্থি ও অস্থি সন্ধির সঞ্চালন ঘটে এর ফলে মানুষের গমন ক্রিয়া সংগঠন হয় ।

১৷ ফ্লেক্সর পেশী – যে সমস্ত পেশী দুটি অস্থিকে ভাঁজ হতে বা কাছাকাছি আনতে সাহায্য করে, তাদের ফ্লেক্সর পেশী বলে । উদাহরণ – বাইসেপস পেশী ( Biceps muscle)

২৷ এক্সটেনসর পেশী – যে সমস্ত পেশী দুটি অস্থি খণ্ডকে প্রসারিত হতে সাহায্য করে, তাদের এক্সটেনসর পেশী বলে। উদাহরণ – ট্রাইসেপস পেশী (Triceps muscle)

৩৷ অ্যাডাকটর পেশী – যে সমস্ত পেশী কোনো অংশকে দেহ অক্ষের কাছাকাছি আনে তাদের অ্যাডাকটর পেশী বলে । উদাহরণ – ল্যাটিসিমাস ডরসি (Latissimus dorsi)

৪৷ যে সমস্ত পেশী কোনো অঙ্গকে দেহ অক্ষ থেকে দূরে সরায়, তাদের পেশী বলে । উদাহরণ – ডেল্টয়েড পেশী (Deltoid Muscle)

 

দ্বিপদ গমন ক্রিয়া

১৷ মানুষের দ্বিপদ গমনে বাম পা ও ডান হাত এবং ডান পা ও বাম হাত একত্রে অগ্রসর হয় । এর ফলে গমন কালে দেহের ভারসাম্য রক্ষিত হয় ।

২৷ গমনকালে পা তোলার পূর্বে প্রথমে গোড়ালি উপরের দিকে ওঠে এবং হাঁটু ভাঁজ হয় ।

৩৷ তারপর ওই পদ মাটি থেকে উঠে সামনের দিকে এগিয়ে স্থাপিত হয় ।

৪৷ এই সময় দেহের ভার রক্ষা করে ।

বাঁ পা আগের পদ্ধতিতে স্থানান্তরিত হয়ে স্থাপিত হলে তারপর ডান পা একই পদ্ধতিতে ভাঁজ হয় ।

*****

Related Items

জীবদেহে জলের প্রয়োজনীয়তা

জীবদেহে জলের প্রয়োজনীয়তা, উদ্ভিদ দেহে জলের প্রয়োজনীয়তা, প্রাণীদেহে জলের প্রয়োজনীয়তা, জীবন ধারনের জন্য জল একান্ত প্রয়োজন। জীবদেহের ওজনের 60%-90% জলের প্রয়োজন। জল খাদ্য নয় কেন? জলের কোন তাপন মূল্য নেই বলে জলকে খাদ্য বলা হয় না।

ভিটামিনের কাজ ও গুরুত্ব

যে বিশেষ জৈব পরিপোষক সাধারণ খাদ্য অতি অল্প পরিমানে থেকে দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধে শক্তি বৃদ্ধি করে, তাকে ভিটামিন বলে। ভিটামিনের বৈশিষ্ট্য, ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা, নিম্নলিখিত রোগ গুলি কোন ভিটামিনের অভাবে হয়।...

ফ্যাটের কাজ ও গুরুত্ব

যে জৈব যৌগ কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত এবং যার মধ্যে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন 2:1 অনুপাতে থাকে না, তাদের ফ্যাট জাতীয় খাদ্য বলে। ফ্যাটের বৈশিষ্ট্য, ফ্যাটের উৎস, ফ্যাটের গুরুত্ব, অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড, লিনোলেনিক অ্যাসিড, লিনোলেয়িক অ্যাসিড।...

প্রোটিনের কাজ ও গুরুত্ব

প্রোটিন, প্রোটিনের উৎস, প্রোটিনের কাজ ও গুরুত্ব, প্রোটিনের শ্রেণীবিভাগ, অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড, প্রোটিনের অভাবজনিত রোগ, প্রোটিনের উৎস- বিভিন্ন ধরনের ডাল, সয়াবিন, বীন, গম ইত্যাদি মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের সাদা অংশ, ছানা ইত্যাদি ...

মানব দেহে কার্বোহাইড্রেটের কাজ ও গুরুত্ব

কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত যে জৈব যৌগে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন 2:1 অনুপাতে থাকে তাকে কার্বোহাইড্রেট বলে। কার্বোহাইড্রেটের বৈশিষ্ট্য, কার্বোহাইড্রেটের শ্রেণীবিভাগ, কার্বোহাইড্রেটের উদ্ভিদজ্য উৎস, কার্বোহাইড্রেটের প্রাণীজ উৎস, শর্করা খাদ্যের গুরুত্ব