স্যাডলার কমিশন (Sadler Commission)
১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হবার পর দেশে উচ্চশিক্ষার প্রসার ক্রমশ বৃদ্ধি পায় । উচ্চশিক্ষাকে আরও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে বড়লাট চেমসফোর্ডের সময় স্যার মাইকেল স্যাডলারের (Michael Sadler - educationist) সভাপতিত্বে 'স্যাডলার কমিশন' গঠন করা হয় । স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এই কমিশনের সদস্য ছিলেন । এই কমিশনের সুপারিশগুলি -
(১) স্কুল শিক্ষার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের আগে দু-বছরের একটি অন্তর্বর্তী পাঠক্রম চালু করা ।
(২) তিন বছরের স্নাতক শিক্ষাক্রম চালু করা ।
(৩) আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং ফলিত বিজ্ঞান ও উচ্চ কারিগরি শিক্ষার প্রবর্তন ।
স্যাডলার কমিশনের সুপারিশগুলি ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় । ওই বছরই মন্টেগু চেমসফোর্ড আইন দ্বারা শিক্ষা বিভাগকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন থেকে রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয় । প্রাদেশিক আইনসভায় নির্বাচিত মন্ত্রী শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব পান । ১৯২২ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী (Viswa-Bharati) প্রতিষ্ঠা করেন । পাটনা, বারানসী, আলিগড়, আগ্রা, দিল্লি, হায়দারাবাদ, রেঙ্গুন প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ধন্দো কেশব কার্ভে পুণায় প্রথম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন ।
*****