শৈবাল সাগর কীভাবে সৃষ্টি হয় ?

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 01/04/2022 - 09:59

প্রশ্ন : শৈবাল সাগর কীভাবে সৃষ্টি হয় ?

শৈবাল সাগর : মহাসাগরের মাঝখানে বিভিন্ন স্রোত মিলিত হয়ে কয়েক হাজার বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকা জুড়ে একটি ঘূর্ণস্রোত বা জলাবর্তের সৃষ্টি করে । এই বিশাল জলাবর্তের মাঝখানে কোনোরকম জলপ্রবাহ থাকে না বলে স্রোতবিহীন এই অঞ্চলে নানারকম শৈবাল বা শেওলা, আগাছা ও জলজ উদ্ভিদ জন্মায় । এইজন্য এই অঞ্চলকে শৈবাল সাগর বলা হয় । যেমন—

আটলান্টিক মহাসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে (১) উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত, (২) উত্তর নিরক্ষীয় স্রোত এবং (৩) ক্যানারি স্রোত মিলিত হয়ে কয়েক হাজার বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকা জুড়ে একটি ঘূর্ণস্রোত বা জলাবর্তের সৃষ্টি করে । এই বিশাল জলাবর্তের মাঝখানে কোনোরকম জলপ্রবাহ থাকে না বলে স্রোতবিহীন এই অঞ্চলে নানারকম শৈবাল বা শেওলা, আগাছা ও জলজ উদ্ভিদ জন্মায় । এইজন্য এই অঞ্চলকে শৈবাল সাগর বলা হয় । আটলান্টিক মহাসাগর ছাড়াও উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরেও (১) উত্তর প্রশান্ত-মহাসাগরীয় স্রোত, (২) কুরোশিয়ো বা জাপান স্রোত, (৩) উত্তর নিরক্ষীয় স্রোত এবং (৪) ক্যালিফোর্নিয়া স্রোতের মাঝখানে প্রকাণ্ড একটি শৈবাল সাগর দেখা যায় ।

*****

Comments

Related Items

বায়ুর কাজ কোথায় বেশি দেখা যায় ? বায়ু কোন কোন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়সাধন এবং বহন করে ?

প্রশ্ন:- বায়ুর কাজ কোথায় বেশি দেখা যায় ? বায়ু কোন কোন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়সাধন এবং বহন করে ?

প্রধানত মরুভূমি অঞ্চলেই বায়ুর ক্ষয়কাজ সবচেয়ে বেশি হয় । এর কারণ হল—

রেগোলিথ (Regolith) কী ?

প্রশ্ন:-  রেগোলিথ (Regolith) কী ?

জলবায়ুর সঙ্গে আবহবিকারের সম্পর্ক কী এবং আবহবিকারের ফলাফল কী কী ?

প্রশ্ন:- জলবায়ুর সঙ্গে আবহবিকারের সম্পর্ক কী এবং আবহবিকারের ফলাফল কী কী ?

উত্তর:- আবহবিকারের বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলি কম বেশি প্রায় সর্বত্র কাজ করলেও কোনো বিশেষ ধরনের আবহবিকার বিশেষ কোনো জলবায়ু অঞ্চলেই বেশি কাজ করে, যেমন—

জলদ্বারা কীভাবে আবহবিকার সংঘটিত হয় ?

প্রশ্ন:- জলদ্বারা কীভাবে আবহবিকার সংঘটিত হয় ?

(১) বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে জল বছরের পর বছর ধরে আঘাত করে করে শিলাখন্ডগুলিকে দুর্বল করে ফেলে এবং এতে শিলাখন্ডগুলি ক্রমশ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়;

উৎপত্তি অনুসারে মাটির শ্রেণিবিভাগ কর ।

প্রশ্ন:- উৎপত্তি অনুসারে মাটির শ্রেণিবিভাগ কর ।

উৎপত্তি অনুসারে মাটি দু’ধরনের হয়, যেমন- (১) স্থানীয় মাটি ও (২) অপসৃত মাটি ।