লোহিত মৃত্তিকা বা লাল মাটি

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 11/22/2014 - 15:20

লোহিত মৃত্তিকা (Red soil) : আর্কিয়ান যুগের গ্র্যানাইট–নাইস প্রভৃতি প্রাচীন শিলা ক্ষয়ীভূত হয়ে লোহিত মৃত্তিকার সৃষ্টি করেছে । লোহিত মৃত্তিকা কৃষ্ম মৃত্তিকার আশপাশে উপদ্বীপের অনেকাংশে বিস্তৃত রয়েছে । এই মৃত্তিকায় বালির ভাগ বেশি থাকায় এর জল ধারণের ক্ষমতা কম । চুনের ভাগও কম থাকায় এই মৃত্তিকা কৃষ্ণ মৃত্তিকার তুলনায় অনুর্বর ।

ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা (Laterite Soil) : লোহিত মৃত্তিকার একটি বিশেষ শ্রেণি হল ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা । সাধারণত গ্র্যানাইট শিলার আবহবিকারের ফলেই ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে এই মৃত্তিকার সৃষ্টি হয় । ইটের মত শক্ত ও লাল রঙের বলে এই মৃত্তিকার নাম ল্যাটেরাইট । কর্ণাটক, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, অসম এবং ঝাড়খন্ড রাজ্যের ছোটোনাগপুরের মালভুমিতে এই বিশেষ ধরনের মৃত্তিকা দেখা যায় । এই মৃত্তিকা অত্যন্ত অনুর্বর এবং এখানে কৃষিকাজ খুব একটা হয় না ।

*****

Related Items

বায়ুর উষ্ণতা (Air Temperature)

বায়ুর উষ্ণতা (Air Temperature) : বায়ুর উষ্ণতা বলতে বায়ুর তাপমাত্রাকে বোঝায় । বায়ুর উষ্ণ এবং শীতল অবস্থার তুলনামূলক পরিমাপকেই বায়ুর উষ্ণতা বলা হয় । সূর্যকিরণ হল বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার প্রধান উৎস । সূর্যের তাপ গ্রহণ বা তার প্রতিফলন ঘটিয়ে বায়ু উষ্ণ বা শ

ওজোন স্তর (Ozone Layer)

ওজোন স্তর (Ozone Layer) : বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তরে অর্থাৎ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের মধ্যে ২০ - ৩৫ কিমি.

ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (Magnetosphere)

ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (Magnetosphere) : এক্সোস্ফিয়ার স্তরের ওপরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বেষ্টনকারী চৌম্বকক্ষেত্রটি হল ম্যাগনেটোস্ফিয়ার স্তর । এটি বায়ুমণ্ডলের সর্বশেষ স্তর । এক্সোস্ফিয়ার স্তরের ওপর ১,৫০০ কিমি.

এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere)

এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere) : এক্সোস্ফিয়ার হল বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে দূরবর্তী স্তর । এই স্তরটি আয়নোস্ফিয়ারের ওপরে প্রায় ৭০০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত ।

আয়োনোস্ফিয়ার বা থার্মোস্ফিয়ার (Ionosphere or Thermosphere)

আয়োনোস্ফিয়ার (Ionosphere) : মেসোস্ফিয়ার স্তরের শেষ সীমা হল মেসোপজ । আর এই মেসোপজের ওপরে প্রায় ৫০০ কিমি.