অধ্যায় ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : সালোকসংশ্লেষ

Submitted by arpita pramanik on Thu, 12/29/2011 - 18:16

অধ্যায় ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : সালোকসংশ্লেষ (Photosynthesis)

Question No. 1  সালোকসংশ্লেষ কাকে বলে ? (Definition of Photosynthesis)

Answer :- যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় ক্লোরোফিলযুক্ত কোষে আলোর উপস্থিতিতে পরিবেশ থেকে শোষিত জল ও গৃহিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের আলোক রাসায়নিক ও জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে সরল শর্করা (গ্লুকোজ) সংশ্লেষিত হয় ও উৎপন্ন খাদ্যে সৌরশক্তি স্থিতিশক্তি রূপে আবদ্ধ হয় এবং উপজাত বস্তু হিসেবে পরিবেশ থেকে গৃহিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের সম-অণু অক্সিজেন ও জল উৎপন্ন হয়, তাকে সালোকসংশ্লেষ বা (Photosynthesis) বলে ।

Question No. 2  উপচিতি বিপাক কাকে বলে ? (Anabolic mebabolism)

Answer :-  যে গঠনমূলক বিপাক ক্রিয়ায় সরল অজৈব যৌগ থেক জটিল যৌগ সৃষ্টি হয়ে কোষের শুষ্ক ওজন বৃদ্ধি পায় ও শক্তির স্থিতি ঘটে তাকে উপচিতি বিপাক বলে । যেমন সালোকসংশ্লেষ ।

Question No. 3   সালোকসংশ্লেষকে উপচিতিমূলক বিপাক ক্রিয়া বলে কেন ? (Photosynthesis is an anabolic mebabolism)

Answer :-  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদদেহে সরল অজৈব যৌগ জল (H2O) ও কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) -এর  রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় জটিল জৈব (C6H12O6) খাদ্য উৎপন্ন হয়, ফলে প্রোটোপ্লাজমের বৃদ্ধি অর্থাৎ শুষ্ক ওজন (dry weight) বৃদ্দি পায় ও শক্তির স্থিতি ঘটে । তাই সালোকসংশ্লেষকে উপচিতিমূলক বিপাক ক্রিয়া বলে ।

Question No. 4  সালোকসংশ্লেষকে জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়া বলে কেন ?

Answer:-   সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় জল জারিত হয়ে অক্সিজেন (O2)  উৎপন্ন করে এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড বিজারিত হয়ে কার্বোহাইড্রেট উৎপন্ন করে বলে সালোকসংশ্লেষকে জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়া বলে ।

Question No. 5  মেসোফিল কলা কী ? (Mesophyll tissue)

Answer:-  পাতার উর্ধ্বত্বক ও নিম্নত্বকের মধ্যে অবস্থিত ক্লোরোফিলযুক্ত আদি কলাস্থরকে মেসোফিল কলা বলে । পাতার মেসোফিল কলা সালোকসংশ্লেষের প্রধান ঘটনাস্থল । বিষমপৃষ্ঠ পাতার মেসোফিল কলা প্যালিসেড প্যারেনকাইমা (palisade parenchyma) ও স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা (spongy parenchyma) দ্বারা গঠিত । কিন্তু সমাঙ্কপৃষ্ঠ পাতার মেসোফিল কলায় কেবলমাত্র স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা থাকে । দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের ক্ষেত্রে মেসোফিল কলা উপরের দিকে প্যালিসেড প্যারেনকাইমা (palisade parenchyma) এবং নীচের দিকে স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা (spongy parenchyma) নামক দুটি কলাস্থরে বিভেদিত  । কিন্তু সমাঙ্কপৃষ্ঠ পাতার মেসোফিল কলায় কেবলমাত্র স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা থাকে । একমাত্র ক্লোরোফিলই সূর্যালোক শোষণে সক্ষম । 

Question No. 6   উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষের জন্য দায়ী কোষ গুলির নাম কী ?

Answer :-   উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদের পাতার মেসোফিল কলার প্যালিসেড প্যারেনকাইমা ও স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা কোষগুলি সালোকসংশ্লেষের জন্য দায়ী ।

Question No. 7   উদ্ভিদের মূলে ও মৃদগত কান্ডে সালোকসংশ্লেষ হয় না কেন ?

Answer :-   উদ্ভিদের মূলে ক্লোরোফিল থাকে না এবং মূল সাধারনত মাটির নীচে থাকায় সূর্যালোক পায় না, তাই উদ্ভিদের মূলে ও মৃদগত কান্ডে সালোকসংশ্লেষ হয় না ।

Question No. 8  রাত্রে সালোকসংশ্লেষ হয় না কেন ?

Answer :-  রাত্রে সূর্যালোক থাকে না এবং গাছের পত্ররন্ধ্র বন্ধ থাকায় CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) প্রবেশ করতে পারে না তাই রাত্রে সালোকসংশ্লেষ হয় না । সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার জন্য যে শক্তির প্রয়োজন তার প্রধান উৎস সূর্যালোক । সূর্যালোকের ফোটন কণা ক্লোরফিলকে সক্রিয় করে, জলের আলোক বিশ্লেষণ ঘটায় ও ফটোফসফোরাইলেশন -এ সহায়তা করে । সুতরাং সূর্যালোকের অভাবে সালোকসংশ্লেষ সম্ভব নয় ।  তবে কৃত্রিম পর্যাপ্ত আলোতেও সালোকসংশ্লেষ সম্ভব ।

Question No. 9   অঙ্গার আত্তীকরণ (Carbon assimilation) কাকে বলে ?

Answer :-   যে প্রক্রিয়ায় পরিবেশ থেকে গৃহিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের কার্বন কোষস্থ জৈব যৌগে আবদ্ধ হয় তাকে অঙ্গার আত্তীকরণ (Carbon assimilation) বা কার্বন অ্যাসিমিলেশন বলে ।

Question No. 10  সালোকসংশ্লেষকে অঙ্গার আত্তীকরণ (Carbon assimilation) বা কার্বন অ্যাসিমিলেশন বলে কেন ?

Answer :-  সালোকসংশ্লেষর অন্ধকার দশায় ক্লোরোপ্লাসটের স্ট্রোমায় পরিবেশ থেকে গৃহিত কার্বন ডাই-অক্সাইড RuBP -র সঙ্গে বিক্রিয়া করে ফসফোগ্লিসারিক অ্যাসিড (PGA) উৎপন্ন করে । পরে তা থেকে গ্লুকোজ তৈরি হয় । এভাবে পরিবেশের কার্বন ডাই-অক্সাইডের কার্বন কোষস্থ জৈব যৌগ গ্লুকোজে অঙ্গীভূত হওয়ায় সালোকসংশ্লেষকে অঙ্গার আত্তীকরণ বা কার্বন অ্যাসিমিলেশন বলে ।

Question No. 11  উদ্ভিদের মূলে সালোকসংশ্লেষ হয় না কেন ?

Answer:-   উদ্ভিদের মূলে ক্লোরোফিল থাকে না এবং মূল সাধারনত মাটির নীচে থাকায় সূর্যালোক পায় না, তাই উদ্ভিদের মূলে সালোকসংশ্লেষ হয় না ।

Question No. 12  রাত্রে গাছের নীচে থাকা অস্বাস্থ্যকর কেন ?

Answer:-   রাত্রে সূর্যালোকের অনুপস্থিতিতে গাছ সালোকসংশ্লেষ চালায় না বলে গাছ থেকে অক্সিজেন (O2) নির্গত হয় না । অন্যদিকে রাত্রে গাছের শ্বসনক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় গাছের নীচে কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) -এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে বায়ু দুষিত হয় ও শ্বাসক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে । তাই রাত্রে গাছের নীচে থাকা অস্বাস্থ্যকর ।

Question No. 13  সমস্ত সবুজ উদ্ভিদ ধ্বংস হলে প্রাণীজগতের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে কেন ?

Answer:-  সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপন্ন করে এবং উপজাত বস্তুরূপে অক্সিজেন নির্গত করে । এছাড়া এই সময় গাছ থেকে দুষিত কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) গ্যাস শোষণ করে বায়ুকে দুষণমুক্ত করে  । সুতরাং সবুজ উদ্ভিদ ধ্বংস হলে খাদ্য ও অক্সিজেনের অভাবে প্রাণীজগতের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে ।

Question No. 14  ভেলামেন কী এবং এর কাজ কী ?

Answer:-  পরাশ্রয়ী উদ্ভিদের (অর্কিড) বায়বীয় মূলের মৃতকলার আবরণকে ভেলামেন বলে । এর সাহায্যে পরাশ্রয়ী উদ্ভিদেরা বায়ুমণ্ডল থেকে জলীয় বাষ্প শোষণ করে ।

Question No. 15   ক্লোরোসিস কী ?

Answer:-  মাটিতে ম্যাগনেসিয়াম (Mg) ও নাইট্রোজেনের অভাব ঘটলে উদ্ভিদের ক্লোরোফিল সংশেষণ ব্যাহত হয় । যার ফলে গাছে সবুজ পাতা হলুদ হয়ে যায় । একে ক্লোরোসিস বলে । 

Question No. 16  ফটোলাইসিস বা জলের আয়ানীকরণ বলতে কী বোঝো ?

Answer:-  সালোকসংশ্লেষের আলোক দশায় সবুজ পাতার ক্লোরোফিল সূর্যালোকের ফোটন কণা শোষণ করে সক্রিয় হয় । এই সক্রিয় ক্লোরোফিল জলকে (H2O) ভেঙ্গে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) -ও হাইড্রক্সিল আয়নে (OH-) পরিণত করে ।  সূর্যালোকের প্রভাবে সক্রিয় ক্লোরোফিল দ্বারা জলের (H2O)  হাইড্রোজেন আয়ন (H+) -ও হাইড্রক্সিল আয়নে (OH-) বিশ্লিষ্ট হওয়ার পদ্ধতিকে ফটোলাইসিস বলে ।

Question No. 17    সালোকসংশ্লেষের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি কী কী ?

Answer:-   সালোকসংশ্লেষের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি দুই প্রকার - বাহ্যিক উপাদান ও অভ্যন্তরীণ উপাদান । বাহ্যিক উপাদান গুলি হল  (১) কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) , (২) সূর্যালোক (Sunlight) , (৩) জল (H2O) । আর অভ্যন্তরীণ উপাদান হল ক্লোরোফিল (Chlorophyll)

Question No. 18    উদ্ভিদে জলের আলোক বিশ্লেষণ কোথায় ও কখন ঘটে ?

Answer:-   জলের আলোক বিশ্লেষণ বা ফটোলাইসিস ক্লোরোপ্লাস্টের গ্রানায় ঘটে । ফটোলাইসিস প্রক্রিয়াটি দিনের বেলায় সূর্যালোকের উপস্থিতিতে ঘটে । 

Question No. 19   হিল বিক্রিয়া কী ?

Answer:-   1940 খৃষ্টাব্দে বিজ্ঞানী রবার্ট হিল কোষ থেকে সংগৃহিত ক্লোরোপ্লাস্ট, হাইড্রোজেন গ্রাহক পটাশিয়াম ফেরিক অক্সালেট (A) এবং জলের মিশ্রণ আলো প্রয়োগ করে দেখান যে, পটাশিয়াম ফেরিক অক্সালেট বিজারিত হয়ে ফেরাস একসলেটে হয় এবং অক্সিজেন গ্যাস নির্গত হয় । এই বিক্রিয়াটিকে হিল বিক্রিয়া বলে ।

Question No. 20  আলোক দশার প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি কী কী ?

Answer:-   সূর্যালোক, জল, ক্লোরোফিল, ও অন্যান্য সাহায্যকারী রঞ্জক, NADP (নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাই-নিউক্লিওটাইড ফসফেট) ও ADP (অ্যাডিনোসিন ডাই ফসফেট) ।

Question No. 21  আলোক দশার উৎপন্ন পদার্থগুলি কী কী ?

Answer:-  NADPH + H+ (বিজারিত নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাই-নিউক্লিওটাইড ফসফেট),  ATP (অ্যাডিনোসিন ট্রাই ফসফেট) H2O (জল) ও  O2 (অক্সিজেন) ।

Question No. 22    অন্ধকার দশার প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি কী কী ?

অথবা কেলভিন চক্রের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি কী কী ?

Answer:-  কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2), রিবিউলোজ বিস ফসফেট (RuBP),  NADPH + H+,  ATP  ও রিবিউলোজ বিস ফসফেট কার্বক্সিলেজ (RuBISCO) সহ অন্যান্য উৎসেচক  ।

Question No. 23   অন্ধকার দশায় কী কী উৎপন্ন হয় ?

অথবা কেলভিন চক্রের শেষে কী কী উৎপন্ন হয় ?

Answer:-  অন্ধকার দশার প্রধান উৎপাদিত দ্রব্যটি হল গ্লুকোজ । এছাড়া RuBP, NADP ও  ADP পুনঃসংশ্লেষিত হয় ।

Question No. 24  সালোকসংশ্লেষের আলোক দশায় উৎপন্ন কোন কোন পদার্থ অন্ধকার দশায় ব্যবহৃত হয় ?

Answer:-  বিজারিত নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাই-নিউক্লিওটাইড ফসফেট (NADPH + H+) ও  অ্যাডিনোসিন ট্রাই ফসফেট (ATP )

Question No. 25  ফটোফসফোরাইলেশন কী ?

Answer:-   সূর্যালোক শোষণ করে ক্লোরোফিল অণু উদ্দীপিত হয়ে ইলেকট্রন নির্গত করে । এই ইলেকট্রন বিভিন্ন বাহকের মাধ্যমে বাহিত হয় । এই ইলেকট্রনের শক্তি কাজে লাগিয়ে ADP (অ্যাডিনোসিন ডাই ফসফেট) -এর সাথে Pi (অজৈব ফসফেট) যুক্ত হয়ে ATP (অ্যাডিনোসিন ট্রাই ফসফেট) তৈরি করে ।  এই প্রক্রিয়াকে ফটোফসফোরাইলেশন বলে ।

[tex]ADP + Pi \mathop \longrightarrow\limits^{Sunlight}{} ATP[/tex]

Question No. 26  কেলভিন চক্র কাকে বলে ?

Answer:-   সালোকসংশ্লেষের অন্ধকার দশায় যে চক্রাকার বিক্রিয়ার মাধ্যমে CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) -এর সংবন্ধন, ফসফোগ্লিসারিক অ্যাসিডের বিজারণ, শর্করা সৃষ্টি ও RuBP -এর পুনঃসংশ্লেষণ ঘটে তাকে কেলভিন চক্র বলে ।

Question No. 27   রুবিসকো (RuBISCO) কী  ?

Answer:-  সালোকসংশ্লেষের অন্ধকার দশায় একটি অতি প্রয়োজনীয় উৎসেচক হল রুবিসকো বা রিবিউলোজ বিস ফসফেট কার্বক্সিলেজ এক্সিজেনেজ । এই উৎসেচকটি RuBP ও CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) -এর সংযুক্তি ঘটিয়ে তিনকার্বন যুক্ত যৌগ PGA উৎপন্ন করে ।

Question No. 28   গ্রাণা ও স্ট্রোমার মধ্যে পার্থক্য লেখো ।

Answer:-

গ্রানা: স্ট্রোমা :
(1)  ক্লোরোপ্লাসটের চাকতির মতো সবুজ বর্ণের অংশ হল গ্রানা । (1)  ক্লোরোপ্লাস্টের ধাত্র হল স্ট্রোমা ।
(2)  এতে ক্লোরোফিল থাকে । (2)  এতে ক্লোরোফিল থাকে না , তবে উৎসেচক থাকে ।
(3)  আলোক দশা ঘটে  ।  (3)  অন্ধকার দশা ঘটে ।

 

Question No. 29  সালোকসংশ্লেষীয় অণুপাত বা ফটোসিন্থেটিক কোশেন্ট কাকে বলে ?

Answer:-  সালোকসংশ্লেষকালে এক অণু গ্লুকোজ উৎপাদনের জন্য যে পরিমাণ অক্সিজেন (আয়তন) উৎপন্ন হয় ও যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড গৃহিত হয় তার অনুপাতকে সালোকসংশ্লেষীয় অনুপাত বা ফটোসিন্থেটিক কোশেন্ট বলে ।

PQ =  সালোকসংশ্লেষকালে উৎপন্ন O2 -এর আয়তন / সালোকসংশ্লেষকালে ব্যবহৃত CO2 -এর আয়তন

Question No. 30  সালোকসংশ্লেষের দুটি প্রধান তাৎপর্য উল্লেখ করো  ।

Answer:-   (i) শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করা ।    (ii)  পরিবেশে O2 (অক্সিজেন) ও CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) -এর সমতা বজায় রাখা ।

Question No. 31  বায়ু শোধনে সালোকসংশ্লেষের ভুমিকা কী ?

Answer:- দহন ও শ্বসনে পরিবেশে CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) উৎপন্ন হয়ে পরিবেশকে দুষিত করে । সালোকসংশ্লেষের সময় উদ্ভিদ পরিবেশের CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) গ্রহন করে ও O2 (অক্সিজেন) নির্গত করে, ফলে পরিবেশ CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) -এর পরিমাণ কমে ও O2 (অক্সিজেন) -এর পরিমাণ বাড়ে । অর্থাৎ বায়ু শোধিত হয় ।

Question No. 32  সবুজ গাছ কীভাবে আমাদের শ্বাসক্রিয়ায় সাহায্য করে ?

Answer:-  সবুজ গাছ পরিবেশ থেকে CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) গ্রহন করে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এবং উপজাত বস্তুরূপে পরিবেশে গৃহিত CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) -এর সমঅণু O2 (অক্সিজেন) পরিবেশে নির্গত করে । এই অক্সিজেনের সাহায্যেই মনুষ্যকূল তথা সকল প্রাণী শ্বাসকার্য চালায় ।  অর্থাৎ সবুজ উদ্ভিদ প্রাণীজগতের শ্বাসকার্য চালানোর অক্সিজেন সরবরাহ করে ।

Question No. 33   সালোকসংশ্লেষে কীভাবে শক্তির রুপান্তর ঘটে ?

Answer:-  সালোকসংশ্লেষের আলোক দশায় ক্লোরোফিল সৌরশক্তিকে শোষণ করে উহাকে রাসায়নিক শক্তিতে পরিনত করে । এই রাসায়নিক শক্তি ATP অণুর মধ্যে সঞ্চিত থাকে । অন্ধকার দশায় ATP  -স্থিত রাসায়নিক শক্তি গ্লুকোজের মধ্যে স্থৈতিক শক্তিরূপে আবদ্ধ হয় ।

Question No. 34   আলোক দশার পর্যায়গুলো কী কী ?

Answer:-   আলোক দশার পর্যায়গুলো  হল:-

(i) সৌরশক্তি শোষণ ও ক্লোরোফিলের সক্রিয়তা ;

(ii)  জলের আলোক বিশ্লেষণ বা ফটোলাইসিস ;

(iii) বিজারিত গ্রাহক বা NADPH2 গঠন ;

(iv)  সৌরশক্তির রাসায়নিক শক্তিতে রুপান্তর বা ফটোফসফোরাইলেশন ।  

Question No. 35   অন্ধকার দশার পর্যায়গুলো কী কী ?

অথবা কেলভিন চক্রের ধারাবাহিক পর্যায়গুলি কী কী ?

অথবা সালোকসংশ্লেষের দ্বিতীয় পর্যায়ের বিক্রিয়ার ধাপগুলি লেখো ।

Answer:-   অন্ধকার দশার পর্যায়গুলি হল : (i) CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) সংবন্ধন ও PGA উৎপাদান;   (ii) PGA থেকে PGAld বা ফসফোগ্লিসারলডিহাইড গঠন ;   (iii) শর্করা সৃষ্টি ;   (iv) RuBP -এর পুনরূৎপাদন ।

Question No. 36  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় উপজাত হিসেবে অক্সিজেন কীভাবে উৎপন্ন হয় ?

Answer:-  সালোকসংশ্লেষের আলোক দশায় সক্রিয় ক্লোরোফিল জল অণুকে বিশ্লিষ্ট করে H+ ও OH- আয়নে পরিণত করে ।  এই OH- (হাইড্রক্সিল আয়ন) ইলেকট্রন (e-) ত্যাগ করে হাইড্রক্সিল মূলকে (OH) পরিণত হয় ।  4-অণু হাইড্রক্সিল মূলক (4OH) থেকে  2 অণু জল ও 1 অণু অক্সিজেন উৎপন্ন হয় ।  উৎপন্ন অক্সিজেন পাতার পত্ররন্ধ্র দিয়ে পরিবেশে নির্গত হয় ।

Question No. 37  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় কীভাবে বিজারিত গ্রাহক বা NADPH2 তৈরি হয় ?

Answer:-   সালোকসংশ্লেষের আলোক দশায় সূর্যালোকের প্রভাবে উত্তেজিত ক্লোরোফিল থেকে নির্গত ইলেকট্রন (e-) কতকগুলি বাহকের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে কোষসহ কো-এনজাইম বা হাইড্রোজেন গ্রাহক NADP এবং জলের আলোক বিশ্লেষণের ফলে উৎপন্ন হাইড্রোজেন আয়ন (H+) -এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে অর্থাৎ বিজারিত হয়ে NADPH2  গঠন করে । 

[tex]2NADP + 4{H^ + } + 4{e^ - } \longrightarrow 2NADP{H_2}[/tex] 

Question No. 38  কোয়ান্টোজোম কী ?

Answer:-  ক্লোরোপ্লাস্টের গ্রানা থাইলাকয়েডের ভেতর ক্লোরোফিল ও ক্যারোটিনয়েড সমন্বিত যে সকল বটিকাকৃতি দানা সৌরশক্তি শোষণ করে আলোক বিক্রিয়া সূচনা করে তাদের কোয়ান্টোজোম বলে । কোয়ান্টোজোমকে সালোকসংশ্লেষীয় এককও বলে ।

Question No. 39  অন্ধকার দশা কি কেবল অন্ধকারেই ঘটে (Whether the Dark Phase occurs only in the Dark) ?

Answer:-   অন্ধকার দশায় আলোর প্রয়োজন হয় না । এই দশা সূর্যালোকের উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতিতে ঘটে । আলোক দশা সম্পূর্ণভাবে আলোকনির্ভর, সেক্ষেত্রে অন্ধকার দশা আলোক নিরপেক্ষ দশা । অন্ধকার দশা সম্পন্ন হয় ঠিক আলোক দশার পরেই এবং আলোক দশায় উৎপন্ন ATP ও  NADPH2 অন্ধকার দশায় ব্যবহৃত হয় ।

Question No. 40  অন্ধকার দশাকে কার্বন-বিজারণ দশা বলে কেন ?

Answer:-  অন্ধকার দশায় কার্বন ডাই-অক্সাইডের বিজারণ (NADPH2 দ্বারা ) ঘটে গ্লুকোজ উৎপন্ন হয় বলে একে কার্বন বিজারণ বলে ।

Question No. 41  ব্ল্যাকম্যান বিক্রিয়া কাকে বলে ?

Answer:-  বিজ্ঞানী ব্ল্যাকম্যান সালোকসংশ্লেষের অন্ধকার বিক্রিয়াটি প্রথম পর্যবেক্ষণ করেন বলে অন্ধকার বিক্রিয়াকে ব্ল্যাকম্যান বিক্রিয়া বলে ।

Question No. 42  সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন গ্লুকোজ কিরূপে কোথায় সঞ্চিত হয় ?

Answer:-  সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন গ্লুকোজ থেকে এক অণু জল বেরিয়ে গিয়ে অদ্রবণীয় স্টার্চ ব শ্বেতসারে পরিণত হয় । উৎপন্ন শ্বেতসার উদ্ভিদের বিভিন্ন সঞ্চয়ী অঙ্গে যেমন : মূল (মূলো, গাজর ), মৃদগত কান্ড (আলু), বীজপত্র (মটর) শস্য (ধান, গম) ফল (আঙ্গুর, আম) বীজে (কাঁঠাল বীজ ) সঞ্চিত হয় ।

Question No. 43  সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন গ্লুকোজ শ্বেতসার ব স্টার্চে রুপান্তরিত হয় কেন ?

Answer:-  সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন গ্লুকোজ (দ্রবণীয়) থেকে দুটি বিশেষ উদ্দেশ্যে এক অণু জল বের হয়ে অদ্রবণীয় শ্বেতসার ব স্টার্চে পরিণত হয় ।

(i)  সহজে দ্রবণীয় গ্লুকোজের বেশি ঘনত্ব সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় যাতে বিপত্তি ঘটাতে না পারে ।

(ii)  ভাবিষ্যতের জন্য খাদ্য সঞ্চয় ।

       [tex]{({C_6}{H_{12}}{O_6})_n} \longrightarrow ({C_6}{H_{10}}{O_5}) + {H_2}O[/tex]

 

Question No. 44  আত্তীকরণীয় স্টার্চ ও সঞ্চিত স্টার্চ কী ?

Answer:-  দিনের বেলায় সবুজ উদ্ভিদের সূর্যালোকের উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় যাতে গ্লুকোজ সৃষ্টি বাধা না পায়, তার জন্য সদ্য উৎপন্ন গ্লুকোজের প্রতি অণু থেকে জল বেরিয়ে গিয়ে যে ক্ষণস্থায়ী, অদ্রবণীয় শ্বেতসার তৈরি হয় তাকে আত্তীকরণীয় শ্বেতসার (স্টার্চ) বা অ্যাসিমিলেটরি স্টার্চ বলে ।

    উদ্ভিদের ভান্ডার অংশে (বিশেষত মূল ও মৃদগত কাণ্ড) গ্লুকোজ অ্যামাইলেজ উৎসেচকের প্রভাবে জল নির্গত করে যে অদ্রবণীয় শ্বেতসার উৎপন্ন করে তাকে সঞ্চিত স্টার্চ বা রিজার্ভড স্টার্চ বলে ।

Question No. 45   সালোকসংশ্লেষে গ্লুকোজ মধ্যস্থ অক্সিজেন ও পরিবেশে নির্গত অক্সিজেনের উৎস কী ?

Answer:-  সালোকসংশ্লেষে গ্লুকোজ মধ্যস্থ অক্সিজেনের উৎস হল পরিবেশ থেকে গৃহিত CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) ও পরিবেশে নির্গত অক্সিজেনের উৎস হল H2O ।

Question No. 46  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদের শুষ্ক ওজন বাড়ে কেন ?

Answer:-   সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ উৎপন্ন হওয়ায় উদ্ভিদের শুষ্ক ওজন বাড়ে ।

Question No. 47  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় গ্যাসীয় উপাদানটি উদ্ভিদরা কীভাবে সংগ্রহ করে ?

Answer:-  সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় গ্যাসীয় উপাদানটি হল কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2 ) । স্থলজ  উদ্ভিদরা পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল থেকে CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) গ্রহন করে । জলজ উদ্ভিদরা জলে দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড বাই-কার্বনেট ([tex]HCO_3^ - [/tex]) আয়ন রূপে গ্রহন করে । পরাশ্রয়ী উদ্ভিদরা পারিপার্শ্বিক বায়ুমণ্ডল থেকে CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) গ্রহন করে ।

Question No. 48  সালোকসংশ্লেষের অন্ধকার দশায় প্রথম রাসায়নিক বিক্রিয়াটি লেখো

Answer:-  সালোকসংশ্লেষের অন্ধকার দশায় প্রথম রাসায়নিক বিক্রিয়াটি হল CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) সংবন্ধন বা অঙ্গার আত্তীকরণ (Carbon assimilation) । এই পর্যায়ে পরিবেশ থেকে গৃহিত CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) কোষস্থ শর্করা যৌগ RuBP -এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে তিন কার্বন যুক্ত যৌগ ফসফোগ্লিসারিক অ্যাসিড (PGA) নামক কার্বন যৌগ সৃষ্টি করে ।

[tex]6C{O_2} + 6RuBP \mathop \longrightarrow \limits_{RuBiSCO}^{Enzyme} 12PGA[/tex]

Question No. 49  কেলভিন চক্রকে C3 চক্র বলে কেন ?

Answer:-  কেলভিন চক্রে (অন্ধকার বিক্রিয়ায়) প্রথম উৎপাদিত স্থায়ী যৌগটি হল তিন কার্বনযুক্ত (3C) ফসফোগ্লিসারিক অ্যাসিড (PGA) । তাই একে C3 চক্র বলে ।

Question No. 50  স্ট্রোমা ও স্ট্রোমাটার পার্থক্য কী ?

Answer:-   (i) স্ট্রোমা হল ক্লোরোপ্লাস্টের ধাত্র, অপর পক্ষে স্ট্রোমাটা হল প্রহরী কোষবেষ্টিত রন্ধ্র বা পত্ররন্ধ্র ।

          (ii) স্ট্রোমা CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) -এর স্থিতিকরণের জন্য সালোকসংশ্লেষের অন্ধকার বিক্রিয়ার স্থান, অপরপক্ষে স্ট্রোমাটা বাষ্পমোচন ও গ্যাসীয় আদান-প্রদান ঘটানোর স্থান । 

Question No. 51  সোলারাইজেশন কী ?

 Answer:-  ধারাবাহিক আলোর থেকে বিক্ষিপ্ত আলোতে সালোকসংশ্লেষের হার বেশি হয় । তীব্র আলোকে ক্লোরোফিল বিনষ্ট হয়ে সালোকসংশ্লেষ বন্ধ হয়ে যায় । একে সোলারাইজেশন বলে ।

Question No. 52  গাছে পাতা দেখতে সবুজ হয় কেন ?

Answer:-  ক্লোরোফিল রঞ্জকের 'হিম' অংশ দৃশ্যমান বর্ণালির লাল ও নীল-বেগুনী অংশ শোষণ করে কিন্তু সবুজ অংশ (500-560nm) প্রতিফলিত করে ক্লোরোফিল তথা গাছের পাতা সবুজ দেখায় ।

Question No. 53  অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছের সঙ্গে সবুজ গাছ রাখার সুবিধা কী ?

Answer:-  অ্যাকোয়ারিয়ামে সবুজ গাছ রাখলে সবুজ গাছ সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া চালিয়ে অক্সিজেন নির্গত করবে এবং এই অক্সিজেন (O2)  মাছের শ্বাসকার্যের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন যোগাবে । আবার মাছ -এর শ্বাসক্রিয়ায় উৎপন্ন CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড)  সবুজ গাছকে সালোকসংশ্লেষ চালাবার প্রয়োজনীয় CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) সরবরাহ করবে ।

*****

Related Items

মানব দেহে খনিজ লবনের প্রয়োজনীয়তা

খনিজ লবনের প্রয়োজনীয়তা জীব দেহের স্বাভাবিক পুষ্টির জন্য খনিজ লবনের প্রয়োজনীয়তা আছে। জীব দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য খনিজ লবনের প্রয়োজন। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অর্জনের জন্য খনিজ লবনের গ্রহনের প্রয়োজন আছ, সাতটি খনিজ লবনের নাম ও তাদের উৎস ।

আরশোলার গমন

চলা ফেরা বা হাঁটার জন্য আরশোলার তিন জোরা সন্ধিল পদ বর্তমান। আরশোলার পৃষ্ঠ দেশে দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডকে মোট দু জোরা ডানা আছে। আরশোলার দু জোরা ডানার মধ্যে প্রথম ডানা জোরা শক্ত ও পুরু। তারা উড্ডয়নে সাহায্য করে না। দ্বিতীয় ডানা জোরা স্বচ্ছ ও পাতলা ...

কেঁচোর গমন

প্রাণীর নাম – কেঁচো, গমন অঙ্গের নাম, গমনে সাহায্যকারী পেশীর নাম, গমন পদ্ধতির নাম, গমন পদ্ধতি - কেঁচোর দেহ খণ্ডতলের অঙ্গীয় তলে অবস্থিত আণুবীক্ষণিক এক আয়তন কণ্টক সদৃশ্য অঙ্গ হল সিটি । সিটির এক প্রান্ত দেহ অভ্যন্তরস্ত থলির মধ্যে থাকে। ...

অ্যামিবার গমন

প্রাণীর নাম - অ্যামিবা, গমন অঙ্গের নাম, গমন পদ্ধতির নাম, গমন পদ্ধতি - ক্ষনপদ হল অ্যামিবার কোষ পর্দা সমূহ দেহ প্রোটোপ্লাজমের অংশ বিশেষ যা নলাকারে প্রসারিত হয়। গমনের সময় ক্ষনপদ সামনের দিকে প্রসারিত হয় এবং কোনো কঠিন বস্তুর সঙ্গে ক্ষনপদটিকে দৃঢ় ভাবে আবদ্ধ করে।

উদ্ভিদ দেহে ন্যাস্টিক চলন

উদ্ভিদের স্থায়ী অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের তীব্রতা বা ব্যাপ্তি অনুসারে হয় , তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে। ন্যাস্টিক চলনের প্রকারভেদ , ফটোন্যাস্টি, থার্মোন্যাস্টি, নিকটিন্যাস্টি, কেমোন্যাস্টি, সিসমোন্যাস্টি। ...