যানবাহন-যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস : সভ্যতার অগ্রগতির ক্ষেত্রে যানবাহন-যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । প্রাচীনকালে চাকার আবিষ্কার থেকে শুরু করে হাল আমলের ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন এক নিরবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া । যানবাহন-যোগাযোগ ব্যবস্থা বিভিন্ন দেশের ইতিহাসকে নানাভাবে প্রভাবিত করে । যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে ওই স্থানের ভৌগোলিক পরিবেশ জড়িত । যেমন, আরবের মরুভূমিতে চলে উট আর সাইবেরিয়ায় চলে কুকুরে টানা স্লেজ গাড়ি । আধুনিক যুগে অবশ্য যানবাহন ব্যবস্থার বিবর্তন ঘটেছে । গোরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ির মতো স্লথগতির যানবাহন ব্যবস্থার উত্তরণ ঘটেছে ট্রেন, বাস, এরোপ্লেন -এর মতো দ্রুতগতির যানবাহনে । কলকাতায় যেমন ঘোড়ায় টানা গাড়ি থেকে ধীরে ধীরে ট্রাম, বাস, চক্ররেল, মেট্রোরেল -এর মতো দ্রুতগামী যানবাহন ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে । টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা এবং রেলপথ প্রতিষ্ঠার আগে পর্যন্ত ভারতে যোগাযোগ রক্ষার অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল ডাকহরকরা । অধুনা ইন্টারনেট ব্যবস্থার ফলে যে-কেউ বিশ্বের যে-কোনো প্রান্তের সঙ্গে মুহূর্তে যোগাযোগ করতে পারে । যোগাযোগের সূত্র ধরে ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য যেমন বিস্তৃত হয়েছিল তেমনি জাতীয়তাবাদ ও বিপ্লবের বিকাশেও এর গুরুত্ব অপরিসীম । অধ্যাপক বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়, ইয়ানক, সুনীল কুমার মুন্সী প্রমুখ যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর মৌলিক কাজ করেছেন ।
*****