বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (উনিশ শতকের মধ্যভাগ - বিশ শতকের প্রথম ভাগ) : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 01/07/2021 - 10:16

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (Alternative Ideas and Initiatives) - উনিশ শতকের মধ্যভাগ - বিশ শতকের প্রথম ভাগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা :

বঙ্গদেশে আধুনিক ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার পূর্বে হাতে লেখা পুঁথিপত্রের সাহায্যে শিক্ষা গ্রহণের কাজ চলত । এইসব পুঁথিপত্রের দাম যথেষ্ট বেশি হওয়ায় সেই সময়ে নিম্নবিত্ত দরিদ্র সমাজে শিক্ষার প্রসার তেমন ঘটেনি । বাংলার শিক্ষাদান সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে সীমিত ছিল । ছাপা বই বাজারে আসার আগে বাংলায় শিক্ষার প্রসার খুবই সীমাবদ্ধ ছিল । উনিশ শতক থেকে বাংলায় ছাপাখানার বিকাশ হতে শুরু করে । ছাপাখানা গড়ে উঠতে শুরু করলে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ, সাময়িকপত্র, সংবাদপত্র প্রকাশ হতে থাকে সেই সঙ্গে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত গ্রন্থের মাধ্যমে প্রকাশনার বিকাশ শুরু হয় । ছাপাখানার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে ছাপা বইয়ের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং তার ফলে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর জ্ঞান তথা শিক্ষা বিস্তার ঘটতে শুরু করে । ছাপাখানার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে ছাপাখানার ব্যবসায়িক উদ্যোগকে সফল করার জন্য বিভিন্ন বাঙালি এগিয়ে আসেন । এদের মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত ইউ এন রায় অ্যাণ্ড সন্স কোম্পানি ছিল অগ্রগণ্য । উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ ঘটতে শুরু করে ও সেই সঙ্গে বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা শুরু হয় । এই সময় ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স, কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ, বসু বিজ্ঞান মন্দির, জাতীয় শিক্ষা পরিষদ, বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ও একাধিক বিজ্ঞান ও কারবারি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে । ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার অসার বাস্তবতা উপলব্ধি করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম বিদ্যালয় গড়ে তোলেন, যা বর্তমানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত । প্রাচীন ভারতের তপোবন শিক্ষার আদর্শে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে প্রকৃতির কোলে আশ্রমিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেন ।

*****

Comments

Related Items

আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ । কী কারণে শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে ছিল ?

প্রশ্ন:-  আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ । কী কারণে শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে ছিল ?

আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান—

’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

প্রশ্ন:-  ’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল 'করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে' ।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার আলোচনা কর ।

১৯৪২ সালের ৮ই আগষ্ট ‘ভারত-ছাড়ো প্রস্তাব’ গৃহীত হলে পরদিন অর্থাৎ ৯ই আগষ্ট, ১৯৪২ এর ভোর থেকেই আন্দোলন শুরু হয়, যেমন—

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কোন ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে স্যার স্ট্যাস্ট্যাস্ট্যাফোর্ড ক্রিপ্‌স ভারতে এসেছিলেন ?

প্রশ্ন:-  ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কোন ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপ্‌স ভারতে এসেছিলেন ?

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান আলোচনা কর ।

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান বিশেষভাবে স্মরনীয় ।