আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসাবে চিঠিপত্রের গুরুত্ব

Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 09/25/2020 - 19:37

আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান হিসাবে চিঠিপত্রের গুরুত্ব:-

চিঠিপত্র (ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহেরুর চিঠি) : সরকারি চিঠিপত্রের মতো বিভিন্ন ব্যক্তির লেখা ব্যক্তিগত চিঠিপত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদিও আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে বিবেচিত হয় । এইসব ব্যক্তিগত চিঠিপত্র থেকে সমকালীন বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার মূল্যবান তথ্যাদি পাওয়া যায় ।  বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক যেসব চিঠির আদানপ্রদান হয়, সেগুলি ইতিহাসের উপাদান হিসেবে খুব গুরুত্বপূর্ণ । কারণ এই চিঠিপত্রগুলি একপ্রকার লিখিত দলিল যেখান থেকে সমকালীন বা অতীতের নানা তথ্য মেলে । অনেকসময় এইসব চিঠিপত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি আমাদের ইতিহাসের ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দেয় । এক্ষেত্রে আমাদের স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু তাঁর কন্যা ইন্দিরাকে যে চিঠিগুলি লিখেছেন, সেখান থেকে প্রাপ্ত বহু তথ্য ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে বিবেচিত হয় । ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে যখন ইন্দিরার বয়স মাত্র দশ তখন জওহরলাল নেহেরু এই ব্যক্তিগত চিঠিগুলি লেখেন । নেহেরু এগুলি প্রকাশ করতে চাননি । শেষপর্যন্ত বন্ধুদের অনুরোধে তিনি চিঠিগুলি প্রকাশ করেন । এইসব চিঠিতে জওহরলাল আধুনিক ভারত বা তাঁর সমকালীন ভারত সম্পর্কে কিছু লেখেননি, হয়তো এই কারণে যে তা একটি দশ বছরের বালিকার পক্ষে প্রয়োজনীয় ছিল না । তিনি তাঁর কন্যাকে ইতিহাসের বিবর্তন ও সভ্যতার বিকাশ সম্পর্কে একটি ধারণা দিতে চেয়েছিলেন । এসব সম্পর্কে ছোটো ইন্দিরার মনে যেসব প্রশ্ন জাগত, তার সেই কৌতূহল মেটাতেই এইসব চিঠির অবতারণা । পৃথিবীর প্রথম যুগের কথা এবং মানুষ কীভাবে নিজের শক্তি সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠল সে কথাই এই চিঠিগুলিতে বলা হয়েছে ।

***

Comments

Related Items

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণ

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণ (Students' Role in Armed Revolutionary Struggles) :-

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরাধীন জাতির মুক্তি সংগ্রামে সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে । ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসেও জাতীয

রশিদ আলি দিবস (Rasid Ali Day)

রশিদ আলি দিবস (Rasid Ali Day) :-

১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ২রা ফেব্রুয়ারি লালকেল্লার সামরিক আদালতে আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনা অফিসার ক্যাপ্টেন রশিদ আলিকে কোর্ট মার্শাল করে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করলে এই অবিচারের প্রতিবাদে ও তাঁর মুক্তির দাবিতে

ভারত ছাড়ো আন্দোলন পর্বে ছাত্র আন্দোলন

ভারত ছাড়ো আন্দোলন পর্বে ছাত্র আন্দোলন (Students' Participation in the Quit India Movement) :-

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৯ই আগস্ট মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ড

আইন অমান্য আন্দোলন পর্বে ছাত্র আন্দোলন

আইন অমান্য আন্দোলন পর্বে ছাত্র আন্দোলন (Students' Participation in the Civil Disobedience Movement):-

১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে গান্ধিজির নেতৃত্বে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ব্রিটিশ অপশাসনের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দিলে সেই আন্দোলনে ভারতের ছাত্রসম

অহিংস অসহযোগ আন্দোলন পর্বে ছাত্র আন্দোলন

অহিংস অসহযোগ আন্দোলন পর্বে ছাত্র আন্দোলন (Students' Participation in the Non Co-operation Movement):-

মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, দমনমূলক রাওলাট আইন, জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ড, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক অপশাসন প্রভৃতি বিভিন্ন কারণে গান্ধিজির নেতৃত্বে জা