প্রশ্ন:- ১ মন্থকূপ কী ?
পার্বত্য গতিতে নদীখাতের কোনো অংশের নরম শিলা থাকলে প্রবল জলস্রোতের সঙ্গে সঙ্গে নদীবাহিত নানান আকৃতির শিলাখন্ডগুলিও ঘুরতে থাকায় নদীখাতে গর্তের আকার ক্রমশ বেড়ে হাঁড়ির মতো হয় । পার্বত্য পথে নদীর ক্ষয়কাজের ফলে সৃষ্টি হওয়া এইসব গর্তকে মন্থকূপ বা পটহোল বলে ।
প্রশ্ন:- ২ খরস্রোত কী ?
নদীর পার্বত্য গতিপথে কোমল ও কঠিন শিলা স্তরগুলি একটির পর একটি লম্বালম্বিভাবে থাকলে কোমল শিলাস্তরগুলি কঠিন শিলাস্তরের তুলনায় অপেক্ষাকৃত তাড়াতাড়ি ক্ষয়ে গিয়ে কয়েকটি সিঁড়ি বা ধাপের সৃষ্টি করে । নদী-উপত্যকায় সিঁড়ি বা ধাপের সৃষ্টি হলে নদীস্রোত একটির পর একটি সিঁড়ি পেরিয়ে ধাপে ধাপে প্রবলবেগে নীচে নেমে আসে, একে খরস্রোত বলা হয় ।
উদাহরণ:- মিশরের আসোয়ান থেকে আটবারা পর্যন্ত স্থানে নীল নদের গতিপথে ছ্য় জায়গায় খরস্রোত দেখা যায় ।
প্রশ্ন:- ৩ সমপ্রায় ভূমি কাকে বলে ?
নদীর জলপ্রবাহ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে কোনও প্রাচীন মালভূমি অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে ক্রমশ ক্ষয় পেতে পেতে এক সময় উঁচু-নীচু ঢেউ খেলানো ভূমি বা প্রায় সমতলভূমিতে পরিণত হলে তাদের সমপ্রায় ভূমি বলা হয় । সমপ্রায় ভুমির এখানে ওখানে ছোটো ছোটো পাহাড় বা মোনাডনক দেখা যায় ।
উদাহরণ: ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের ছোটোনাগপুর মালভূমির পূর্ব অংশে সমপ্রায় ভূমি দেখা যায় ।
প্রশ্ন:- ৪ খাঁড়ি কাকে বলে ?
মোহনার কাছে (১) নদীতে জলস্রোত খুবই বেশি থাকলে অথবা, (২) সমুদ্র বেশি গভীর হলে কিংবা (৩) সমুদ্রস্রোতের অপসারণ ক্ষমতা খুবই বেশি হলে মোহনার কাছে পলি সঞ্চিত হাতে পারে না । ফলে কোনো বদ্বীপ গঠিত হয় না । এমত অবস্থায় নদীর মোহনাটি যথেষ্ট খোলা ও প্রশস্ত হলে এই ধরনের খোলা ও প্রশস্ত নদী মোহনাটিকে খাঁড়ি বলে । উদাহরণ হিসাবে আমাজন, কঙ্গো, টেমস্, ক্লাইড প্রভৃতি নদীতে এই রকম খাঁড়ির সৃষ্টি হয়েছে ।
উদাহরণ:- কলকাতা শহর গঙ্গার স্বাভাবিক বাঁধার ওপর অবস্থিত ।
প্রশ্ন:- ৫ পলল ব্যজনী অথবা পলিশঙ্কু কী ?
পার্বত্য অঞ্চল পার হয়ে নদী যখন সমভূমিতে নেমে আসে তখন ভূমির ঢাল হঠাৎ কমে যায় । নদীর বহন ক্ষমতা ও স্রোত বেগ দুইই হঠাৎ কমে যায় । ফলে নদী উপত্যকায় নদী বাহিত শিলাখন্ড, পলি, বালি, নুড়ি, কাঁকর প্রভৃতি জমতে থাকে । কালক্রমে তিন কোণা শঙ্কু আকৃতির পলিগঠিত ভূমি বা পলল ব্যজনীর সৃষ্টি হয় ।
উদাহরণ:- গঙ্গার সমভূমি প্রবাহে হরিদ্বার ও হৃষীকেশের কাছে বহু পলল ব্যজনী দেখা যায় ।
প্রশ্ন:- ৬ নদীমঞ্চ কাকে বলে ?
নদীর মধ্যগতিতে নদী যখন সমভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত নদীর উভয় তীরে অনেক সময় একাধিক অসমান ধাপ বা মঞ্চ দেখা যায়, এদের নদীমঞ্চ বলা হয় । মধ্যগতিতে নদী-উপত্যকার দু’ধারে নদীবাহিত বিভিন্ন পদার্থ যেমন- শিলাখন্ড, পলি, বালি, নুড়ি, কাঁকর প্রভৃতি ক্রমাগত সঞ্চিত হয়ে এই ধরনের অসমান ধাপ তৈরি হয় । নতুন নদী উপত্যকা পুরোনো নদী উপত্যকার তুলনায় বেশি গভীর হওয়ায় এই ধরনের নদীমঞ্চের সৃষ্টি হয় । ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা প্রভৃতি নদীর উভয় তীরে নদীমঞ্চ দেখা যায় ।
প্রশ্ন:- ৭ উপকূলীয় হিমবাহ কাকে বলে ?
উত্তরে সুমেরু বৃত্তের মধ্যে অবস্থিত সুমেরু মহাসাগরে এবং দক্ষিণে কুমেরু বৃত্তের মধ্যে অবস্থিত দক্ষিণ মহাসাগরের উপকূল অঞ্চল উপকূলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে বিস্তৃত বরফের স্তর বা হিমবাহ আছে, এই সমস্ত হিমবাহকে উপকূলীয় হিমবাহ বলা হয় ।
উদাহরণ:- অ্যান্টার্কটিকার রস উপকূল অঞ্চলে উপকূলীয় হিমবাহ দৃশ্যমান ।
প্রশ্ন:- ৮ হিমসিঁড়ি কী ?
উচ্চ পার্বত্য উপত্যকার সমগ্র অংশে হিমবাহ কখনো কখনো সমানভাবে প্রবাহিত হয় না । তখন পার্বত্য উপত্যকাটির বিভিন্ন অংশে ক্ষয়কাজের পার্থক্য হয় । ফলে উপত্যকার গায়ে সিঁড়ির মতো বহু ধাপের সৃষ্টি হয় । হিমবাহের ক্ষয়কাজের তারতম্যের জন্য পার্বত্য উপত্যকায় গঠিত হওয়া এইসব সিঁড়ি বা ধাপকে হিমসিঁড়ি বা আল্পস বলে ।
প্রশ্ন:- ৯ প্যাটার্নস্টার হ্রদ কাকে বলে ?
প্রাকৃতিক কারণে কোনো অঞ্চলে হিমসিঁড়িগুলির ঢাল উপত্যকার দিকে না হয়ে পর্বতের দিকে হয় । তখন হিমবাহ গলা জল উপত্যকার দিকে যেতে না পেরে হিমসিঁড়িগুলির মধ্যে আবদ্ধ হয়, এবং হ্রদের সৃষ্টি করে । এই ভাবে সৃষ্ট হ্রদকে প্যাটার্নস্টার হ্রদ বলে ।
প্রশ্ন:- ১০ ফিয়র্ড কী ?
সমুদ্র উপকূল সংলগ্ন পার্বত্যভূমিতে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে গিরিখাতের সৃষ্টি হয় । এই সব গিরিখাতগুলির মধ্যে আংশিক জলপূর্ণ গিরিখাতকে ফিয়র্ড বলে । পার্বত্য অঞ্চলের সমুদ্র উপকূলভাগ অনেক সময় হিমবাহ দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ও অসংখ্য উপত্যকার সৃষ্টি করে । এইসব উপত্যকাগুলি জলমগ্ন হলে ফিয়র্ডের সৃষ্টি হয় । ইউরোপ মহাদেশের স্কটল্যান্ড ও নরওয়ের সমুদ্র উপকূলভাগে অসংখ্য ফিয়র্ড দেখা যায়, এদের গভীরটা খুব হয়,নরওয়ের সোজনে-ফিয়র্ডের গভীরতা প্রায় ১২০০ মিটার ।
প্রশ্ন:- ১১ কেটল (Kettle) কী ?
হিমবাহের সঞ্চয় কাজের ফলে যেসব ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, কেটল হল তার মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপের নিদর্শন । আউট ওয়াস সমভূমিতে (Out-wash-Plain) - এ হিমবাহের নানারকম অবক্ষেপণের মধ্যে চাপা পড়া বিরাট বরফের চাঁই থেকে যায় । কালক্রমে বরফ গলে গেলে অঞ্চলটি বেশ বড়ো আকারের গর্তরূপে অবস্থান করে, এই সব গর্তকে কেটেল বলা হয় । এইসব গর্তগুলো জলপূর্ণ হয়ে যে হ্রদ সৃষ্টি করে, তাকে কেটল হ্রদ বলে । ইউরোপ মহাদেশের স্কটল্যান্ডের ওর্কনে দ্বীপে ‘কেটল’ ভূমিরূপ এবং ‘কেটল হ্রদ’ দেখা যায় ।
প্রশ্ন:- ১২ নব বলতে কী বোঝায় ?
হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, গ্রাবরেখা (Moraine) হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সময় ক্ষয় পাওয়া শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সঙ্গে বয়ে চলে । এই সব বিচ্ছিন্ন ও ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাখন্ডের কিছু অংশ হিমবাহের দু’পাশে, সামনে ও তলদেশে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয় । সঞ্চিত এইসব শিলাস্তূপকে গ্রাবরেখা বলে । শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সামনে স্তূপাকারে সঞ্চিত হলে তাকে প্রান্ত-গ্রাবরেখা (Terminal Moraine) বলে । অনেক সময় হিমবাহের প্রান্তভাগ থেকে প্রবাহিত বরফগলা জলধারার প্রভাবে প্রান্ত-গ্রাবরেখার মধ্যে পাথর, নুড়ি, কাঁকর প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে ছোটো ছোটো টিলা বা ঢিবির মতো ভূমিরূপ সৃষ্টি করে, ছোটো ছোটো টিলা বা ঢিবির মতো এই ধরনের ভূমিরূপকে নব বলা হয় ।
প্রশ্ন:- ১৩ ভেন্টিফ্যাক্ট ও ড্রিক্যান্টার কী ?
বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে ভাসমান বালি, ছোটো ছোটো পাথরকুচি, শক্ত কোয়ার্টজ কণা প্রভৃতির সঙ্গে শিলার ঘর্ষণে শিলাস্তর ক্ষয় পায়, একে অবঘর্ষ বলে । মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুবাহিত বালির সঙ্গে সংঘর্ষে যখন পাথরখন্ডগুলোর সামনের দিকে ছুঁচালো ও মসৃণ হয়ে যায়, তখন তাকে ভেন্টিফ্যাক্ট বলে। মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুবাহিত বালির সঙ্গে সংঘর্ষে যখন পাথরগুলোর তিনদিকই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তখন তাকে ড্রিকান্টার বলা হয় ।
প্রশ্ন:- ১৪ ধান্দ কাকে বলে ?
বায়ুর অপসারণ প্রক্রিয়ায় শিথিল বালুকারাশি একস্থান থেকে অপর স্থানে স্থানান্তরিত হয় । মরুভূমি অঞ্চলে শিথিল বালুকারাশি এভাবে অপসারণের ফলে মরুভূমির কোনো কোনো স্থানে নীচু হয়ে যায় এবং মরুভূমিতে ছোটো বড়ো নানান আকৃতির গর্ত সৃষ্টি হয় । রাজস্থানের থর মরুভূমিতে বায়ুর অপসারণের ফলে সৃষ্টি হওয়া ছোটো ছোটো গর্তকে স্থানীয়ভাবে ধান্দ বলে ।
প্রশ্ন:- ১৫ মরূদ্যান (Oasis) কী ?
প্রবল বায়ূপ্রবাহের ফলে বহুদিন ধরে মরুভূমির কোনো স্থানের বালি অপসারিত হয়ে নীচু হতে হতে নীচু অংশের গভীরতা যখন ভূগর্ভের জলস্তর পর্যন্ত পৌঁছে যায় তখন সেখানে মরূদ্যান [Oasis] সৃষ্টি হয়। মরূদ্যান জলহীন শুষ্ক এবং রুক্ষ মরুভূমিতে মানুষ ও পশুর জীবন রক্ষা করে ।
উদাহরণ:- সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধ একটি বড় মরূদ্যানের উপর গড়ে উঠেছে ।
প্রশ্ন:- ১৬ সমপ্রায় ভূমি কাকে বলে ?
নদীর জলপ্রবাহ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে প্রাচীন মালভূমি এবং উচ্চভূমি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষয় পেতে পেতে এক সময় উঁচু-নীচু ঢেউ-খেলানো ভূমি বা প্রায় সমতলভূমিতে পরিণত হলে তাদের সমপ্রায় ভূমি বলা হয় ।
উদাহরণ:- ঝাড়খন্ড রাজ্যের ছোটনাগপুর মালভূমির কোনো কোনো অংশ সমপ্রায়ভূমি এবং এদের মধ্যে পরেশনাথ ও পাঞ্চেত পাহাড় দুটি হল মোনাডনক ।
প্রশ্ন:- ১৭ নদীর নিম্নগতি বা বদ্বীপ প্রবাহ কাকে বলে ?
উচ্চ ও মধ্যগতি প্রবাহের পর নদীপ্রবাহ যখন সমুদ্র সমতলে আসে, তখন সেখান থেকে মোহনা পর্যন্ত অংশে নদীর প্রবাহকে নদীর নিম্নগতি বা বদ্বীপ প্রবাহ বলে । মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের পর থেকে গঙ্গাসাগরের মোহনা পর্যন্ত অংশে গঙ্গার গতিপ্রবাহকে নিম্ন বা বদ্বীপ প্রবাহ বলা হয় ।
প্রশ্ন:- ১৮ নদীর বিভিন্ন কাজ কী কী বিষয়ের ওপর নির্ভর করে ?
নদীর উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ গতিপথে নদী প্রধানত তিন রকমের কাজ করে থাকে, যথা- (ক) ক্ষয়সাধন, (খ) বহন, ও (গ) অবক্ষেপন বা সঞ্চয় । এই তিন ধরনের কাজ নির্ভর করে নদীর সামর্থ্যের ওপর । নদীর সামর্থ্য নির্ভর করে প্রধানত তিনটি বিষয়ের ওপর, যথা:- ১) জলের পরিমাণ, ২) জলের গতিবেগ ও ৩) গতিপথের ঢাল । এগুলি বৃদ্ধি পেলে নদীর কর্মক্ষমতা বিশেষত ক্ষয় ও বহন অনেকাংশে বেড়ে যায় । আবার এগুলি কমে গেলে নদীর অবক্ষেপণ বা সঞ্চয়কাজ অনেক বেশি হয় ।
প্রশ্ন:- ১৯ নদীর গিরিখাত ও ক্যানিয়নের মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী ?
নদীর গিরিখাত ও ক্যানিয়নের মধ্যে নানান সাদৃশ্য থাকলেও এবং তাদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল এই যে-
(১) গিরিখাত সৃষ্টি হয় বৃষ্টিবহুল পার্বত্য অঞ্চলে, অপরপক্ষে, ক্যানিয়ন সৃষ্টি হয় বৃষ্টিহীন ‘প্রায় শুষ্ক’ মরুপ্রায় উচ্চভূমি অঞ্চলে ।
(২) নদীর পার্বত্য প্রবাহে গিরিখাত খুব গভীর এবং ইংরেজী ‘V’ অক্ষরের মতো হয় । পক্ষান্তরে, ক্যনিয়নের আকৃতি ইংরেজি ‘I’ অক্ষরের মতো হয়ে থাকে ।
প্রশ্ন:- ২০ নদী ও হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে কী ধরনের আকৃতিগত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় ?
নদী উপত্যকার আকৃতি ইংরেজি ‘I’ অথবা ‘V’-এর মতো, কিন্তু হিমবাহ উপত্যকার আকৃতি ‘U’ -এর মতো হয় ।
প্রশ্ন:- ২১ হিমবাহ কীভাবে ক্ষয়সাধন করে ?
হিমবাহ প্রধানত উৎপাটন এবং অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়সাধন করে ।
১) উৎপাটন (Plucking) : গতিশীল হিমবাহের চাপে যখন পর্বতের গা থেকে পাথর খুলে আসে তখন তাকে উৎপাটন বলে ।
২) অবঘর্ষ (Abrasion) : প্রবাহমান হিমবাহের মধ্যে যেসব পাথরের টুকরো থাকে সেগুলোর সঙ্গে পর্বতের সংঘর্ষে পাহাড়ের গা কিংবা হিমবাহ -উপত্যকা ক্রমশ ক্ষয়ে গিয়ে মসৃণ হলে তাকে অবঘর্ষ বলে ।
*****
- 14645 views