১. "তপন আর পড়তে পারে না । বোবার মত বসে থাকে ।" — তপনের এরকম অবস্থার কারণ বর্ণনা কর । [মাধ্যমিক-২০১৮]
উঃ-আশাপূর্ণা দেবীর "জ্ঞান চক্ষু' গল্পে তপন লেখক হতে চেয়েছিলেন । কিন্তু তার ধারণা ছিল লেখকরা সাধারণ মানুষ নন, আকাশ থেকে পড়া অতিলৌকিক কোনো প্রতিভা । নতুন মেসোকে দেখে তপনের এই ধারণা দূর হয় । এবার তপন একটা গল্প লিখে ফেলে । মেসো প্রতিশ্রুতি দেন সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তিনি সেটা ছাপিয়ে দেবেন । গল্প ছাপানো হলে ছাপানো গল্পটা পড়ে তপন হতবাক হয়ে যায় । গল্পের প্রতিটি লাইন নতুন ও আনকোরা । তার মধ্যে তপন নিজেকে একবারেই খুঁজে পায় না । তার মনে হয় গল্পটা তার নয় । নিজের লেখা গল্পের আমূল পরিবর্তন দেখে তপন দুঃখ ও অপমানিত বোধ করে । নিজের প্রকাশিত গল্প পড়তে গিয়ে তপন যখন দেখে মেসোমশাই তার পুরোটাই কারেকশন করে দিয়েছেন, তখন সে আর পড়তে পারে না । বোবার মত বসে থাকে ।
২. "যে ভয়ঙ্কর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না ।'—
'আহ্লাদ' হবার কথা ছিল কেন ? 'আহ্লাদ খুঁজে' না পাওয়ার কারণ কী ? [মাধ্যমিক-২০১৯]
উঃ- তপনের লেখা গল্প 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় প্রকাশিত হলে লেখক হিসাবে তার নাম ছাপা হবে —এ কথা ভেবেই তপনের আহ্লাদ হওয়ার কথা ছিল ।
♦ তপনের ছোটোমেসোর সহায়তায় 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় তার গল্প প্রকাশিত হলে চারিদিকে সবাই মেসোর মহত্বেও কথাই বলতে থাকে । মেসো না থাকলে কোনোদিনই 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকার সম্পাদক তপনের লেখা ছুঁয়েও দেখত না —এরকম কথাও অনেকে বলে । এইসব কথার মাঝখানে আসল যে লেখক, সে-ই যেন কোথাও হারিয়ে যায় । তপনের যেন কোনো কৃতিত্বই নেই । এইসব দেখে লেখা ছেপে আসার পর তপনের যে আহ্লাদ হওয়া উচিৎ ছিল তা তপনের হয় না ।