তপনের মনে আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন —তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ কী ?

Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 08/26/2021 - 19:54

প্রশ্ন :- তপনের মনে আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন —তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ কী ?

উত্তর :- আশাপূর্ণা দেবী রচিত 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে প্রধান চরিত্র কিশোর তপনের জীবনের কথা বলা হয়েছে । তপনের নতুন মেসোমশায় একজন লেখক । তপনের লেখা গল্প 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল । পত্রিকায় গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল । নিজের লেখা গল্প 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছেপে বের হওয়ার কথা শুনে তপনের মনে অদ্ভুত রকমের আনন্দও হয়েছিল । তার মায়ের কথায় তপন নিজের লেখা গল্পটি পড়ে সবাইকে শোনাতে গিয়েছিল । কিন্তু গল্পটি পড়তে গিয়ে সে দেখে যে, নতুন মেসো গল্পটা কারেকশান করার নামে সম্পূর্ণ নতুন করে লিখে দিয়েছেন । এই পরিবর্তনটা তপন কিছুতেই মেনে নিতে পারে নি । তার জীবনের প্রথম লেখা গল্প সম্পূর্ণ পরিবর্তিত রূপে প্রকাশিত হোক এটা সে কখনো চায় নি । এর জন্য সে অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছে এবং ব্যথিত হয়েছে । অত্যন্ত দুঃখে তার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরেছে । অব্যক্ত যন্ত্রণায় তার দিনটি কেটেছে বলে এদিনটি তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন ।

*****

Comments

Related Items

বহুরূপী

হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম, শুনেছেন, হরিদা কী কাণ্ড হয়েছে ? উনানের মুখে ফুঁ দিয়ে আর অনেক ধোঁয়া উড়িয়ে নিয়ে হরিদা এইবার আমাদের কথার জবাব দিলেন — না, কিছুই শুনিনি । — জগদীশবাবু যে কী কাণ্ড করেছেন, শোনেননি হরিদা ? হরিদা — না রে ভাই, বড়ো মানুষের কাণ্ডের খবর আমি কেমন করে শুনব ? আমাকে বলবেই বা কে ?

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম

কথায় বলে— কালি কলম মন, লেখে তিন জন । কিন্তু কলম কোথায় ? আমি যেখানে কাজ করি সেটা লেখালেখির আপিস । সবাই এখানে লেখক । কিন্তু আমি ছাড়া আর কারও হাতে কলম নেই । সকলের সামনেই চৌকো আয়নার মতো একটা কাচের স্ক্রিন বা পর্দা । আর তার নীচে টাইপরাইটারদের মতো একটা কি-বোর্ড ।

অভিষেক

কনক-আসন ত্যজি, বীরেন্দ্রকেশরী ইন্দ্রজিৎ, প্রণমিয়া ধাত্রীর চরণে, কহিলা, — "কি হেতু, মাতঃ, গতি তব আজি এ ভবনে ? কহ দাসে লঙ্কার কুশল ।"

আফ্রিকা

উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে স্রষ্ঠা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত, তাঁর সেই অধৈর্যে ঘন-ঘন মাথা নাড়ার দিনে

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি

আমাদের ডান পাশে ধ্বস / আমাদের বাঁয়ে গিরিখাদ / আমাদের মাথায় বোমারু /পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ