সামাজিক বন সৃজন

Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 11/21/2014 - 23:30

সামাজিক বন সৃজন (Social Forestation) : সমাজের মঙ্গলের জন্য, অর্থাৎ পরিবেশের সুস্থতা, জীব জগতের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং জনসাধারণের চাহিদা পূরনের জন্য জনগণের সহায়তায় বন সৃজন করা হলে, তাকে সামাজিক বন সৃজন বলে ।

সামাজিক বন সৃজন তথা বৃক্ষরোপণে ভারতের সাধারন মানুষকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে । কারণ বনভূমির বৃদ্ধির ফলে পরিবেশের সুস্থতা, জীবজগতের কল্যাণমূলক উদ্দেশ্য সাধিত হয় । কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, কৃষিজমির পরিমাণ বৃদ্ধি, শিল্পের প্রসার, অবৈজ্ঞানিক বৃক্ষচ্ছেদন, ব্যাপক পশুচারণ, ঝুমচাষ প্রভৃতির ফলে বনভুমির পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে, ফলে পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ছে । এই কারণে সরকার দূষণমুক্ত, নির্মল পরিবেশ বৃদ্ধির জন্য বৃক্ষরোপণের ওপর জোর দিয়েছেন । বর্তমানে সরকার বিভিন্ন পৌরসভা ও পঞ্চায়েতগুলির মাধ্যমে বৃক্ষরোপণের ওপর ব্যাপক গুরুত্ব আরোপ করেছেন । এই উদ্দেশ্যে প্রতিবছর বন মহোৎসব কর্মসূচি, ‘একটি শিশু—একটি গাছ’ প্রকল্প প্রভৃতি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । অর্থাৎ সাধারন মানুষকে বৃক্ষরোপণে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে ।

ভারতের সামাজিক বন সৃজনের ঘোষিত কর্মসূচীগুলি হল—

(১) পতিত ও অব্যবহৃত জমিতে গাছ লাগানো,

(২) গ্রামবাসীদের রান্না ও অন্যান্য প্রয়োজনে ব্যবহার্য কাঠ সরবরাহকারী বৃক্ষরোপণ,

(৩) জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কের দু-পাশে ছায়াপ্রদায়ী বৃক্ষরোপণ,

(৪) রেললাইন, খাল, হ্রদ ও পুকুরের ধারে ধারে বৃক্ষরোপণ এবং

(৫) জনসাধারণের দৃষ্টি নন্দন বৃক্ষরোপণ ।

ভারতের অরণ্য গবেষণাগার (Indian Forest Research Institution) ভারতের অরণ্য গবেষণাগারটি উত্তরপ্রদেশের দেরাদুনে অবস্থিত । বনভুমির উন্নতি ও বনজ সম্পদের সঠিক ব্যবহারের জন্য এখানে নানান ধরনের গবেষণা করা হয় ।

*****

Related Items

ভারতের ভূপ্রকৃতি (Physical Emvironment of India)

ভারতের ভূপ্রকৃতি (Physical Environment of India) : ভারত একটি সুবিশাল দেশ ও এর ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় । উত্তর ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত পামীর গ্রন্থি থেকে বের হওয়া হিন্দুকুশ, সুলেমান, খিরথর কারাকোরাম, হিমালয় প্রভৃতি কয়েক

ভারতের বর্তমান রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সমূহ

ভারতের বর্তমান রাজ্য সমূহ (২০২১ সাল পর্যন্ত ) :

১. অন্ধ্রপ্রদেশ : এই রাজ্যের আয়তন হল ১,৬০,২০৫ বর্গ কিমি. ও রাজধানী হল অমরাবতী ।

২. অরুণাচল প্রদেশ : এই রাজ্যের আয়তন হল ৮৩,৭৪৩ বর্গ কিমি. ও রাজধানী হল ইটানগর ।

স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির বিন্যাস

স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির বিন্যাস : প্রায় ১০০ বছর প্রত্যক্ষভাবে ইংরেজ শাসনাধীন থাকার পর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস হওয়া ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের 'ভারতের স্বাধীনতা আইন' অনুসারে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট অবিভক্ত ভারত দ্বিখণ্ডিত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে এব

ভারতের ভৌগলিক অবস্থান

অবস্থান (Location) : ভারত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত একটি দেশ । নিরক্ষরেখার উত্তরে অর্থাৎ উত্তর গোলার্ধে এবং মূলমধ্যরেখার পূর্বে অর্থাৎ পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত অর্থাৎ ভারত উত্তর-পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত । ভারতের মূল ভূখণ্ড দক্ষি

ভারত (India)

ভারত :- প্রাচীন পারসিক লিপিতে 'সপ্ত সিন্ধু' কে বলা হয়েছে হপ্ত হিন্দু । সিন্ধু তীরবর্তী বসবাসকারী মানুষকে বিদেশীরা হিন্দু বলত এবং তার থেকেই হিন্দুস্থান কথাটি এসেছে । প্রাচীন পারসি শব্দ হিন্দুস (Hindus) থেকে উৎপন্ন ইণ্ডাস (Indus) থেকে ইণ্ডিয়া (INDIA) নামট