ম্যানগ্রোভ বনভুমি

Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 11/21/2014 - 23:08

ম্যানগ্রোভ বনভুমি (Mangrove Forest) : নদীর বদ্বীপ অঞ্চল ও অন্যান্য নিচুস্থান, যেখানে সমুদ্রের লোনা জল প্রবেশ করে, সেইসব অঞ্চলে যে বনভুমির সৃষ্টি হয় তাকে ম্যানগ্রোভ বনভুমি বলে । ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল— এই সব গাছের শিকড় নদীর জোয়ারের সময় শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার জন্য মাটি ফুঁড়ে উপরে ওঠে, একে শ্বাসমূল বলে । এছাড়া কান্ডকে সোজাভাবে ধরে রাখার জন্য এইসব গাছে ঠেসমূলও দেখা যায় । পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণে অবস্থিত সুন্দরবন হল ভারতের একটি উল্লেখযোগ্য ম্যানগ্রোভ অরণ্যের উদাহরণ । এছাড়া ভারতের গঙ্গা, মহানদী, গোদাবরী, কৃষ্ণা প্রভৃতি নদীর বদ্বীপ অঞ্চল, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নিম্নউপকূল ভাগ, কাম্বে উপসাগরের নিম্ন জলাভূমিতে ম্যানগ্রোভ অরণ্য দেখা যায় । ম্যানগ্রোভ অরণ্যের গাছগুলির মধ্যে সুন্দরী, গরান, গেঁও, ক্যাওড়া, হোগলা, গোলপাতা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য । এই বনের কাঠ সাধারণত নৌকো ও গৃহনির্মাণের প্রধান কাঁচামাল অথবা জ্বালানিরূপে ব্যবহৃত হয় । তাছাড়া এই বনভূমিতে মধু ও মোম পাওয়া যায় ।

*****

Related Items

বান ডাকা (Tidal Bores)

বান ডাকা (Tidal Bores) : সাধারণত বর্ষাকালে অমাবস্যা ও পূর্ণিমার ভরা কোটালের সময় চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণে জোয়ারের জল নদীর খাড়িপথ ও মোহনা দিয়ে খুব উঁচু হয়ে প্রবল বেগে উজানের দিকে অর্থাৎ নদী প্রবাহের বিপরীত দিকে অগ্রসর হয় । ঢেউ, জলোচ্ছ্বাসসহ নদীর এই

অ্যাপোজি ও পেরিজি (Apogee and Perigee)

অ্যাপোজি ও পেরিজি (Apogee and Perigee) : চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে গড় দূরত্ব হল ৩,৮৪,৪০০ কিমি.

সিজিগি (Syzygy)

সিজিগি (Syzygy) : জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবীর একই সরলরৈখিক অবস্থানকে সিজিগি (Syzygy) বলে । সিজিগি আবার সংযোগ অবস্থান ও প্রতিযোগ অবস্থান — এই দু-প্রকারের হয় ।

জোয়ার ভাটার ফলাফল (Effect of Tides)

জোয়ার ভাটার ফলাফল (Effect of Tides) : বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোয়ার ভাটার যথেষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায় । সমুদ্র উপকূলে ও উপকুলের কাছে নদনদীতে জোয়ার ভাটার প্রভাব বেশি । জোয়ার ভাটার নিম্নলিখিত ফলাফল গুলি হল —

ভরা জোয়ারের তুলনায় মরা জোয়ারে জলস্ফীতি অপেক্ষাকৃত কম হয়

ভরা জোয়ারের তুলনায় মরা জোয়ারে জলস্ফীতি অপেক্ষাকৃত কম হয়