ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর : পরমাণুর গঠন

Submitted by arpita pramanik on Tue, 10/23/2012 - 14:41

পরমাণুর গঠন সম্পর্কিত ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর :

প্রশ্ন:-  20X40 পরমাণুতে প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যা কত ? পরমাণুটির ইলেকট্রন বিন্যাস লেখ ।

উত্তর:-  20X40 পরমাণুতে প্রোটন সংখ্যা = 20,  নিউট্রন সংখ্যা = (40 - 20) = 20,  পরমাণুটির ইলেকট্রন সংখ্যা = 20 । অতএব পরমাণুটির ইলেকট্রন বিন্যাস হল K কক্ষে 2 -টি,  L কক্ষে  8 -টি,  M কক্ষে 8 -টি এবং N কক্ষে  2 -টি ।

প্রশ্ন:-  Cl- আয়নে উপস্থিত তড়িৎ আধানযুক্ত কণার সংখ্যা কত ?  (CL- পারমাণবিক সংখ্যা 17 )

উত্তর:-  Cl- আয়নে উপস্থিত ধনাত্বক তড়িৎ আধানযুক্ত কণার সংখ্যা = 17  এবং ঋণাত্বক তড়িৎ আধানযুক্ত কণার সংখ্যা = 18 ।

 

প্রশ্ন:-  প্রোটন পরমাণুর কোন অংশে থাকে  ?

উত্তর:-  প্রোটন পরমাণুর নিউক্লিয়াসে থাকে ।

 

প্রশ্ন:- পরমাণুর মৌলিক কণাগুলির নাম কী ?

উত্তর:- পরমাণুর মৌলিক কণাগুলির নাম হল ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন

 

প্রশ্ন:-   সোডিয়াম (পারমাণবিক সংখ্যা -11) 1 -টি ইলেকট্রন বর্জন করে Na+ গঠন করে,  সোডিয়াম পরমাণুর K, L,  না M কক্ষ থেকে ইলেকট্রনটি বর্জিত হয় ।

উত্তর:-  যেহেতু Na পরমাণুর M কক্ষে 1টি ইলেকট্রন আছে , এতএব এক্ষেত্রে সোডিয়াম পরমাণুর M কক্ষ থেকে ইলেকট্রনটি  বর্জিত হয় ।

 

প্রশ্ন:-  ম্যাগনেসিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা 12 । Mg++ আয়নে ইলেকট্রন সংখ্যা কত ?

উত্তর:- ম্যাগনেসিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা = 12 ;  Mg++ আয়নে ইলেকট্রন সংখ্যা = 12 - 2 = 10 ।

 

প্রশ্ন:-  92X235  পরমাণুর মধ্যে তড়িতাহিত কণার সংখ্যা নির্ণয় করো । পরমাণুটির প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যা কত ?

উত্তর:-  92X235 পরমাণুর মধ্যে 92 -টি প্রোটন, ও  92 -টি ইলেকট্রন রয়েছে । সুতরাং, মোট তড়িতাহিত কণার সংখ্যা = (92 + 92) = 184 । পরমাণুটির ভর সংখ্যা = 235 । সুতরাং পরমাণুটির নিউট্রন সংখ্যা = ভর সংখ্যা - প্রোটন সংখ্যা = (235 - 92) = 143 ।

 

প্রশ্ন:-  প্রোটনের তড়িতাধানের প্রকৃতি কী ?

উত্তর:- প্রোটন হল ধনাত্বক বা পজিটিভ তড়িৎগ্রস্ত কণা ।

 

প্রশ্ন:-  হাইড্রোজেনের দুটি সমস্থানিক চিহ্নের সাহায্যে লেখ ।

উত্তর:-  হাইড্রোজেনের দুটি সমস্থানিক হল-[i] 1H2 (ডয়টেরিয়াম),   [ii] 1H3 ( ট্রাইটিয়াম ) ।

 

প্রশ্ন:-  কোনো পরমাণুতে ইলেকট্রন ও নিউট্রন সংখ্যা যথাক্রমে 6 ও 8 । পরমাণুটির ভর সংখ্যা কত ?

উত্তর:-  পরমাণুটির ইলেকট্রন সংখ্যা = 6 -টি  অর্থাৎ প্রোটন সংখ্যা = 6 -টি   নিউট্রন সংখ্যা = 8 -টি সুতরাং, পরমাণুর ভর সংখ্যা = প্রোটন সংখ্যা + নিউট্রন সংখ্যা = (6 + 8) = 14  ।

 

প্রশ্ন:-  পরমাণুতে সবচেয়ে ভারী এবং সবচেয়ে হালকা কণা কোনটি ?

উত্তর:- পরমাণুতে সবচেয়ে ভারী কণা নিউট্রন এবং সবচেয়ে হালকা কণা ইলেকট্রন ।

 

প্রশ্ন:- কোনো পরমাণুতে উপস্থিত নিউট্রন ও প্রোটনের মোট সংখ্যাকে কী বলে ?

উত্তর:- কোনো পরমাণুতে উপস্থিত নিউট্রন ও প্রোটনের মোট সংখ্যাকে ভর সংখ্যা বলে ।

 

প্রশ্ন:-  20Ca40 -পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস লেখ ।

উত্তর:-  20Ca40 -পরমাণুর ইলেকট্রন = 20, সুতরাং ইলেকট্রন বিন্যাস হল K2L8M8N2  ।

 

প্রশ্ন:-  একটি মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা 11 হলে, এর M কক্ষপথে কটি ইলেকট্রন থাকবে ?

উত্তর:-  মৌলটির পারমাণবিক সংখ্যা 11 হলে ইলেকট্রন সংখ্যা হবে = 11 । মৌলটির পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস হবে K2L8M1  । সুতরাং মৌলটির পরমাণুর M কক্ষপথে 1 -টি ইলেকট্রন থাকবে ।

 

প্রশ্ন:-  19K39 -এর পরমাণুতে প্রোটন, নিউট্রন এবং ইলেক্ট্রনের সংখ্যা কত ? পরমাণুর কোন কক্ষপথে কয়টি করে ইলেকট্রন আছে ?

উত্তর:-  19K39 -এর পরমাণুতে প্রোটন সংখ্যা = 19,  ইলেক্ট্রনের সংখ্যা = 19 এবং নিউট্রন সংখ্যা = (39 - 19) = 20  ।  পরমাণুটির K-কক্ষে 2-টি,  L-কক্ষে 8-টি,  M -কক্ষে 8 -টি এবং N -কক্ষে 1 -টি ইলেকট্রন আছে ।

 

প্রশ্ন:-  কোনো পরমাণুতে কেন্দ্রকীয় কণাগুলিকে একত্রে ধরে রেখেছে কোন বল ?

উত্তর:-  কোনো পরমাণুতে কেন্দ্রকীয় কণাগুলিকে একত্রে ধরে রেখেছে নিউক্লিয় বল ।

 

প্রশ্ন:-  ইলেক্ট্রনের আধানের পরিমাণ কুলম্ব এককে প্রকাশ করো ।

উত্তর:-  S.I. এককে ইলেক্ট্রনের আধান = -1.602 x 10-19 কুলম্ব ।

 

প্রশ্ন:- পরমাণুর মৌলিক কণাগুলির মধ্যে আধান-বিহীন কণা কোনটি ?

উত্তর:- পরমাণুর মৌলিক কণাগুলির মধ্যে নিউট্রন হল আধান-বিহীন কণা ।

 

প্রশ্ন:- নিউক্লিয়ন কী ?

উত্তর:- পরমাণুর নিউক্লিয়াসের প্রোটিন ও নিউট্রন কণাগুলিকে এক সঙ্গে কেন্দ্রীয় কণা বা নিউক্লিয়ন বলে ।

 

প্রশ্ন:- কোনো পরমাণুর M -কক্ষ সর্ববহিস্থ কক্ষ হলে ওই কক্ষে সর্বোচ্চ কতগুলি ইলেকট্রন থাকতে পারে ? উত্তর:-  M -কক্ষের জন্য মুখ্য কোয়ান্টাম সংখ্যা (n) = 3 ।  2n2 সূত্রানুযায়ী M কক্ষে সর্বাধিক ইলেকট্রন  সংখ্যা = 2.32 = 18 -টি থাকতে পারলেও এই পরমাণুর ক্ষেত্রে M কক্ষ সর্ববহিস্থ কক্ষ হওয়ার জন্য ওই কক্ষপথে সর্বোচ্চ 8 টি ইলেকট্রন থাকতে পারে  ।

 

প্রশ্ন:- নিউট্রনবিহীন একটি পরমাণুর নাম কী ?

উত্তর:- সাধারণ হাইড্রোজেন বা প্রোটিয়ামের (1H1) পরমাণু হল নিউট্রনবিহীন ।

 

প্রশ্ন:- পরমাণু কেন্দ্রকে কী কী কণা থাকে ?

উত্তর:- সাধারণ হাইড্রোজেন ছাড়া অন্য সব মৌলের পরমাণু কেন্দ্রকে প্রোটিন ও নিউট্রন কণা থাকে ।  সাধারণ হাইড্রোজেনের পরমাণু কেন্দ্রক একটি মাত্র প্রোটিন কণা দ্বারা গঠিত - এর কেন্দ্রকে কোনো নিউট্রন কণা নেই ।

 

প্রশ্ন:-  C.G.S. এককে ইলেক্ট্রনের তড়িতাধান কত ?

উত্তর:-  C.G.S. এককে ইলেক্ট্রনের তড়িতাধান = -4.8 x 10-10 esu  ।

 

প্রশ্ন:-  যৌগ মূলকের একটি ক্যাটায়ান ও একটি অ্যানায়নের নাম ও সংকেত লেখ ।

উত্তর:- ক্যাটায়ান হল আয়ন (NH+4) এবং অ্যানায়ন হল নাইট্রেট আয়ন (NO-3)  ।

 

প্রশ্ন:-  57X141 পরমাণুটিতে কয়টি প্রোটন ও কয়টি নিউট্রন আছে ?

উত্তর:-  57X141 পরমাণুটির ভর সংখ্যা = 141 এবং পারমাণবিক সংখ্যা =  57 । সুতরাং পরমাণুটিতে প্রোটন সংখ্যা  57  এবং নিউট্রন সংখ্যা = ভর সংখ্যা - প্রোটন সংখ্যা =  (141 - 57) = 84 ।

 

প্রশ্ন:- পরমাণুর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে ভারী কণা ?

উত্তর:- পরমাণুর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে ভারী কণা হল নিউট্রন

 

প্রশ্ন:-  নিউট্রনের আধানের মান কত ?

উত্তর:-  নিউট্রন নিস্তড়িৎ কণা । অতএব, নিউট্রনের আধানের পরিমাণ শূন্য ।

 

প্রশ্ন:-  পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা সমান এমন একটি মৌলের নাম কী ?

উত্তর:-  পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা সমান এমন একটি মৌল হল সাধারণ হাইড্রোজেন (1H1) ।

 

প্রশ্ন:-  Na+,  Cl-,  Ca,   6C12  -এর মধ্যে কোনটি নিউক্লিয়াইড  ?

উত্তর:-   Na+,  Cl-,  Ca,  6C12  -এর মধ্যে  6C12  হল কার্বনের একটি  নিউক্লিয়াইড ।

 

প্রশ্ন:-  ইলেকট্রন মহল কাকে বলে ?

উত্তর:-  প্রত্যেক পরমাণুর নিউক্লিয়াসে যতগুলি প্রোটন থাকে, ঠিক ততগুলি ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের বাইরে পরমাণুর বাকি অংশে সজ্জিত থাকে । পরমাণুর এই অংশকে ইলেকট্রন মহল বলে ।

 

প্রশ্ন:-  মৌলের ভর সংখ্যা ও পারমাণবিক গুরুত্ব কোন ক্ষেত্রে একই হতে পারে  ?

উত্তর:-  প্রকৃতিতে যে সব মৌলের একটি মাত্র আইসোটন 100% বর্তমান থাকে সেইসব  মৌলের ভর সংখ্যা  ও পারমাণবিক গুরুত্ব একই হয় । যেমন : সোডিয়াম (11Na23),  ফ্লুওরিন (9F19) ।

 

প্রশ্ন:-  কেন্দ্রবহির্ভূত ইলেকট্রন বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর:-  পরমাণু নিস্তড়িৎ । প্রত্যেক পরমাণুর কেন্দ্রকে মোট যতগুলি পজিটিভ তড়িত্গ্রস্থ প্রোটন থাকে , ঠিক  ততগুলি নেগেটিভ তড়িত্গ্রস্থ ইলেকট্রন পরমাণু-কেন্দ্রকের বাইরে পরমাণুর বাকি অংশে সজ্জিত থাকে ।  এই ইলেকট্রনগুলিকে কেন্দ্রবহির্ভূত ইলেকট্রন বলে ।

 

প্রশ্ন:-  K+, Cl, Ar,  F- -এর মধ্যে কোন দুটি সম ইলেকট্রন যুক্ত ?

উত্তর:-  K -এর পারমাণবিক সংখ্যা 19, সুতরাং K+  -এর ইলেকট্রন সংখ্যা = (19 - 1) = 18   ।

Cl -এর পারমাণবিক সংখ্যা 17, সুতরাং Cl -এর ইলেকট্রন সংখ্যা = 17  ।   

Ar -এর পারমাণবিক সংখ্যা 18, সুতরাং Ar  -এর ইলেকট্রন সংখ্যা = 18 ।  

F -এর পারমাণবিক সংখ্যা 9, সুতরাং F-  -এর ইলেকট্রন সংখ্যা = (9 + 1) = 10  ।

অতএব K+, Cl, Ar, F- -এর মধ্যে K+ ও Ar সম ইলেকট্রন যুক্ত  ।

 

প্রশ্ন:- পরমাণু কিভাবে আয়নে পরিনত হয় ?

উত্তর:- যখন কোনো পরমাণু ওর নিউক্লিয়াসের সবচেয়ে বাইরের কক্ষপথ থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন বর্জন করে অথবা সবচেয়ে বাইরের কক্ষে এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহন করে তখন ওই পরমাণুটি আয়নে পরিনত হয় ।  যেমন : Na - e = Na+ (সোডিয়াম আয়ন) ;  Cl + e = Cl- (ক্লোরাইড আয়ন ) ইত্যাদি ।

 

প্রশ্ন:-  F-,  O2-  এবং  Na+ আয়নগুলির মধ্যে সম্পর্ক কী ?

উত্তর:-  F-,  O2-  এবং  Na+ আয়নগুলিতে প্রত্যেক ক্ষেত্রে 10 -টি করে ইলেকট্রন রয়েছে । সুতরাং এরা আইসোইলেক্ট্রনিক ।

 

প্রশ্ন:-  যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে ?

উত্তর:-  পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষের যেসব ইলেকট্রন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নেয়, তাদের যোজ্যতা ইলেকট্রন বলে ।

 

প্রশ্ন:-  পরমাণুর মৌলিকত্ব কিসের ওপর নির্ভর করে  ?

উত্তর:- পরমাণুর মৌলিকত্ব মৌলটির পারমাণবিক সংখ্যা বা পরমাণুক্রমাঙ্কের ওপর নির্ভর করে  ।

 

প্রশ্ন:-  তিনটি পরমাণুর ভর সংখ্যা যথাক্রমে 31, 32, 34 এবং এদের নিউট্রন সংখ্যা যথাক্রমে 15,  16,  16 ; পরমাণু তিনটির মধ্যে কোন দুটি আইসোটোপ  ?

উত্তর:- এখানে পরমাণু তিনটির প্রোটন সংখ্যা যথাক্রমে (31 - 15) বা 16,  (32 - 16) বা 16 এবং (34 - 16) বা 18 । অর্থাৎ 31 এবং 32 ভর সংখ্যাবিশিষ্ট পরমাণু দুটির প্রত্যেকেরই প্রোটিন সংখ্যা 16 অর্থাৎ, এদের পারমাণবিক সংখ্যা সমান, কিন্তু ভর সংখ্যা আলাদা ।  অতএব পরমাণু তিনটির মধ্যে প্রথম দুটি পরমাণু কোনো মৌলের আইসোটোপ ।

 

প্রশ্ন:-  পারমাণবিক ভর একক কাকে বলে ?

উত্তর:-  কোনো মৌলের একটি পরমাণুর প্রকৃত ভরকে যে এককে প্রকাশ করা হয়, তাকে পারমাণবিক ভর একক (amu)  বলে ।  1 amu = 1.66 x 10-24 গ্রাম ।

 

প্রশ্ন:- নিউক্লিয় বল কী ?

উত্তর:-  নিউক্লিয়নগুলির মধ্যে যে আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে পরমাণু কেন্দ্রকের মধ্যে ওদের দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ রাখে সেই বলকে নিউক্লিয় বল বলে ।

 

প্রশ্ন:-  ভারী জল কাকে বলে ?

উত্তর:-  যে জলে ডয়টেরিয়াম সাধারণ হাইড্রোজেনকে প্রতিস্থাপিত করে, তাকে  ভারী জল (D2O) বলে ।

***

Related Items

চুম্বকের ওপর তড়িৎপ্রবাহের ক্রিয়া

কোনো পরিবাহী তারের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ পাঠালে তার চারপাশে একটি চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয় । ওই তারের কাছে একটি চুম্বক শলাকা থাকলে শলাকাটি বিক্ষিপ্ত হয় । একে চুম্বকের ওপর তড়িৎপ্রবাহের ক্রিয়া বলে । 1820 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী ওরস্টেড সর্বপ্রথম চুম্বকের ...

বাড়িতে বিদ্যুৎ-লাইন ব্যবস্থা

কোনো কারণে বাড়িতে বিদ্যুৎ লাইনে নিরাপদ সীমার অতিরিক্ত তড়িৎপ্রবাহ চালু হলে আগুন লেগে বিপদ ঘটতে পারে । বাড়িতে তড়িৎ বর্তনীর লাইনে নিরাপত্তার জন্য কম গলনাঙ্ক বিশিষ্ট কোনোও সংকর ধাতুর তৈরি এবং বেশি রোধের যে সরু তার শ্রেণি সমবায়ে লাইন তারের সঙ্গে সংযুক্ত করা ...

তড়িৎ-ক্ষমতা এবং শক্তি

কার্য করবার হারকে ক্ষমতা বলে । তড়িৎ-ক্ষমতা বলতে তড়িৎপ্রবাহের কার্য করবার হার-কে বোঝায় । বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ক্ষমতা ওয়াট [watt] নামক এককে প্রকাশ করা হয় । যে বৈদ্যুতিক যন্ত্র এক সেকেন্ডে [second] এক জুল [joule] কার্য করতে পারে, তার ক্ষমতাকে 1 ওয়াট [watt] বলা হয় । ...

তড়িৎপ্রবাহের তাপীয় ফল ও তার প্রয়োগ

1841 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী জেমস প্রেসকট জুল সর্বপ্রথম পরিবাহীতে তড়িৎপ্রবাহের ফলে তাপের সৃষ্টি সম্পর্কে তিনটি সূত্র প্রকাশ করেন, এই সূত্রগুলিকে জুলের সূত্র বলা হয় । কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ পাঠালে পরিবাহী উত্তপ্ত হয়ে ওঠে— একেই তড়িৎপ্রবাহের তাপীয় ফল বলে ...

রোধের সমবায় এবং তুল্যাঙ্ক রোধ

ব্যবহারিক ক্ষেত্রে একাধিক রোধকে একত্রে যুক্ত করে মোট রোধের মান বাড়ানো বা কমানোর প্রয়োজন হয় । একে রোধের সমবায় বলা হয় । কোনো তড়িৎ-বর্তনীর দুই প্রান্তে একাধিক রোধ যুক্ত থাকলে বর্তনীতে যে প্রবাহ হয়, রোধগুলির পরিবর্তে ওই দুই প্রান্তের সঙ্গে একটি মাত্র রোধ যোগ ...