নিউক্লাইড (Nuclide) :
শুধুমাত্র পারমাণবিক সংখ্যা (বা প্রোটন সংখ্যা) জানা থাকলে মৌলটিকে শনাক্ত করা যায়, কিন্তু ওই মৌলের সমস্থানিক থাকলে তার নিউক্লিয়াসকে শনাক্ত করা যায় না । কারণ একই মৌলের সমস্থানিক পরমাণুগুলির নিউক্লিয়াসগুলিতে প্রোটন সংখ্যা একই থাকলেও নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন হয় । অর্থাৎ মৌলটির সমস্থানিকগুলির ভর সংখ্যা (প্রোটন + নিউট্রন) সংখ্যা আলাদা । সুতরাং, কোনো নিউক্লিয়াসকে শনাক্ত করতে গেলে ওই মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা (Z) ও ভরসংখ্যা (A) জানা দরকার । নির্দিষ্ট পারমাণবিক সংখ্যা (প্রোটন সংখ্যা) ও ভরসংখ্যা (প্রোটন + নিউট্রন) বিশিষ্ট পরমাণুকে নিউক্লাইড বলে । যেমন— 1H1, 1H2, 1H3, 8O16, 8O17, 8O18, 17C35, 17C37, ইত্যাদির প্রতিটি হল একটি নিউক্লাইড ।
*****
- 2413 views