উষ্ণতার পরম স্কেল ও পরম শূন্য

Submitted by arpita pramanik on Tue, 01/08/2013 - 22:18

উষ্ণতার পরম স্কেল ও পরম শূন্য (Absolute scale of temperature and absolute zero) :

পরম শূন্য (Absolute zero) : চার্লসের সূত্র থেকে দেখা যায় যে, 0oC থেকে toC উষ্ণতা হ্রাসে নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন [tex]{V_t} = {V_o}\left( {1 - {1 \over {273}}} \right)[/tex], যেখানে Vo = 0oC উষ্ণতায় ওই গ্যাসের আয়তন । যদি উষ্ণতা 0oC থেকে 273oC হ্রাস করা যায়; অর্থাৎ -273oC উষ্ণতায় উক্ত গ্যাসের আয়তন হয়, [tex]{V_t} = {V_o}\left( {1 - {1 \over {273}}} \right) = 0[/tex] অর্থাৎ ওই উষ্ণতায় গ্যাস কোনো আয়তন অধিকার করবে না ।

উপরোক্ত ঘটনা একটি সর্বনিম্ন উষ্ণতা নির্দেশ করে, যে উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের গ্যাস কোনো আয়তন অধিকার করে না । অঙ্কে এটি সম্ভব হলেও বাস্তবে এটি অসম্ভব । কার্যত আয়তন শূন্য হওয়ার আগেই গ্যাস তরলে পরিণত হয় । যাই হোক অঙ্কের নিয়মে বলা যায়, -273oC -এর কম কোনো উষ্ণতা কল্পনাও সম্ভব নয়, কারণ এরপর গ্যাসের আয়তন ঋণাত্মক হয় । ঋণাত্মক আয়তন অর্থহীন । তাই বলা যেতে পারে বিশ্বে কোথাও কোনো উষ্ণতা -273oC -এর কম হতে পারে না । এই কারণে -273oC উষ্ণতাকে চরম বা পরম শূন্য উষ্ণতা বলা হয় ।

সংজ্ঞা:- চার্লসের সূত্রানুযায়ী যে উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাস কোনো আয়তন অধিকার করে না; অর্থাৎ আয়তন শূন্য হয়— তাকে পরম শূন্য উষ্ণতা বলা হয় ।

উষ্ণতার পরম স্কেল বা কেলভিন স্কেল : -273oC উষ্ণতাকে শূন্য ডিগ্রি ধরে এবং উষ্ণতার প্রতি ডিগ্রির ব্যবধানকে এক সেলসিয়াস ডিগ্রির সমান করে যে উষ্ণতার স্কেল পাওয়া যায় তাকে উষ্ণতার পরম স্কেল কিংবা কেলভিন স্কেল বলা হয় । 1 সেলসিয়াস ডিগ্রি এবং 1 পরম স্কেল ডিগ্রির মাপ সমান করে নিলে, সেলসিয়াস স্কেলে কোনো উষ্ণতা toC পরম স্কেলে রূপান্তরিত করলে হবে, T = (273 + t)K । এই স্কেল অনুযায়ী পরম উষ্ণতাকে বড়ো হাতের T দ্বারা চিহ্নিত করা হয় এবং কেলভিন (K) একক দিয়ে (Ko নয়) প্রকাশ করা হয় । সুতরাং, এই স্কেলে, জলের হিমাঙ্ক 0oC = 273K,  জলের স্ফুটনাঙ্ক 100oC = 373K এবং যে-কোনো উষ্ণতা toC = (273 + t)K = TK ।

সেলসিয়াস স্কেল এবং পরম স্কেলের মধ্যে সম্পর্ক:-

সেলসিয়াস স্কেল -273oC 0oC 100oC toC
পরম স্কেল 0K 273K 373K (273 + t)K

 

*****

Related Items

লোহা বা আয়রন (Iron)

আয়রনকে প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না । পৃথিবীতে বিভিন্ন স্থানে প্রচুর পরিমাণে আয়রনের আকরিক পাওয়া যায়। ভারতের বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে লোহার আকরিক পাওয়া যায় । ভূ-ত্বকে আয়রনের পরিমাণ 4.12 শতাংশ। ...

দস্তা বা জিঙ্ক (Zinc)

জিঙ্ক ধাতুকে প্রকৃতির মধ্যে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না । জিঙ্কের প্রধান আকরিকগুলি জিঙ্কাইট ক্যালামাইন , জিঙ্কব্লেন্ড। জিঙ্কব্লেন্ড জিঙ্কের প্রধান আকরিক । ভারতের রাজস্থান, বিহার, পাঞ্জাব ও তামিলনাড়ুতে জিঙ্কব্লেন্ড পাওয়া যায় । ...

ম্যাগনেসিয়াম (Magnesium)

ম্যাগনেসিয়ামকে প্রকৃতির মধ্যে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না । এর নানা রকম যৌগ প্রচুর পরিমাণে প্রকৃতিতে পাওয়া যায় । ম্যাগনেসিয়ামের সংকেত-Mg পারমাণবিক সংখ্যা- 12 পারমাণবিক ভর- 24.3 যোজ্যতা- 2 । এর প্রধান আকরিকগুলি হল ..

অ্যালুমিনিয়াম (Aluminium)

অ্যালুমিনিয়াম ধাতুকে মুক্ত অবস্থায় প্রকৃতির মধ্যে পাওয়া যায় না । যৌগরূপে এই ধাতুকে প্রকৃতির মধ্যে প্রচুর পাওয়া যায় । ভু-পৃষ্ঠের সব ধাতুর মধ্যে অ্যালুমিনিয়ামের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। বিমান ও মোটর গাড়ির কাঠামো প্রস্তুতিতে, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও বৈদ্যুতিক তার তৈরিতে অ্যালুমিনিয়াম ...

খনিজ ও আকরিক

যেসব খনিজ থেকে সহজে ও সুলভে প্রয়োজনীয় ধাতু নিষ্কাশন করা যায়, তাদের ওই ধাতুর আকরিক বলে । কোনো ধাতুর সব খনিজই খরচ ও সহজ লভ্যতার প্রেক্ষিতে ধাতু নিষ্কাশনের উপযুক্ত নাও হতে পারে । যে কারণে বলা হয়— কোনো ধাতুর আকরিকগুলি এর খনিজ, কিন্তু যেকোনো খনিজই ...