ইউরিয়া বা কার্বাইড, CO(NH2)2 :
Urea : ইউরিয়া নাইট্রোজেন ঘটিত একটি সার । 1828 খ্রিস্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক ভোলার অজৈব যৌগ অ্যামোনিয়াম সায়ানেট (NH4CNO) -কে উত্তপ্ত করে ইউরিয়া প্রস্তুত করেন । ইউরিয়ার রাসায়নিক সংকেত CO(NH2)2 ।
প্রকৃতি :-
[i] ইউরিয়া সাদা, গন্ধহীন, অনুদ্বায়ী, কেলাসাকার কঠিন জৈব পদার্থ ।
[ii] এটি জলে দ্রাব্য ।
উৎস :-
[i] মানবদেহের এবং প্রাণীদেহের প্রোটিন বিশ্লিষ্ট হয়ে ইউরিয়া উৎপন্ন হয় এবং প্রাণীর মূত্রে এই যৌগটি পাওয়া যায় । পূর্ণবয়স্ক মানুষের মুত্রের সঙ্গে প্রতিদিন প্রায় 30 গ্রাম ইউরিয়া বের হয়ে যায় । এটি হল প্রথম জৈব যৌগ যা ভোলার (Wohler) পরীক্ষাগারে অজৈব যৌগ থেকে তৈরি করেন ।
[ii] শুষ্ক এবং তরল অ্যামোনিয়া ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের মিশ্রণে চাপ (100 বায়ুমন্ডল) প্রয়োগ করে এবং 200°C উষ্ণতায় উত্তপ্ত করে ইউরিয়া প্রস্তুত করা হয় ।
2NH3 + CO2 = CO(NH2)2 + H2O ।
ব্যবহার :-
[i] এই জৈব যৌগটি সার রূপে ব্যবহৃত হয় ।
[ii] ফর্মালডিহাইড, রেজিন প্রস্তুতিতে এবং প্লাস্টিক উৎপাদনে ইউরিয়া ব্যবহৃত হয় ।
[iii] সেলোফেন, রেয়ন, নাইট্রোসেলুলোজ প্রভৃতি পণ্য উৎপাদনে ইউরিয়া ব্যবহৃত হয় ।
[iv] নানারকম ওষুধ প্রস্তুতিতে যেমন- কালাজ্বরের ওষুধ ইউরিয়া-স্টিবামিন ও ঘুমের ওষুধ বারবিটিউরেট প্রস্তুতিতে ইউরিয়া ব্যবহৃত হয় ।
*****
- 6734 views