সিজিগি কাকে বলে ? এবং অ্যাপোজি ও পেরিজি কাকে বলে ?

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 01/05/2022 - 09:03

প্রশ্ন:-  সিজিগি কাকে বলে ? এবং অ্যাপোজি ও পেরিজি কাকে বলে ?

সিজিগি (Syzygy) :  জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী নিজেদের কক্ষপথে পরিক্রমণ করতে করতে যখন চাঁদের কেন্দ্র, পৃথিবীর কেন্দ্র এবং সূর্যের কেন্দ্র একই সরলরেখায় অবস্থান করে, তখন সেই অবস্থানকে সিজিগি বলা হয় । সিজিগি অবস্থান দুটি উপবিভাগে বিভক্ত । যথা— সংযোগ ও প্রতিযোগ অবস্থান ।

সংযোগ অবস্থান (Conjuncion) : অমাবস্যা তিথিতে চাঁদ ও সূর্য পৃথিবীর একই দিকে অবস্থান করে বলে এই অবস্থানকে  সংযোগ অবস্থান বলা হয় । 

প্রতিযোগ অবস্থান (Opposition) : পূর্ণিমা তিথিতে পৃথিবী চাঁদ ও সূর্যের ঠিক মাঝখানে অবস্থান করে বলে এই অবস্থানকে প্রতিযোগ অবস্থান বলা হয় ।

অ্যাপোজি ও পেরিজি (Apogee and Perigee) : চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে গড় দূরত্ব হল ৩,৮৪,৪০০ কিমি. । উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীকে পরিক্রমণের সময় চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব সর্বদা সমান থাকে না । চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে সর্বাধিক দূরত্বের (৪,০৬,৬৬২ কিমি.) অবস্থানকে অপসূর বা অ্যাপোজি এবং সর্বনিম্ন দূরত্বের অবস্থানকে (৩,৫৬,৫০৯ কিমি.) অনুসূর বা পেরিজি বলে । প্রতি ১৫ দিন অন্তর একবার পেরিজি অবস্থান হয় । চন্দ্রের এই অবস্থানে পৃথিবীপৃষ্ঠে জোয়ারের বেগ সর্বাধিক হয় ।

*****

Comments

Related Items

বর্জ্যের উৎস (Source of waste)

বর্জ্যের উৎস (Source of waste) : বর্তমান আধুনিক নাগরিক সভ্যতায় মানুষের নানাবিধ কার্যকলাপেরপরিধিই হল বিভিন্ন ধরনের বর্জ্যের উৎসের প্রধান ক্ষেত্র । বর্জ্যের উৎসের প্রধান ক্ষেত্রগুলি হল — (১) গৃহস্থালির বর্জ্য, (২) শিল্প বর্জ্য, (৩) কৃষিজ বর্জ্য,  (৪) পৌর

বর্জ্য পদার্থের প্রকারভেদ (Types of waste)

বর্জ্য পদার্থের প্রকারভেদ (Types of waste) : বিভিন্ন কারণে পরিবেশে নানা প্রকারের বর্জ্য উৎপন্ন হয়ে থাকে । বর্জ্য পদার্থ তিন প্রকার, যেমন— (ক) কঠিন বর্জ্য, (খ) তরল বর্জ্য ও (গ) গ্যাসীয় বর্জ্য ।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (Waste Management)

বর্জ্যের ধারণা (Concept of Waste) : 'বর্জ্য' কথাটির অর্থ হল 'যা বর্জনযোগ্য' । যে-কোনো কঠিন, তরল অথবা গ্যাসীয় সম্পদকে প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের পরে যে মূল্যহীন, নষ্ট বা খারাপ হয়ে যাওয়া অব্যবহার্য বস্তু পড়ে থাকে, যা সরাসরি মানুষের কাজে না লেগে পরিবেশ দূষণ

প্রতিদিন একই সময়ে জোয়ার ভাটা হয় না কেন ?

প্রতিদিন একই সময়ে জোয়ার ভাটা হয় না কেন ?

বান ডাকা (Tidal Bores)

বান ডাকা (Tidal Bores) : সাধারণত বর্ষাকালে অমাবস্যা ও পূর্ণিমার ভরা কোটালের সময় চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণে জোয়ারের জল নদীর খাড়িপথ ও মোহনা দিয়ে খুব উঁচু হয়ে প্রবল বেগে উজানের দিকে অর্থাৎ নদী প্রবাহের বিপরীত দিকে অগ্রসর হয় । ঢেউ, জলোচ্ছ্বাসসহ নদীর এই