নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর পরিচলন গতির কারণ কী ?

Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 12/31/2021 - 11:52

প্রশ্ন : নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর পরিচলন গতির কারণ কী ?

(১) নিরক্ষরেখার উভয় পাশে ৫- ১০ অক্ষাংশের মধ্যে সূর্য প্রায় সারা বছর লম্বভাবে কিরণ দেয়, তাই এই অঞ্চলের বায়ু তূলনামূলকভাবে উষ্ণ ও হালকা হয় । অন্যদিকে

(২) নিরক্ষীয় অঞ্চলে স্থলভাগের তুলনায় জলভাগ বেশি বলে প্রখর সূর্যকিরণের উত্তাপে এই অঞ্চলের জল বাষ্পীভূত হয়ে জলীয়বাষ্পরূপে বাতাসের সঙ্গে মিশে থাকে । বিশুদ্ধ বায়ুর তুলনায় জলীয়বাষ্প হালকা বলে জলীয়বাষ্পপূর্ণ এই বায়ু হালকা হয় ।

(৩) এই দুই কারণে নিরক্ষীয় অঞ্চলের নিম্নস্তরের জলীয়বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ ও হালকা বায়ু সোজা উপরে উঠে যায় এবং সেখানকার প্রবল শৈত্যের সংস্পর্শে এসে প্রসারিত, শীতল ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায় যাকে পরিচলন বৃষ্টি বলে ।

(৪) অতঃপর উপরের স্তরের শীতল ও ভারী বাতাস নীচে নামে এবং প্রখর সূর্যকিরণ ও জলভাগের প্রভাবে উষ্ণ, আর্দ্র ও হালকা হয়ে আবার ওপরে ওঠে । বায়ুর পরিচলন গতির এই প্রক্রিয়া নিরবচ্ছিন্নভাবে চক্রাকারে চলতে থাকে ।

অর্থাৎ নিরক্ষীয় অঞ্চলের —

(i) জলীয়বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ ও আর্দ্রবায়ু উপরে উঠে শীতল ও প্রসারিত হয় ।

(ii) শীতল বায়ু ভারী বলে তা নিম্নগামী হয় ।

(iii) নীচে নেমে ওই বায়ু উষ্ণ, আর্দ্র ও জলীয়বাষ্পপূর্ণ হলে তা আবার হালকা হয়ে উপরে উঠে যায় । এইভাবে নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ু চক্রাকারে আবর্তিত হতে থাকে । উষ্ণ বায়ুর এই আরোহণ এবং অপেক্ষাকৃত শীতল বায়ুর অবরোহণকে বায়ুর পরিচালন গতি বলে ।

*****

Comments

Related Items

নর্মদা নদী (The Narmada)

নর্মদা নদী (The Narmada) : মহাকাল পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ অমরকন্টক থেকে উৎপন্ন হয়ে নর্মদা নদী উত্তর-পশ্চিমে বেঁকে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র হয়ে গুজরাটের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিন্ধ্য ও সাতপুরার সংকীর্ণ গিরিখাত অতিক্রম করে

ব্রহ্মপুত্র নদ (The Brahmaputra)

ব্রহ্মপুত্র নদ : তিব্বতের মানস সরোবরের নিকটবর্তী চেমায়ুং-দুং হিমবাহ থেকে সাংপো নামে উৎপন্ন হয়ে নামচাবারওয়া শৃঙ্গের কাছে চুলের কাটার মত বেঁকে অরুণাচল প্রদেশের মধ্য দিয়ে ডিহং নামে ভারতে প্রবেশ করেছে । এর মোট দৈর্ঘ্য ২,৯০০ কিমি, এর মধ্

সিন্ধু নদ (The Indus)

সিন্ধু নদ : সিন্ধু নদ তিব্বতের মানস সরোবরের উত্তরে অবস্থিত সিন-কা-বাব জলধারা থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর-পশ্চিমে প্রথমে তিব্বতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পরে লাদাখ অঞ্চল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে । সিন্ধু নদের মোট দৈর্ঘ্য ৩,১৮০ কিমি এবং এর মধ

গঙ্গা নদী (The Ganges)

গঙ্গা নদী : গঙ্গা ভারতের শ্রেষ্ঠ নদী এবং ভারতের দীর্ঘতম নদী । গঙ্গানদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৫১০ কিমি এবং এর মধ্যে ২০১৭ কিমি ভারতে প্রবাহিত । কুমায়ুন হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে ভাগীরথী নামে উৎপন্ন হয়ে সংকীর্ণ গিরিখাতের

ভারতের নদনদী (Rivers of India)

ভারতের নদনদী : ভারতে অসংখ্য নদনদী বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়েছে । উৎস, প্রবাহের অঞ্চল, এবং মোহানা অনুসারে ভারতের নদনদীকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যেমন— (১) উত্তর ভারতের নদী এবং (২) দক্ষিণ ভারতের নদী ।