নদীর কাজ ও নদীপ্রবাহের শ্রেণিবিভাগ

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 05/22/2012 - 18:18

নদীর কাজ (Work of River):-

নদী (River) উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল বা মালভূমি থেকে বৃষ্টির জল, হিমবাহ গলা জল অথবা হ্রদ বা ঝর্ণার জল যখন ভূমির ঢাল অনুসরণ করে বিভিন্ন গতিতে প্রবাহিত হয়ে স্বাভাবিক জলধারা সৃষ্টি করে ও কোনো সাগর, মহাসাগর, হ্রদ বা অন্য কোনো জলাশয়ে গিয়ে পতিত হয়, তখন তাকে নদী বলে । উদাহরণ:- গঙ্গা, সিন্ধু প্রভৃতি ।

নদীর কাজ করার পদ্ধতি: উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ গতিপথে নদী প্রধানত তিন ভাবে কাজ করে থাকে, যথা- (ক) ক্ষয়সাধন,  (খ) বহন,  (গ) অবক্ষেপণ ।

(ক) ক্ষয়সাধন : ভূমি ক্ষয় করা নদীপ্রবাহের প্রধান কাজ । নদীর এই কাজকে ক্ষয়সাধন বলা হয়েছে । পার্বত্য গতিপথে ভূমি বেশি ঢালু হওয়ার জন্য সেখানে নদীর প্রধান কাজ ক্ষয়্সাধান ।

(খ) বহন : ক্ষয়কার্যের ফলে যে সব শিলাচূর্ণ, বালি, কাঁকর, কাদা, নুড়ি, পলিমাটি প্রভৃতি সৃষ্টি হয়, সেগুলিকে বহন করার কাজকে নদীর বহন বা পরিবহন (Transportation) বলে । নদীর পার্বত্যপ্রবাহে ও মধ্য গতিপথে শিলাচূর্ণ, বালি, কাঁকর, কাদা, নুড়ি, পলিমাটি প্রভৃতি বহন করা নদীর একটি প্রধান কাজ । 

(গ) অবক্ষেপণ: অবক্ষেপন মানে জমা করা । নদী বাহিত শিলাচূর্ণ, বালি, কাঁকর, কাদা, নুড়ি, পলিমাটি প্রভৃতি নদীর দুই কূলে ও মোহনায় জমা করার কাজকে অবক্ষেপন (Deposition) বলে । নদীর বহন ক্ষমতা যখন কমে যায়, তখন নদীর অবক্ষেপনের কাজ শুরু হয় ।    

কাজ অনুসারে নদীপ্রবাহের বিভাগ : কাজ অনুসারে উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত একটি আদর্শ নদীর গতিপথকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-  (ক) পার্বত্যগতি,   (খ) মধ্যগতি  ও  (গ) নিম্নগতি ।

(ক) পার্বত্যগতি : পার্বত্য গতিতে নদীর প্রধান কাজ ক্ষয় সাধন, এবং ক্ষয় সাধনের সঙ্গে সঙ্গে নদী বহনের কাজ ও করে থাকে ।

(খ) মধ্যগতি : মধ্যগতিতে নদীর প্রধান কাজ বহন । এই পর্যায়ে নদী অবক্ষেপন ও করে, আবার কূল ভাঙ্গে ও গড়ে । 

(গ) নিম্নগতি : নিম্নগতিতে নদীর প্রধান কাজ অবক্ষেপণ । এখানে নদী প্রধানত নদী বাহিত শিলাচূর্ণ, বালি, কাঁকর, কাদা, নুড়ি, পলিমাটি প্রভৃতি জমা করে এবং সমভূমি ও ব-দ্বীপ ভূমি গড়ে তোলে ।

আদর্শ নদী :- কাজ অনুসারে উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত একটি নদীর গতিপথকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (ক) পার্বত্যগতি,  (খ) মধ্যগতি  (গ) নিম্নগতি ।

(ক) পার্বত্যগতি: পার্বত্য গতিতে নদীর প্রধান কাজ ক্ষয় সাধন, এবং ক্ষয় সাধনের সঙ্গে সঙ্গে নদী বহনের কাজ ও করে থাকে ।

(খ) মধ্যগতি: মধ্যগতিতে নদীর প্রধান কাজ বহন । এই পর্যায়ে নদী অবক্ষেপন ও করে, আবার কূল ভাঙ্গে ও গড়ে । 

(গ) নিম্নগতি: নিম্নগতিতে নদীর প্রধান কাজ অবক্ষেপণ । এখানে নদী প্রধানত নদী বাহিত শিলাচূর্ণ, বালি, কাঁকর, কাদা, নুড়ি, পলিমাটি প্রভৃতি জমা করে এবং সমভূমি ও ব-দ্বীপ ভূমি গড়ে তোলে ।

উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত অংশে যে নদীর গতিপ্রবাহে এই তিনটি অবস্থা, যথা:- উচ্চ, মধ্য ও নিম্ন গতিপ্রবাহ ও বিভিন্ন গতিপ্রবাহে নদীর কাজ সুস্পষ্ট ভাবে পরিলক্ষিত হয়, তাকে প্রাকৃতিক দিক থেকে ‘আদর্শ নদী’ বলা হয় ।

গঙ্গা নদীকে আদর্শ নদী বলা হয়:-  কাজ অনুসারে উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত একটি নদীর গতিপথকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (ক) পার্বত্যগতি,  (খ) মধ্যগতি  (গ) নিম্নগতি ।

(ক) পার্বত্যগতি: পার্বত্য গতিতে নদীর প্রধান কাজ ক্ষয় সাধন, এবং ক্ষয় সাধনের সঙ্গে সঙ্গে নদী বহনের কাজ ও করে থাকে ।

(খ) মধ্যগতি: মধ্যগতিতে নদীর প্রধান কাজ বহন । এই পর্যায়ে নদী অবক্ষেপন ও করে, আবার কূল ভাঙ্গে ও গড়ে । 

(গ) নিম্নগতি: নিম্নগতিতে নদীর প্রধান কাজ অবক্ষেপণ । এখানে নদী প্রধানত নদী বাহিত শিলাচূর্ণ, বালি, কাঁকর, কাদা, নুড়ি, পলিমাটি প্রভৃতি জমা করে এবং সমভূমি ও ব-দ্বীপ ভূমি গড়ে তোলে ।

উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত অংশে যে নদীর গতিপ্রবাহের তিনটি অবস্থা, যথা:-  উচ্চ, মধ্য ও নিম্ন গতিপ্রবাহ ও বিভিন্ন গতিপ্রবাহে নদীর কাজ সুস্পষ্ট ভাবে পরিলক্ষিত হয়, তাকে প্রাকৃতিক দিক থেকে ‘আদর্শ নদী’ বলা হয় । উত্তরে হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে । এই দীর্ঘ গতিপথে নদীর গতিপ্রবাহের তিনটি অবস্থাই যথা- উচ্চ, মধ্য ও নিম্নগতি সুস্পষ্ট ভাবে বিদ্যমান, তাই গঙ্গানদীকে ‘আদর্শ নদী’ বলা হয় । গোমুখ থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত ২৩০ কিমি পার্বত্য পথে গঙ্গার গতিকে উচ্চগতি বলে । হরিদ্বার থেকে ধুলিয়ান পর্যন্ত অংশকে গঙ্গার গতিপ্রবাহকে গঙ্গার মধ্যগতি বা সমভূমি প্রবাহ বলে । আর মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের পর থেকে গঙ্গাসাগরের মোহনা পর্যন্ত অংশকে গঙ্গার গতিপ্রবাহকে নিম্ন বা বদ্বীপ প্রবাহ বলে ।

শাখা নদী:- নদীর মূল জলপ্রবাহ থেকে যেসব জলধারা শাখার আকারে বেরিয়ে অন্যত্র পতিত হয়, তাকে শাখানদী বলে ।

উদাহরণ:- গঙ্গার প্রধান শাখা হল পদ্মা ।

উপনদী:- প্রধান নদির গতিপথে অনেকস্থানে ছোট ছোটো নদী এসে মূল নদীতে মিলিত হয়, এইসব ছোটো নদীকে প্রধান নদীর উপনদী বলা হয় ।

উদাহরণ:- যমুনা গঙ্গার একটি উপনদী ।

নদী অববাহিকা:-  যে অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রধান নদী এবং তার শাখানদী ও উপনদী  প্রবাহিত হয় সেই অঞ্চলকে মূল নদীর অববাহিকা বলা হয় ।

উদাহরণ:- উত্তরাখন্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের সমভূমি হল গঙ্গার অববাহিকা ।

নদী উপত্যকা :- নদীর উৎপত্তি স্থল থেকে নদীর মোহনা পর্যন্ত যে খাতের মধ্যদিয়ে নদীর জলধারা প্রবাহিত হয়, সেই খাতকে নদী উপত্যকা বলে ।

*****

Related Items

আউট-ওয়াস সমভূমি ও প্লায়া হ্রদ কাকে বলে উদাহরণ সহ লেখ

প্রশ্ন :- আউট-ওয়াস সমভূমিপ্লায়া হ্রদ কাকে বলে উদাহরণ সহ লেখ ।

উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে তিন রকমের সঞ্চয়জাত সমভূমির বর্ণনা দাও

প্রশ্ন:- উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে তিন রকমের সঞ্চয়জাত সমভূমির বর্ণনা দাও ।

উত্তর:  উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে, সঞ্চয়জাত সমভূমিগুলিকে প্রধান তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা—

সমভূমির বৈশিষ্ট্য কী ? উদাহরণসহ বিভিন্ন প্রকার সমভূমির বর্ণনা দাও

প্রশ্ন:- সমভূমির বৈশিষ্ট্য কী ? উদাহরণসহ বিভিন্ন প্রকার সমভূমির বর্ণনা দাও ।

দুটি উল্লেখযোগ্য মালভূমির বিবর্তন আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- দুটি উল্লেখযোগ্য মালভূমির বিবর্তন আলোচনা কর ।

ছোটনাগপুর মালভূমির বিবর্তন (ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি)

যে-কোনো তিন ধরনের মালভূমি ব্যাখ্যা কর ।

প্রশ্ন :- যে-কোনো তিন ধরনের মালভূমি ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর :- 

১) ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্টি হওয়া মালভূমি, যেমন- পর্বতবেষ্টিত মালভূমি,