Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 12/28/2021 - 20:35

প্রশ্ন : অবঘর্ষ (Abrasion) কী ?

অবঘর্ষ হল এক রকমের ক্ষয়সাধনকারী প্রক্রিয়া । এই ক্ষয়সাধনকারী প্রক্রিয়া (ক) নদী,  (খ) হিমবাহ এবং (গ) বায়ুর ক্ষয়কাজের দ্বারা হতে পারে ।

(ক) নদীর দ্বারা অবঘর্ষ :  নদীবাহিত প্রস্তরখন্ডের সঙ্গে নদীখাতের সংঘর্ষের ফলে নদীখাতে ছোটো ছোটো গর্তের সৃষ্টি হয়, যা নদীখাতকে আরও তাড়াতাড়ি ক্ষয় করতে সাহায্য করে । নদীর ক্ষয়কাজের এই প্রক্রিয়াকে অবঘর্ষ বলে ।

(খ) হিমবাহ দ্বারা অবঘর্ষ:  প্রবাহমান হিমবাহের মধ্যে যেসব পাথরের টুকরো থাকে সেগুলির সঙ্গে পর্বতের সংঘর্ষে পাহাড়ের গা কিংবা হিমবাহ উপত্যকা ক্রমশ ক্ষয়ে গিয়ে মসৃণ হলে তাকে অবঘর্ষ বলে ।

(গ) বায়ুর দ্বারা অবঘর্ষ : বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে ভাসমান বালি, ছোটো ছোটো পাথরখন্ড, শক্ত কোয়ার্টজ কণা প্রভৃতির সঙ্গে ঘর্ষণে শিলাস্তর ক্ষয় পায়, একে অবঘর্ষ বলে । এই রকমের ঘর্ষণে শিলাস্তরে গভীর দাগ, আঁচড়ানোর দাগ বা মৌচাকের মতো অসংখ্য ছোটো ছোটো ছিদ্রের সৃষ্টি হয় । কঠিন শিলাস্তরের তুলনায় কোমল শিলাস্তরে অবঘর্ষের পরিমাণ বেশি হয় । প্রধানত মরুভূমি অঞ্চলে অবঘর্ষের ফলে শিলা গৌর, ইনসেলবার্জ, ভেন্টিফ্যাক্ট, ড্রিকান্টার, ইয়ারদাং, জিউগেন প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় । মরুভূমি অঞ্চলে কঠিন ও কোমল শিলাস্তর ভূমির সঙ্গে পরস্পর সমান্তরালভাবে বিন্যস্ত হয়ে জিউগেন এবং লম্বালম্বিভাবে বিন্যস্ত হয়ে ইয়ারদাং ভূমিরূপ গঠন করে ।

*****

Comments

Related Items

নর্মদা নদী (The Narmada)

নর্মদা নদী (The Narmada) : মহাকাল পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ অমরকন্টক থেকে উৎপন্ন হয়ে নর্মদা নদী উত্তর-পশ্চিমে বেঁকে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র হয়ে গুজরাটের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিন্ধ্য ও সাতপুরার সংকীর্ণ গিরিখাত অতিক্রম করে

ব্রহ্মপুত্র নদ (The Brahmaputra)

ব্রহ্মপুত্র নদ : তিব্বতের মানস সরোবরের নিকটবর্তী চেমায়ুং-দুং হিমবাহ থেকে সাংপো নামে উৎপন্ন হয়ে নামচাবারওয়া শৃঙ্গের কাছে চুলের কাটার মত বেঁকে অরুণাচল প্রদেশের মধ্য দিয়ে ডিহং নামে ভারতে প্রবেশ করেছে । এর মোট দৈর্ঘ্য ২,৯০০ কিমি, এর মধ্

সিন্ধু নদ (The Indus)

সিন্ধু নদ : সিন্ধু নদ তিব্বতের মানস সরোবরের উত্তরে অবস্থিত সিন-কা-বাব জলধারা থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর-পশ্চিমে প্রথমে তিব্বতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পরে লাদাখ অঞ্চল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে । সিন্ধু নদের মোট দৈর্ঘ্য ৩,১৮০ কিমি এবং এর মধ

গঙ্গা নদী (The Ganges)

গঙ্গা নদী : গঙ্গা ভারতের শ্রেষ্ঠ নদী এবং ভারতের দীর্ঘতম নদী । গঙ্গানদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৫১০ কিমি এবং এর মধ্যে ২০১৭ কিমি ভারতে প্রবাহিত । কুমায়ুন হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে ভাগীরথী নামে উৎপন্ন হয়ে সংকীর্ণ গিরিখাতের

ভারতের নদনদী (Rivers of India)

ভারতের নদনদী : ভারতে অসংখ্য নদনদী বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়েছে । উৎস, প্রবাহের অঞ্চল, এবং মোহানা অনুসারে ভারতের নদনদীকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যেমন— (১) উত্তর ভারতের নদী এবং (২) দক্ষিণ ভারতের নদী ।