সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : সালোকসংশ্লেষ (Photosynthesis)
Short question type answer
1. সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত করে ।
2. সালোকসংশ্লেষ উপচিতি জাতীয় বিপাক ক্রিয়া ।
3. সালোকসংশ্লেষ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে অর্থাৎ দিনের বেলায় সম্পন্ন হয় । তবে কৃত্রিম আলোতেও সালোকসংশ্লেষ সম্ভব ।
4. উদ্ভিদের সকল ক্লোরোফিলযুক্ত কোষে বিশেষত পাতার মেসোফিল কলায় সালোকসংশ্লেষ ঘটে ।
5. সবুজ পাতার মেসোফিল কলায় সালোকসংশ্লেষ ঘটে ।
6. যেসব জীবের দেহে ক্লোরোফিল আছে তারাই সালোকসংশ্লেষে সক্ষম । যেমন- সবুজ উদ্ভিদ ।
7. যেসব জীবের দেহে ক্লোরোফিল নেই তারা সালোকসংশ্লেষে অক্ষম । যেমন- প্রাণী, মৃতজীবি উদ্ভিদ (ছত্রাক, মনোট্রপা), পরজীবি উদ্ভিদ (স্বর্ণলতা) প্রভৃতি ।
8. ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ (ইস্ট, অ্যাগারিকাস, পেনিসিলিয়াম), মৃতজীবি সপুষ্পক উদ্ভিদ (মনোট্রপা), সপুষ্পক পরজীবি উদ্ভিদ( স্বর্ণলতা) ইত্যাদি ক্লোরোফিলবিহীন উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষ করতে পারে না ।
9. সালোকসংশ্লেষে সক্ষম দুটি প্রাণীর নাম হল ইউগ্লিনা ও ক্রাইস্যামিবা ।
10. সবুজ উদ্ভিদ ছাড়া স্বভোজি ব্যাকটেরিয়া (ক্লোরোবিয়াম), ইউগ্লিনা ও ক্রাইস্যামিবা নামক প্রাণী সালোকসংশ্লেষে সক্ষম ।
11. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি হল জল (H2O), কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2), সুর্যালোক ও ক্লোরোফিল ।
12. সালোকসংশ্লেষে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলির মধ্যে জল (H2O), কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) কাঁচা মাল হিসাবে পরিচিত ।
13. সালোকসংশ্লেষের উপাদানগুলির মধ্যে ক্লোরোফিল হল আভ্যন্তরীণ উপাদান ।
14. সালোকসংশ্লেষের উপাদানগুলির মধ্যে জল (H2O), কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) ও সুর্যালোক হল বাহ্যিক উপাদান ।
15. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার ক্লোরোফিল উপাদানটি সুর্যালোক শোষনে সক্ষম ।
16. ক্লোরোফিল সুর্যালোকের ফোটন কণা শোষন করে ।
17. সালোকসংশ্লেষে জল(H2O) ও কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) উপাদান দুটির বিক্রিয়ায় গ্লুকোজ তৈরি হয় ।
18. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াটি আলোক দশা ও অন্ধকার দশায় বিভাক্ত ।
19. ক্লোরোপ্লাস্টের গ্রানায় আলোক দশা ঘটে ।
20. ক্লোরোপ্লাস্টের স্ট্রোমায় সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার অন্ধকার দশা ঘটে ।
21. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার অন্ধকার দশায় ব্যবহৃত কাঁচামালটির নাম কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) ।
22. সালোকসংশ্লেষের যে কাঁচামালটি আলোক দশা ও অন্ধকার দশা উভয় দশাতেই ব্যবহৃত হয় তা হল জল (H2O) ।
23. সালোকসংশ্লেষের বিক্রিয়াকালে কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) উপাদানটি বিজারিত হয় ।
24. অন্ধকার দশায় অঙ্গার আত্তীকরণ (Carbon assimilation) ঘটে ।
25. সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষের জন্য যে মৌলকে যৌগরূপে সরাসরি বাতাস থেকে গ্রহন তা হল কার্বন ।
26. উদ্ভিদের যে জৈবিক প্রক্রিয়ায় সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে পরিণত হয় তা হল সালোকসংশ্লেষ ।
27. সালোকসংশ্লেষের আলোক দশায় সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে ATP অণুর মধ্যে আবদ্ধ হয় ।
28. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় সৌরশক্তি স্থৈতিক শক্তিরূপে খাদ্যে আবদ্ধ হয় ।
29. প্রতি গ্রাম-অণু গ্লুকোজে 686 K.Cal ক্যালরি শক্তি আবদ্ধ থাকে ।
30. অন্ধকার দশা বা কেলভিন চক্রের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে ATP ।
31. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় শক্তি আসে সুর্য থেকে ।
32. ATP এর পুরো নাম হল অ্যাডিনোসিন ট্রাই ফসফেট ।
33. ADP এর পুরো নাম হল অ্যাডিনোসিন ডাই ফসফেট ।
34. NADP এর পুরো নাম হল নিকোটিনামাইড অ্যাডিনিন ডাই নিউক্লিওটাইড ফসফেট ।
35. NADPH এর পুরো নাম হল বিজারিত নিকোটিনামাইড অ্যাডিনিন ডাই নিউক্লিওটাইড ফসফেট ।
36. RuBP এর পুরো নাম হল রিবিউলোজ বিস ফসফেট ।
37. PGA ও PGAld এর পুরো নাম হল যথাক্রমে ফসফোগ্লিসারিক অ্যাসিড ও ফসফোগ্লিসারলডিহাইড ।
38. সালোকসংশ্লেষে সাহায্যকারী দুটি কো-এনজাইম বা সহ-উৎসেচক হল NADP ও ADP ।
39. সালোকসংশ্লেষের জন্য প্রয়োজনীয় একটি জৈব উৎসেচক হল RuBisCO বা রিবিউলোজ বিস ফসফেট কার্বক্সিলেজ ।
40. RuDP এর পুরো নাম হল রিবিউলোজ ডাই ফসফেট ।
41. ADP থেকে ATP তৈরি হবার জন্য দরকার Pi বা অজৈব ফসফেট ।
42. সালোকসংশ্লেষের আলোক দশায় NADP হিল বিকারকের কাজ করে ।
43. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন প্রথম স্থায়ী কার্বন যুক্ত যৌগটির নাম ফসফোগ্লিসারিক অ্যাসিড (PGA) ।
44. ফসফোগ্লিসারিক অ্যাসিড (PGA) তিন কার্বন যুক্ত (3-C) যৌগ ।
45. [tex]{H_2}O \mathop \longrightarrow\limits_{Sunlight}^{Chlorophyll}{H^+} + O{H^-}[/tex] বিক্রিয়াটিকে আলোকবিশ্লেষণ বা ফটোলাইসিস বলে ।
46. জলের আলোক বিশ্লেষণ বা ফটোলাইসিসে সাহায্য করে সক্রিয় ক্লোরোফিল ।
47. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় ক্লোরোফিল জৈব অনুঘটক হিসাবে কাজ করে ।
48. জলের ফটোলাইসিস প্রক্রিয়াটি আবিষ্কার করেন রবার্ট হিল ।
49. সালোকসংশ্লেষের অন্ধকার দশাটি উৎসেচক নির্ভার ।
50. সালোকসংশ্লেষের অন্ধকার দশায় কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের প্রয়োজন হয় ।
51. আলোক দশায় জল(H2O) যৌগটি জারিত হয় ।
52. আলোক দশার শেষে NADPH2, ATP ও O2 (অক্সিজেন) উৎপন্ন হয় ।
53. সালোকসংশ্লেষে যে সমস্ত পদার্থ উৎপন্ন হয় তা হল গ্লুকোজ, জল ও অক্সিজেন ।
54. সালোকসংশ্লেষে উপজাত পদার্থরূপে জল ও অক্সিজেন উৎপন্ন হয় ।
55. সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন গ্লুকোজ অবশেষে স্টার্চ বা শ্বেতসারে পরিণত হয় ।
56. গ্লুকোজের উপাদানগুলি হল কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H) ও অক্সিজেন (O) ।
57. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় হাইড্রোজেন গ্রাহক পদার্থ হল NADP ।
58. সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন খাদ্য উদ্ভিদের সঞ্চয়ী অঙ্গে স্টার্চ বা শ্বেতসার রূপে জমা থাকে ।
59. পৃথিবীর যাবতীয় শ্বেতসার জাতীয় পদার্থে কার্বনের উৎস হল কার্বন ডাই-অক্সাইড ।
60. উদ্ভিদের যে জৈবিক ক্রিয়ার ফলে পরিবেশে অক্সিজেন নির্গত হয় তার নাম সালোকসংশ্লেষ ।
61. উদ্ভিদের যে জৈবিক ক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলে CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং O2 (অক্সিজেন) -এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তার নাম সালোকসংশ্লেষ ।
62. সালোকসংশ্লেষের বিপরীত জৈবনিক প্রক্রিয়াটি হল শ্বসন ।
63. সবুজ উদ্ভিদে দিনের বেলায় CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) গ্যাস সৃষ্টি হয় কারণ সবুজ উদ্ভিদে দিনের বেলায় শ্বসন ক্রিয়া চলে ।
64. নিমজ্জিত জলজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষের জন্য প্রয়োজনীয় CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) সংগ্রহ করে জলে দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড বা বাইকার্বনেট ([tex]HCO_3^ - [/tex]) থেকে ।
65. সালোকসংশ্লেষের জন্য স্থলজ উদ্ভিদ মাটির কৈশিক জল (Capillary Water) গ্রহন করে ।
66. পরাশ্রয়ী উদ্ভিদরা সালোকসংশ্লেষের জন্য বায়ুমণ্ডল থেকে জলীয় বাষ্প গ্রহন করে ।
67. পরাশ্রয়ী উদ্ভিদরা ভেলামেনের সাহায্যে বায়ুমণ্ডল থেকে জলীয় বাষ্প গ্রহন করে ।
68. উদ্ভিদের শ্বসন প্রক্রিয়ায় বাযুমণ্ডলের অক্সিজেনের ঘাটতি এবং সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় তার পূরণ হয় ।
69. সালোকসংশ্লেষে ফটোফসফোরাইলেশন প্রক্রিয়ায় ATP উপন্ন হয় ।
70. প্রাণীকোষ ও ছত্রাকে ক্লোরোফিল না থাকায় সালোকসংশ্লেষ হয় না ।
71. রাতে সূর্যালোক না থাকায় সালোকসংশ্লেষ হয় না । তবে উপযুক্ত কৃত্রিম আলোতে সালোকসংশ্লেষ সম্ভব ।
72. প্রধান সালোকসংশ্লেষীয় রঞ্জকটির নাম ক্লোরোফিল ।
73. সূর্যালোকের 400-700 nm আলোক তরঙ্গে সালোকসংশ্লেষ সংঘটিত হয় ।
74. দুটি আনুষাঙ্গিক সালোকসংশ্লেষীয় রঞ্জকের নাম হল ক্যারোটিন ও জ্যান্থোফিল ।
75. সালোকসংশ্লেষে CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) সংবন্ধনকারী পদার্থটির নাম রিবিউলোজ বিস ফসফেট (RuBP) ।
76. কেবল মাত্র কাণ্ডে সালোকসংশ্লেষ ঘটে এরূপ দুটি উদ্ভিদের নাম ফনীমনসা ও বাজবরণ ।
77. গুলঞ্চ, পানিফল ও অর্কিড প্রভৃতির মূলে সালোকসংশ্লেষ ঘটে ।
78. RuBP, কার্বন ডাই-অক্সাইডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ফসফোগ্লিসারিক অ্যাসিড (PGA) উৎপন্ন করে ।
79. মাইটোকনড্রিয়া ও ক্লোরোপ্লাসটিডের মধ্যে ক্লোরোপ্লাসটিডকে খাদ্য তৈরির কারখানা বলে ।
80. যে মৌলিক পদার্থের বা খনিজ পদার্থের অভাবে উদ্ভিদের ক্লোরোসিস হয় তা হল ম্যাগনেসিয়াম (Mg) ।
81. লাল ও বেগুনী বর্ণের আলোতে সালোকসংশ্লেষ সবচেয়ে বেশি হয় ।
82. সালোকসংশ্লেষে উপজাত অক্সিজেনের উৎস হল জল (H2O) ।
83. সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন গ্লুকোজ অণুর অক্সিজেনের উৎস হল কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) ।
84. অন্ধকার দশায় আলোর দরকার হয় না বলে অন্ধকার দশাকে আলোক নিরপেক্ষ দশা বলে ।
85. ক্লোরোপ্লাস্টের স্ট্রোমায় গ্লুকোজ উৎপন্ন হয় ।
86. সালোকসংশ্লেষে সাহায্যকারী যে সমস্ত রঞ্জক শোষিত শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে আবদ্ধ করতে পারে না তা হল ক্যারোটিন ও জ্যান্থোফিল ।
87. সালোকসংশ্লেষের রাসায়নিক সমীকরণটি হল [tex]6C{O_2}+12{H_2}O \mathop \longrightarrow \limits_{Chlorophyll}^{Sunlight}{C_6}{H_{12}}{O_6} + 6{O_2} \uparrow + 6{H_2}O [/tex]
88. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার জারক পদার্থটি হল CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) ও বিজারক পদার্থটি হল H2O ।
89. সালোকসংশ্লেষে সক্ষম একটি এককোষী উদ্ভিদের নাম হল ক্লোরেল্লা নামক এককোষী শ্যাওলা ।
90. অর্কিডের জলীয় বাষ্প শোষণকারী কলার নাম ভেলামেন ।
91. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন জলকে বিপাকীয় জল বলে ।
92. রাত্রে যে উৎসেচকের প্রভাবে অদ্রবণীয় শ্বেতসার উদ্ভিদদেহে পুনরায় দ্রবণীয় গ্লুকোজে পরিণত হয় তা হল ডায়াস্টেজ ।
93. সালোকসংশ্লেষের দুটি অভ্যন্তরীণ প্রভাবকের নাম হল ক্লোরোফিল ও উৎসেচক ।
94. সালোকসংশ্লেষে স্থৈতিক শক্তি গ্লুকোজের মধ্যে আবদ্ধ থাকে ।
95. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় 1-অণু গ্লুকোজ উৎপাদনের জন্য 6 অণু কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) প্রয়োজন ।
96. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় 1-অণু গ্লুকোজ উৎপাদনের জন্য 12 অণু জল (12H2O) প্রয়োজন ।
97. কোষের অ্যামাইলোপ্লাস্টে শ্বেতসার সঞ্চিত থাকে ।
98. সূর্যালোকের যে তেজোময় বা শক্তিময় কণা ক্লোরোফিলকে সক্রিয় করে তাকে ফোটন বলে ।
99. সালোকসংশ্লেষে অঙ্গার আত্তীকরণ (Carbon assimilation) ঘটে অন্ধকার দশায় ।
100. বিজ্ঞানী ব্ল্যাকমান প্রথম প্রমাণ করেন যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াটি আলোক দশা ও অন্ধকার দশায় বিভক্ত ।
101. কেলভিন ও তাঁর সহকর্মীরা ক্লোরেল্লা (Chlorella) নামক সবুজ শ্যাওলার ওপর গবেষণা করে অন্ধকার দশা আবিষ্কার করেন ।
102. জলের ফটোলাইসিসে যে যে আয়ন সাহায্য করে তা হল ম্যাঙ্গানিজ আয়ন (Mn++) ও ক্লোরাইড আয়ন (Cl-) ।
103. ক্লোরোফিল পেট্রোলিয়াম, ইথার, অ্যালকোহল ও ক্লোরোফর্মে দ্রবণীয় ।
104. সবুজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষ তাপগ্রাহী বিক্রিয়া কিন্তু ব্যাকটেরিয়ার সালোকসংশ্লেষ তাপমোচী বিক্রিয়া ।
105. সালোকসংশ্লেষ ছাড়া রাসায়নিক সংশ্লেষ বা কেমোসিন্থেসিস প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপন্ন হতে পারে ।
106. কোষে সঞ্চয়ের জন্য শর্করা উদ্ভিদকোষে শ্বেতসার বা স্টার্চ আর প্রাণীকোষে গ্লাইকোজেন এ রূপান্তরিত হয় ।
107. সালোকসংশ্লেষের যে দশায় CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) বিজারিত হয় তা হল অন্ধকার দশা ।
108. সালোকসংশ্লেষে উপজাত হিসাবে উৎপন্ন অক্সিজেনের উৎস হল জল ।
109. সালোকসংশ্লেষ এক রকমের উপচিতি বিপাক ক্রিয়া ।
110. সালোকসংশ্লেষের ফলে উৎপন্ন গ্লুকোজ অণুর অক্সিজেনের উৎস হল CO2 ( কার্বন ডাই-অক্সাইড) ।
111. পাতায় ক্লোরোফিল থাকায় পাতার সবুজ রং হয় ।
112. ক্লোরোফিল সূর্যালোকের ফোটন কণা শোষণ করে ।
113. সালোকসংশ্লেষের রাসায়নিক সমীকরণটি হল [tex]6C{O_2}+12{H_2}O \mathop \longrightarrow \limits_{Chlorophyll}^{Sunlight}{C_6}{H_{12}}{O_6} + 6{O_2} \uparrow + 6{H_2}O [/tex]
114. ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদে ক্লোরোফিলের অভাবে সালোকসংশ্লেষ হয় না ।
115. সালোকসংশ্লেষে নির্গত অক্সিজেনের উৎস হল শোষিত জল ।
116. সালোকসংশ্লেষের ফলে উদ্ভিদের শুষ্ক ওজন বৃদ্ধি পায় ।
117. ফটোলাইসিস ঘটে ক্লোরোপ্লাস্টের গ্রানা অংশে ।
118. অঙ্গার আত্তীকরণ (Carbon assimilation) ঘটে ক্লোরোপ্লাস্টের স্ট্রোমা অংশে ।
119. সালোকসংশ্লেষে শক্তির উৎস হল সুর্য ।
120. সকল জীবের খাদ্যের উৎস হল সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া ।
121. সালোকসংশ্লেষে উপজাত পদার্থরূপে অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন হয় ।
122. সালোকসংশ্লেষের সময় উদ্ভিদের সঞ্চয় অঙ্গে শ্বেতসার রূপে খাদ্য জমা হয় ।
123. সালোকসংশ্লেষ-এর সময় CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) গ্যাস গৃহিত হয় ।
124. সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন প্রথম স্থায়ী কার্বনযুক্ত যৌগটি হল PGA ।
125. কার্বন ডাই-অক্সাইডের কার্বন গ্লুকোজে অঙ্গীভূত হওয়াকে অঙ্গার-আত্তীকরণ (Carbon assimilation) বলে ।
126. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ।
127. সালোকসংশ্লেষের আলোক দশায় সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে পরিণত হয় ।
128. সালোকসংশ্লেষের অন্ধকার দশায় ATP -এর মধ্যে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি খাদ্যের মধ্যে স্থিতিশক্তি রূপে আবদ্ধ থাকে ।
129. পৃথিবীতে সমস্ত শক্তির মূল উৎস হল সুর্য ।
130. ATP কে এনার্জি কারেন্সি বলে ।
131. উদ্ভিদদেহে ক্লোরোসিস ঘটে ম্যাগনেসিয়াম -এর অভাবে ।
132. সালোকসংশ্লেষের জন্য উন্নত উদ্ভিদে উপস্থিত মূখ্য রঞ্জক হল ক্লোরোফিল ।
133. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় কাঁচামাল হিসেবে CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) ও H2O ব্যবহৃত হয় ।
134. অঙ্গার আত্তিকরণের সময় শক্তির উৎস হল ATP ।
135. উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষ -এর ফলে পরিবেশে O2 (অক্সিজেন) -এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ।
136. CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) অণু এবং H2O অণু সৌরশক্তির সাহায্যে গ্লুকোজ অণুতে পরিণত হয় ।
*****
- 13385 views