সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : শ্বসন (Respiration) :
1. যে জৈবিক প্রক্রিয়ায় কোষমধ্যস্থ খাদ্য জারিত হয়ে খাদ্যস্থ স্থৈস্তিক শক্তি গতিশক্তিতে পরিণত হয় তাকে শ্বসন (Respiration) বলে ।
2. শ্বসনের (Respiration) মূল উদ্দেশ্য হল খাদ্যস্থ স্থৈতিক শক্তিকে গতিশক্তিতে পরিনত করা ।
3. জীব শ্বসনে (Respiration) উৎপন্ন তাপশক্তি বা গতিশক্তি ব্যয় করে দেহের বিভিন্ন জীবন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ।
4. শ্বসন (Respiration) শেষে তাপশক্তি বা গতিশক্তি নির্গত হয় ।
5. প্রত্যেক সজীব কোষে দিবারাত্র (অবিরাম) শ্বসন (Respiration) ঘটে ।
6. শ্বসনের (সবাত শ্বসন) প্রথম পর্যায় অর্থাৎ গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) কোষের সাইটোপ্লাজমে এবং দ্বিতীয় পর্যায় অর্থাৎ ক্রেবস-চক্র (Krebs Cycle) কোষঅঙ্গাণু মাইটোকনড্রিয়ায় (Mitochondria) ঘটে ।
7. যে যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রাণীদেহে শ্বাস গ্রহন (প্রশ্বাস) (Inspiration) ও শ্বাস ত্যাগ (নিশ্বাস) (Expiration) কার্য সম্পন্ন হয়, তাকে শ্বাসকার্য (Breathing) বলে ।
8. শ্বাসকার্যে (Breathing) শক্তির রূপান্তর ঘটে না, কেবল গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে ।
9. প্রাণীদের প্রধান শ্বসন বস্তুটি হল গ্লুকোজ ।
10. শ্বাসকার্যের (Breathing) দুটি পর্যায় , যথা (i) প্রশ্বাস (শ্বাস গ্রহন) ও (ii) নিশ্বাস (শ্বাস ত্যাগ) ।
11. জীবের শ্বসনের (Respiration) জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে গ্রহন করে ।
12. শ্বসন প্রক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে ।
13. শ্বসন প্রক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলে CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) -এর পরিমাণ বাড়ে ।
14. সবুজ উদ্ভিদে দিনের বেলায় CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) গ্যাস উৎপন্ন হয় । কারণ প্রতিটি সজীব কোষে দিনরাত শ্বসন ক্রিয়া চলে ।
15. গাছের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় বায়ুমন্ডলে CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) এর ঘাটতি হয় এবং শ্বসন ক্রিয়ায় তার পূরণ ঘটে ।
16. শ্বসন প্রধানত দুই প্রকার - যথা (i) সবাত শ্বসন (Aerobic Respiration) (ii) অবাত শ্বসন (Anaerobic Respiration) ।
17. সবাত শ্বসনে (Aerobic Respiration) কোষস্থ খাদ্যবস্তুর সম্পূর্ণ জারণ ঘটে ।
18. সবাত শ্বসনে (Aerobic Respiration)মুক্ত বা বায়বীয় অক্সিজেন প্রয়োজন ।
19. সবাত শ্বসনের প্রথম পর্যায়টি হল গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) বা EMP- পথ এম্বডেন মেয়ারহফ পারনাস (Embden Mayerhof Parnes) এবং দ্বিতীয় পর্যায়টি হল ক্রেবস-চক্র (Krebs Cycle) বা সাইট্রিক অ্যাসিড চক্র বা TCA-চক্র ।
20. সবাত শ্বসনের (Aerobic Respiration) প্রথম পর্যায় গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) কোষের সাইটোপ্লাজমে ঘটে এবং দ্বিতীয় পর্যায় ক্রেবস-চক্র (Krebs Cycle) কোষের মাইটোকনড্রিয়ায় (Mitochondria) ঘটে ।
21. সবাত শ্বসনের (Aerobic Respiration)রাসায়নিক সমীকরণটি হল [tex]{C_6}{H_{12}}{O_6} + 6{O_2} \to 6C{O_2} + 6{H_2}O + 686K.Cal[/tex] ।
[tex]{C_6}{H_{12}}{O_6}[/tex] = গ্লুকোজ, [tex]6{O_2}[/tex] = অক্সিজেন, [tex]6C{O_2} [/tex] = কার্বন ডাই-অক্সাইড, [tex]6{H_2}O[/tex] = জল, [tex]686K.Cal[/tex] = শক্তি
22. সবাত শ্বসনে (Aerobic Respiration) এক গ্রাম অণু গ্লুকোজ সম্পূর্ণ জারিত হলে 686 K.Cal পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয় ।
23. যে কোষঅঙ্গাণুর মধ্যে সবাত শ্বসন (Aerobic Respiration) ঘটে তা হল মাইটোকনড্রিয়া (Mitochondria) ।
24. সবাত শ্বসনের প্রথম পর্যায় গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) কোষের সাইটোপ্লাজমে ঘটে ।
25. ক্রেবস-চক্রে (Krebs Cycle) উৎপন্ন একটি ট্রাইকার্বক্সিলিক অ্যাসিডের নাম হল সাইট্রিক অ্যাসিড ।
26. ক্রেবস-চক্র (Krebs Cycle) প্রক্রিয়ার প্রথম জৈব অম্ল -এর নাম সাইট্রিক অ্যাসিড ।
27. সবাত শ্বসনের ক্রেবস-চক্র (Krebs Cycle) পর্যায়টি মাইটোকনড্রিয়ায় (Mitochondria) ঘটে ।
28. যে কোষঅঙ্গাণুর অভাবে জীবদেহে সবাত শ্বসন ব্যাহত হবে তা হল মাইটোকনড্রিয়া (Mitochondria) ।
29. RBC তে মাইটোকনড্রিয়া (Mitochondria) না থাকে সবাত শ্বসন হয় না ।
30. মাইটোকনড্রিয়ার (Mitochondria) প্রধান কাজ হল কোষীয় শ্বসন (বিশেষত ক্রেবস-চক্র) (Krebs Cycle) পরিচালনার মাধ্যমে ATP উৎপাদন ও শক্তি নির্গমন করা ।
31. একটি সজীব কোষের সকল মাইটোকনড্রিয়া (Mitochondria) নষ্ট হলে সবাত শ্বসনের ক্রেবস-চক্র (Krebs Cycle) ঘটবে না ।
32. এক অণু গ্লুকোজ সবাত শ্বসনে সম্পূর্ণ জারিত হয়ে 38 অণু ATP উৎপন্ন করে ।
33. গ্লাইকোলাইসিসের (Glycolysis) শেষে 2 অণু ATP উৎপন্ন হয় ।
34. ক্রেবস-চক্রে (Krebs Cycle) 24 অণু ATP উৎপন্ন হয় ।
35. অবাত শ্বসন কোষের সাইটোপ্লাজমে ঘটে ।
36. এক অণু গ্লুকোজ থেকে গ্লাইকোলাইসিসের (Glycolysis) শেষে 2 অণু পাইরুভিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয় ।
37. গ্লাইকোলাইসিসের (Glycolysis) অপর নাম EMP পথ বা এম্বডেন মেয়ারহফ পারনাস (Embden Mayerhof Parnes) পথ ।
38. ক্রেবস-চক্রের (Krebs Cycle) অপর নাম সাইট্রিক অ্যাসিড চক্র বা TCA চক্র বা ট্রাইকার্বক্সিলিক অ্যাসিড চক্র ।
39. সবাত ও অবাত শ্বসনের সাধারণ পর্যায়টি হল গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) ও সর্বশেষ উৎপন্ন পদার্থটি হল পাইরুভিক অ্যাসিড ।
40. যে উদ্ভিদে অবাত শ্বসন ঘটে তা হল ঈস্ট এবং যে প্রাণীদেহে অবাত শ্বসন ঘটে তা হল ফিতাকৃমি ।
41. ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া, মিথেন ব্যাকটেরিয়া ও সালফার ব্যাকটেরিয়ার দেহে অবাত শ্বসন ঘটে ।
42. অবাত শ্বসনের ফলে উদ্ভিদকোষে ইথাইল অ্যালকোহল (C2H5OH) ও কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয় আর প্রাণীকোষে ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয় ।
43. অবাত শ্বসনের ফলে মানবদেহের ঐচ্ছিক পেশিকোষে ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয় ।
44. অবাত শ্বসনের রাসায়নিক সমীকরণটি হল [tex]{C_6}{H_{12}}{O_6} + 12N{O_3} \to 6C{O_2} + 6{H_2}O + 12N{O_3} + 50 K.Cal[/tex] ।
[tex]{C_6}{H_{12}}{O_6}[/tex] = গ্লুকোজ, [tex] 12N{O_3} [/tex] = নাইট্রেট, [tex]6C{O_2} [/tex] = কার্বন ডাই-অক্সাইড, [tex]6{H_2}O[/tex] = জল, [tex]50 .Cal[/tex] = শক্তি ।
45. অবাত শ্বসনে যেসব অক্সিজেনযুক্ত যৌগ (অজৈব অক্সাইড) অংশ নেয় তার মধ্যে দুটি হল [tex]NO_3^ - [/tex] (নাইট্রেট) ও [tex]SO_4^ = [/tex] (সালফেট) ।
46. যে প্রাণী বায়ুশূন্য স্থানে শ্বসন চালাতে পারে তা হল মনোসিস্টিস (প্রাণী) এবং যে উদ্ভিদ বায়ুশূন্য স্থানে শ্বসন চালাতে পারে তা হল ঈস্ট (ছত্রাকজাতীয় উদ্ভিদ) ।
47. বীজের অঙ্কুরোদগমের সময় উদ্ভিদে অবাত শ্বসন হয় ।
48. আণুবীক্ষনিক ছত্রাক (ঈস্ট) ও ব্যাকটেরিয়া জাতীয় জীবে শ্বসনের সন্ধান (Fermentation) ঘটে ।
49. কোহল সন্ধানে সাহায্যকারী একটি উৎসেচকের (Enzyme) নাম হল জাইমেজ ।
50. সন্ধানকারী একটি ব্যাকটেরিয়ার নাম ল্যাকটোব্যাসিলাস এবং ছত্রাকের নাম ঈস্ট ।
51. যে এক কোষী ছত্রাক মিষ্টি রসকে গাঁজিয়ে দেয় তার নাম ঈস্ট ।
52. কোহল সন্ধানে কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) গ্যাস উৎপন্ন হয় ।
53. ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়ায় ল্যাকটিক অ্যাসিড সন্ধান (Fermentation) ঘটে ।
54. ল্যাকটিক অ্যাসিড সন্ধানে কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) গ্যাস উৎপন্ন হয় না ।
55. কোহল সন্ধানের রাসায়নিক সমীকরণ হল
[tex]{C_6}{H_{12}}{O_6} \mathop \longrightarrow\limits^{Enzyme}{} 2C{H_3}COCOOH \to 2{C_2}{H_5}OH + 2C{O_2} + 50K.Cal[/tex]
56. ল্যাকটিক অ্যাসিড সন্ধানের রাসায়নিক সমীকরণ হল
[tex]{C_6}{H_{12}}{O_6} \mathop \longrightarrow\limits^{Enzyme}{} 2C{H_3}COCOOH \to 2C{H_3}CH(OH)COOH + 36K.Cal[/tex]
57. কয়েকটি সন্ধানীকৃত দ্রব্যের নাম হল সুরা বা অ্যালকোহল, ভিনিগার, ল্যাকটিক অ্যাসিড, দই, ইডলি, ধোসা ।
58. প্রাণীদেহে শ্বসনের বিপরীত জৈবিক প্রক্রিয়াটি হল সালোকসংশ্লেষ ।
59. উদ্ভিদের কোনো নির্দিষ্ট শ্বাসঅঙ্গ নেই । তবে পত্ররন্ধ্র (Stomata) ও সেন্টিসেল (Lenticell) দিয়ে উদ্ভিদ শ্বাসকার্য (Breathing) চালায় ।
60. জলে নিমজ্জিত উদ্ভিদ শ্বসনের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সালোকসংশ্লেষ নির্গত অক্সিজেন ও জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহন করে ।
61. পূর্ণ নিমজ্জিত জলজ উদ্ভিদে শ্বসনে প্রয়োজনীয় গ্যাসের আদানপ্রদান ঘটে সমগ্র উদ্ভিদদেহ দ্বারা ব্যাপন ক্রিয়ার মাধ্যমে ।
62. সুন্দরী, গরাণ, গেঁও, কেওড়া প্রভৃতি লবণাম্বু উদ্ভিদে শ্বাসমূল বা নাসিকামুল বা নিউম্যাটোফোর (Pneumatophore)
থাকে ।
63. গুল্ম ও বৃক্ষজাতীয় কাণ্ডের ত্বকে অবস্থিত যে সকল ডিম্বাকার ছিদ্রের মাধ্যমে গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে তাদের লেন্টিসেল বলে ।
64. আঙ্গুরের রসে গ্লুকোজ থাকে । খোলা বাতাসে রাখলে ইহা সন্ধান (Fermentation) প্রক্রিয়ায় ইথাইল অ্যালকোহল (C2H5OH) তৈরি করবে ও দ্রবণটি গেঁজে উঠবে ।
65. উদ্ভিদের দুটি শ্বাসঅঙ্গের নাম পত্ররন্ধ্র (Stomata) ও লেন্টিসেল (Lenticell) ।
66. প্রহরীকোষ বা রক্ষীকোষ থাকে পাতার পত্ররন্ধ্রে (Stomata) ।
67. যে দুটি অঙ্গ প্রাণীর শ্বাসকার্যে (Breathing) সাহায্য করে তা হল ফুলকা (Gills) (জলজ পরিবেশে) ও ফুসফুস (Lung) (স্থলজ পরিবেশে) ।
68. কেঁচো ও জোঁকের (প্রাণী) ত্বক প্রধান শ্বাসঅঙ্গের কাজ করে ।
69. কেঁচো তার ভিজে ত্বকের মাধ্যমে পরিবেশের সঙ্গে গ্যাসের আদানপ্রদান ঘটায় ।
70. মানুষের প্রধান শ্বাসঅঙ্গ হল তার একজোড়া ফুসফুস ।
71. তিমি ও ডলফিনের শ্বাসঅঙ্গ হল ফুসফুস ।
72. কুমির ও টিকটিকির শ্বাসঅঙ্গ হল ফুসফুস ।
73. অ্যামিবা, স্পঞ্জ ও হাইড্রা (প্রাণীরা) সমগ্র দেহতল দিয়ে গ্যাসীয় পদার্থের আদানপ্রদান ঘটায় ।
74. পতঙ্গ শ্রেণির প্রাণী আরশোলা, প্রজাপতি, ফড়িং প্রভৃতি বায়ুনালি বা ট্রাকিয়ার সাহায্যে শ্বাসকার্য (Breathing) চালায় ।
75. পতঙ্গদের দশজোড়া শ্বাসছিদ্র বা স্পিরাকল আছে ।
76. আরশোলার ট্রাকিয়া বা শ্বাসনালিগুলি যে ছিদ্র দ্বারা পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাকে শ্বাসছিদ্র বা স্পাইরাকল বলে ।
77. ট্রাকিয়া বা শ্বাসনালি শ্বাসঅঙ্গের সাহায্যে O2 (অক্সিজেন) সরাসরি কোষে প্রবেশ করে ।
78. পতঙ্গদের রক্তে কোনো শ্বাসরঞ্জক না থাকায় এদের রক্ত শ্বাসবায়ু পরিবহন করে না ।
79. মাছের শ্বাসঅঙ্গের নাম ফুলকা (Gills)।
80. তিমি, কুমির, কচ্ছপ প্রভৃতি জলজ প্রাণীর শ্বাসঅঙ্গ হল ফুসফুস ।
81. চিংড়ি ও রাজ কাঁকড়ার শ্বাসঅঙ্গের নাম বুক-গিল বা বই ফুলকা (Gills) ।
82. মাকড়সা ও কাঁকড়াবিছের শ্বাসঅঙ্গের নাম বুক লাং (Booklung)বা বই ফুসফুস ।
83. কই, শিঙি ও মাগুর মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র থাকে ।
84. অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র থাকায় কই মাছ বা মাগুর মাছ (জিওল মাছ) বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহন করতে পারে বলে ডাঙ্গায় অনেকক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে ।
85. পক্ষীশ্রেণির প্রাণীর যেমন- পায়রার ফুসফুসে এয়ারস্যাক বা বায়ুথলি থাকে ।
86. পায়রার দেহে 9 টি বায়ুথলি বা এয়ারস্যাক থাকে ।
87. ব্যাঙাচির শ্বাসঅঙ্গের নাম বহিঃফুলকা (External Gills) ।
88. ফুসফুসের আবরণের নাম প্লুরা ।
89. মানব শ্বসনতন্ত্রের বায়ুথলি বা অ্যালভিওলাই -তে গ্যাসীয় পদার্থের আদানপ্রদান ঘটে ।
90. ব্যাঙ (মেরুদন্ডি প্রাণী) জলে ও স্থলে উভয় পরিবেশেই শ্বাসক্রিয়া (Breathing) চালাতে সক্ষম ।
91. অ্যালভিওলাই থাকে ফুসফুসে ।
92. মানুষের দুটি শ্বাস পেশির নাম হল মধ্যচ্ছদা ও ইন্টারকস্টাল (পঞ্জরমধ্যস্থ) ।
93. একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মিনিটে 14-18 বার শ্বাসকার্য চালায় । (শিশুদের শ্বসনহার অপেক্ষাকৃত বেশি, মিনিটে 45-50 বার ) ।
94. দুটি শ্বাস রঞ্জকের উদাহরণ হল হিমোগ্লোবিন ও হিমোসায়ানিন ।
95. অক্সিহিমোগ্লোবিন যৌগ গঠিত হয়ে রক্তে অক্সিজেন পরিবাহিত হয় ।
96. শীত ঘুমের সময় ব্যাঙ ত্বকের সাহায্যে শ্বাসকার্য (Breathing) চালায় ।
97. সবাত শ্বসনে RQ (Respiratory Quotient) -এর মান 1 এবং অবাত শ্বসনে RQ (Respiratory Quotient) -এর মান অসংজ্ঞাত ।
98. মুক্ত অক্সিজেন ছাড়াই শ্বসন হয় এমন একটি প্রাণীর নাম হল ফিতাকৃমি ।
99. শ্বসনে এক অণু গ্লুকোজকে সম্পূর্ণরূপে জারিত করতে 6 অণু অক্সিজেন প্রয়োজন হয় ।
100. মানুষের শ্বাসকেন্দ্র মস্তিষ্কের মেডালা অবলংগাটা ও পনসে অবস্থিত ।
101. গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) ও ক্রেবস চক্রের (Krebs Cycle) মধ্যে যোগসুত্র রচনা করে অ্যাসিটাইল কো (2-C যুক্ত যৌগ) ।
102. অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন প্রক্রিয়ায় সবাত শ্বসনে ATP সৃষ্টি হয় ।
103. অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন ঘটে সবাত শ্বসনের শেষ পর্যায় প্রান্তীয় শ্বসনে ।
104. R.Q. -এর পুরো নাম হল রেসপিরেটরি কোশেন্ট (Respiratory Quotient) ।
105. গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণের জন্য অবাত শ্বসনে কম শক্তি উৎপন্ন হয় ।
106. কই মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র ফুলের মত ।
107. মাগুর মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র বৃক্ষাকার বলে একে শ্বাসবৃক্ষ বলে ।
108. আরশোলার বক্ষ ও উদর অংশ জলে ডুবিয়ে রাখলে আরশোলাটি শ্বাসকার্য চালাতে পারবে না । কারণ বক্ষ ও উদর অংশের দু'পাশে অবস্থিত শ্বাসরন্ধ্রগুলি বন্ধ হয়ে যাবে ।
109. অবাত শ্বসন কোষের সাইটোপ্লাজমে ঘটে ।
110. ATP কে এনার্জি কারেন্সি বলে ।
111. শ্বসনে কোষের শুষ্ক ওজন কমে ।
112. মাইটোকনড্রিয়াকে (Mitochondria) কোষের শক্তিঘর বলে ।
113. সন্ধান (Fermentation) এক বিশেষ ধরনের অবাত শ্বসন ।
114. শ্বসন এক প্রকার অপচিতি বিপাক (Catabolic metabolism) ।
115. ট্রাকিয়া পতঙ্গ শ্রেণির প্রাণীদের প্রধান শ্বাস অঙ্গ ।
116. মধ্যচ্ছদা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শ্বাসকার্যে (Breathing) সাহায্য করে ।
117. TCA চক্রের প্রথম জৈব অম্ল হল সাইট্রিক অ্যাসিড ।
118. শ্বাসমূল (Pneumatophore) দেখা যায় লবণাম্বু উদ্ভিদে ।
119. পেশির ক্লান্তি ঘটায় ল্যাকটিক অ্যাসিড ।
120. পেশিকোষে অবাত শ্বসনের ফলে উৎপন্ন পদার্থটির নাম ল্যাকটিক অ্যাসিড ।
121. পতঙ্গের রক্তে কোনো শ্বাসরঞ্জক থাকে না, তাই এদের রক্ত শ্বাসবায়ু পরিবহন করে না ।
122. জলজ প্রাণীদের প্রধান শ্বাসঅঙ্গ হল ফুলকা (Gills) ও স্থলজ প্রাণীদের প্রধান শ্বাসঅঙ্গ হল ফুসফুস (Lung) ।
123. জিওল মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র থাকে ।
124. ঈস্ট নামক এককোষী ছত্রাকে কোহল সন্ধান (Alcoholic Fermentation) ঘটে ।
125. অ্যালভিওলাই পাওয়া যায় ফুসফুসে ।
126. আরশোলার দেহের দু-পাশে মোট দশজোড়া শ্বাসছিদ্র বর্তমান ।
127. শ্বসন প্রক্রিয়ায় খাদ্যস্থ স্থৈতিক শক্তি তাপশক্তি রূপে মুক্ত হয় ।
128. পরিবেশে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের সমতা বজায় রাখতে সালোকসংশ্লেষ ও শ্বসন প্রক্রিয়া সাহায্য করে ।
129. গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) হল সবাত শ্বসন, অবাত শ্বসন ও সন্ধানের সাধারণ পর্যায় ।
130. গ্লাইকোলাইসিসে (Glycolysis) গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ ঘটে ।
131. স্তন্যপায়ীর RBC -তে গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis) প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপন্ন হয় ।
132. শ্বসনে উৎপন্ন দুষণকারক গ্যাসটি হল CO2 (কার্বন ডাই-অক্সাইড) ।
*****
- 24068 views