প্রবাহী তড়িৎবিজ্ঞান (Current Electricity)

Submitted by arpita pramanik on Thu, 05/26/2011 - 11:20

প্রবাহী তড়িৎবিজ্ঞান (Current Electricity)

 

 

ওহমের সূত্র [Ohm’s Law]:-

1826 খ্রিস্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী জর্জ সাইমন ওহম প্রবাহমাত্রা ও বিভব-প্রভেদের মধ্যে সম্পর্ক একটি সূত্রের আকারে প্রকাশ  করেন । সূত্রটি ওহমের সুত্র নামে পরিচিত । সূত্রটি হল— উষ্ণতা ও অন্যান্য ভৌত অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে, কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহমাত্রা ওই পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব-প্রভেদের সমানুপাতিক হয় । ভৌত অবস্থা বলতে পরিবাহীর উপাদান, ঘনত্ব, দৈর্ঘ্য, প্রস্থচ্ছেদ ইত্যাদি বোঝায় ।

মনে করা যাক XY একটি পরিবাহী । এর X এবং Y প্রান্তের বিভব যথাক্রমে VX এবং VY । এখন VX > VY হলে, পরিবাহীতে X থেকে Y -এর দিকে তড়িৎপ্রবাহ হবে । এখন তড়িৎপ্রবাহমাত্রা = i হলে;  ওহমের সূত্রানুসারে, উষ্ণতা ও অন্যান্য ভৌত অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে[tex]i \propto (V_X - V_Y[/tex]

বা,[tex] \frac {V_X - V_Y}{i}=R[/tex], যেখানে R = একটি ধ্রুবক ।

[tex]V_X - V_Y = V[/tex] ধরলে, ওহমের সূত্রের গাণিতিক রূপ দাঁড়ায়,

[tex]\frac {V}{i} = R[/tex]বা[tex]V = Ri[/tex],এই ধ্রুবক R-কে পরিবাহীর রোধ বলে ।

অর্থাৎ, বিভব প্রভেদ = রোধ x তড়িৎপ্রবাহমাত্রা ।

 

রোধের সংজ্ঞা [Definition of Resistance]:- পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য পরিবাহীর মধ্যে তড়িৎপ্রবাহ বাধা পায়, তাকে  পরিবাহীর রোধ বলে । ওহমের সূত্র থেকে পাই,

[tex]R = \frac {V}{i}[/tex]অর্থাৎ রোধ = পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব-প্রভেদ / পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহমাত্রা

সুতরাং, ওহমের সূত্র থেকে রোধের সংজ্ঞা পাই, কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব-প্রভেদ এবং ওই পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহমাত্রার অনুপাতকে ওই পরিবাহীর রোধ বলে

আবার[tex]i = \frac {V}{R}[/tex]= ( বিভব-প্রভেদ / রোধ ) থেকে বলা যায়, বিভব-প্রভেদ [V] অপরিবর্তিত রেখে পরিবাহীর রোধ [R] বাড়ালে প্রবাহমাত্রা [i] কমে এবং রোধ কমালে প্রবাহমাত্রা বাড়ে । রোধের মান পরিবাহীর দৈর্ঘ্য, প্রস্থচ্ছেদ এবং উপাদানের ওপর নির্ভর করে ।

 

ওহমীয় পরিবাহী [Ohmic conductor]:- যেসব পরিবাহী ওহম-সূত্র মেনে চলে তাদের ওহমীয় পরিবাহী বলে । যেমন— তামা, অ্যালুমিনিয়াম, লোহা প্রভৃতি বেশির ভাগ ধাতব পরিবাহী ।

 

অ-ওহমীয় পরিবাহী [Non-Ohmic conductor]:- যেসব পরিবাহী ওহম-সূত্র মেনে চলে না তাদের অ-ওহমীয় পরিবাহী বলে । যেমন— ডায়োড, ট্রায়োড প্রভৃতি ভ্যাকুয়াম ভালভ; জার্মেনিয়াম, সিলিকন প্রভৃতি অর্ধপরিবাহী, কিন্তু তড়িৎ-বিশ্লেষ্য ।

রোধের মাত্রা = [বিভব-প্রভেদের মাত্রা] / [তড়িৎ-প্রবাহের মাত্রা] =[tex]\frac{{[M{L^2}{T^{ - 3}}{A^{ - 1}}]}}{{[A]}} = [M{L^2}{T^{ - 3}}{A^{ - 2}}] [/tex]

***

 

Related Items

কার্য ক্ষমতা ও শক্তি (Work, Power and Energy)

কার্য ক্ষমতা ও শক্তি (Work, Power and Energy)

 

শব্দ (Sound)

 শব্দ (Sound)

স্থিতি ও গতি (Rest and Motion)

গতি সংক্রান্ত কয়েকটি রাশি (Some terms related to motion)

 

সরণ (Displacement):

JEXPO Physics Study Reference

জেক্সপো এক্সামের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের বিষয় সমূহ : পরমাণুর গঠন, গ্যাসের ধর্ম, তাপ, আলো : লেন্স ও বিচ্ছুরণ, আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান, তড়িৎ চুম্বকত্ব , প্রবাহী তড়িৎবিজ্ঞান ...

আলো (Light)

আলো (Light)

 

লেন্স কর্তৃক আলোর প্রতিসরণ এবং ফোকাসিং ক্রিয়া [Refraction of light by lens and focusing action]:-