বায়ুর উষ্ণতার তারতম্যের কারণ

Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 08/06/2021 - 11:41

বায়ুর উষ্ণতার তারতম্যের কারণ (Cause of Variation of Atmospheric Temperature) : ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র বায়ুর উষ্ণতা সমান হয় না । নানা কারণে ভূপৃষ্ঠের বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য ঘটে থাকে । যথা — (i) অক্ষাংশ, (ii) উচ্চতা, (iii) স্থলভাগ ও জলভাগের বন্টন, (iv) বায়ূ প্রবাহ,   (v) সমুদ্রস্রোত(vi) ভূমির ঢাল, (vii) মেঘাচ্ছন্নতা ও অধঃক্ষেপণ, (viii) স্বাভাবিক উদ্ভিদ, (ix) মৃত্তিকা, (x) নগরায়ণ ও শিল্পায়ন প্রভৃতির কারণে ভূপৃষ্ঠের বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য ঘটে থাকে ।

(i) অক্ষাংশ (Latitude) : সুর্যরশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার প্রধান উৎস হলেও অক্ষাংশ অনুসারে সূর্যরশ্মির পতনকোণের পার্থক্য ঘটে । নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়লেও নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে যতই মেরু অঞ্চলের দিকে যাওয়া যায় সূর্যরশ্মি ততই তির্যকভাবে পতিত হতে থাকে । লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মি স্বল্পস্থান জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ও অনেক কম বায়ুস্তর ভেদ করে আসে বলে তির্যকরশ্মি তুলনায় লম্বরশ্মিতে উষ্ণতার পরিমাণ অধিক হয় । নিরক্ষরেখা থেকে যতই উত্তর বা দক্ষিণ মেরুর দিকে যাওয়া যায় ততই সূর্যরশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠে তির্যক ভাবে পড়তে থাকে, ফলে নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে উভয় মেরুর দিকে উত্তাপ ক্রমশ কমতে থাকে । সাধারণত, নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে প্রতি ১ অক্ষাংশের তফাতে ০.২৮ সেলসিয়াস হারে উষ্ণতা হ্রাস পায় । নিরক্ষরেখার উভয় দিকে ২৩½ অক্ষাংশ পর্যন্ত স্থান গ্রীষ্মমণ্ডল বা উষ্ণমণ্ডলের অন্তরর্গত । সারা বছর ধরে এই অঞ্চল পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উষ্ণ থাকে । নিরক্ষরেখার উত্তর ও দক্ষিণে ২৩½ থেকে ৬৬½ অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের অন্তরর্গত । এই অঞ্চল গ্রীষ্মে খুব একটা উষ্ণ বা শীতে খুব একটা শীতল হয় না । দুই মেরুর চতুর্দিকে ৬৬½ থেকে ৯০ অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল হিমমণ্ডলের অন্তরর্গত । এই অঞ্চলে সূর্যরশ্মি সবচেয়ে তির্যকভাবে পড়ে । এই সমস্ত কারণে এই অঞ্চল দুটি অত্যন্ত শীতল ।

কলকাতা শহরটি ২২°৩০' উত্তর অক্ষাংশে এবং লন্ডন শহরটি ৫১° উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত হওয়ায় কলকাতা শহরটি তুলনায় নিরক্ষরেখার কাছে অবস্থিত । এজন্য কলকাতার উষ্ণতা লন্ডনের চেয়ে অনেক বেশি হয় ।

(ii) উচ্চতা (Altitude) : উচ্চতা বায়ুমন্ডলের তাপের একটি প্রধান নিয়ন্ত্রক । নিম্ন বায়ুমণ্ডলে ট্রপোস্ফিয়ার স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতা প্রতি ১ কিমিতে সাধারণত ৬.৪° সে. হারে হ্রাস পায় । একে উষ্ণতা হ্রাসের স্বাভাবিক হার বা নরম্যাল ল্যাপস রেট বলে । তাই একই অক্ষাংশে অবস্থান করলেও সমভূমি অপেক্ষা পার্বত্যভূমির উষ্ণতা অনেক কম হয়ে থাকে । শিলিগুড়ি ২৬°৪৩' উত্তর অক্ষাংশে ও দার্জিলিং ২৭°১৩' উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত । শহর দুটি প্রায় একই অক্ষাংশে অবস্থান করলেও অধিক উচ্চতার কারণে শিলিগুড়ি অপেক্ষা দার্জিলিং -এর উষ্ণতা প্রায় ১২° সে. কম হয় ।

ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা কমে যাওয়ার কারণ হল :-

(ক) উপরের বায়ুস্তরে ধূলিকণা কম থাকায়, ঐ বায়ূস্তরের তাপ গ্রহণ ও সংরক্ষণ করার ক্ষমতা কম হয়;

(খ) উপরের বায়ুস্তর অপেক্ষাকৃত হালকা বলে, ঐ স্তরের বায়ু সহজেই তাপ বিকিরণ করে শীতল হয়;

(গ) সূর্যকিরণ বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে আসে, কিন্তু বায়ুর সূর্যকিরণের উত্তাপ সোজাসুজি গ্রহণ করার ক্ষমতা খুব কমই । সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পড়ে ভূপৃষ্ঠকে প্রথমে উত্তপ্ত করে, পরে সেই উত্তপ্ত ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকিরণ করলে বায়ূমন্ডলের সবচেয়ে নীচের স্তর সেই বিকীর্ণ তাপ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ লাভ করে । এজন্য ঠিক ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তরের উপরের স্তরের বায়ু ক্রমশই কম উষ্ণতা লাভ করে বলে ওপরের বায়ুস্তরে উষ্ণতা কম হয়;

(ঘ) ভূপৃষ্ঠের উত্তপ্ত বাতাস হালকা হয়ে ওপরে উঠে যায় এবং সেখানে হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় তা শীতল হয়ে পড়ে ।

বৈপরীত্য উষ্ণতা (Inversion of temperature) : সাধারণ নিয়ম অনুসারে ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর উষ্ণতা কমতে থাকে । শীতের রাতে শান্ত আবহাওয়ায় পার্বত্য উপত্যকা অঞ্চলে অনেক সময় উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতা হ্রাস না পেয়ে বরং বৃদ্ধি পায় । একে বৈপরীত্য উষ্ণতা বা উষ্ণতার উৎক্রম বলা হয় । পার্বত্য উপত্যকা অঞ্চলে রাতের বেলায় শান্ত আবহাওয়ায় পর্বতের ওপরের অংশের বায়ু দ্রুত তাপ বিকিরণ করে শীতল হয়ে পড়লে তা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পর্বতের ঢাল বেয়ে উপত্যকার নীচে নেমে আসতে থাকে এবং পর্বতের নীচের অংশ বেশি ঠান্ডা হয় । একে ক্যাটাবেটিক বায়ু বলে । এই শীতল বায়ু উপত্যকার নীচের উষ্ণ বায়ুকে ঠেলে ঢাল বরাবর ওপরে তুলে দেয় । একে অ্যানাবেটিক বায়ু বলে । তখন উপত্যকার নীচ থেকে যত ওপরে ওঠা যায়, উষ্ণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে । বৈপরীত্য উষ্ণতার কারণে উপত্যাকা অঞ্চলের কৃষিকাজ ব্যাহত হয় । এছাড়াও ভূপৃষ্ঠ বায়ুমন্ডলের তুলনায় দ্রুতহারে তাপ বিকিরণ করে বলে ভূপৃষ্ঠ এবং ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুও বেশি শীতল হয় । অন্যদিকে, বায়ুর পরিবহণ ক্ষমতা কম হওয়ায় উপরের স্তরের বায়ু সহজে শীতল হয় না । এই কারণে বৈপরীত্য উষ্ণতার সৃষ্টি হয় ।

কোনও শৈলাবাসে যেমন- দার্জিলিং গেলে বৈপরীত্য উত্তাপ ব্যাপারটা ভালোভাবে পরিলক্ষিত হয় । ভোরবেলায় এখানে বৈপরীত্য উত্তাপের জন্য উপত্যকাগুলি মেঘে ঢাকা থাকে । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়ূর উষ্ণতা বাড়লে উপত্যকাগুলি মেঘমুক্ত হয় ।

(iii) স্থলভাগ ও জলভাগের বন্টন (Distribution of land and water) : স্থলভাগ ও জলভাগের প্রকৃতিগত তারতম্যের কারণে দিনের বেলা স্থলভাগ জলভাগের তুলনায় অধিক দ্রুত উত্তপ্ত হয় এবং রাতের বেলা দ্রুত শীতল হয়ে থাকে । ফলে দিনের বেলা জলভাগ অপেক্ষা স্থলভাগ অধিক উষ্ণ হয় । রাতের বেলা আবার এর বিপরীত অবস্থা ঘটে । পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ২২°৩০' উত্তর অক্ষাংশ ও মধ্যপ্রদেশের ভোপাল ২৩°১৬' উত্তর অক্ষংশে অবস্থিত । প্রায় একই অক্ষাংশে অবস্থিত হলেও কলকাতার চেয়ে ভোপালের দৈনিক উষ্ণতার প্রসর অনেক বেশি ।

(iv) বায়ুপ্রবাহ (Wind) : ভূপৃষ্ঠের কোনো অঞ্চলের ওপর দিয়ে উষ্ণ বায়ু প্রবাহিত হলে সেখানকার বায়ুর তাপমাত্রা বেশি হয়  আবার কোনো অঞ্চলের ওপর দিয়ে শীতল বায়ু প্রবাহিত হলে সে অঞ্চলের বায়ুর তাপমাত্রা কম হয় । যেমন, গ্রীষ্মকালে উষ্ণ 'লু' বায়ুর প্রভাবে উত্তর ভারতে উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়, আবার শীতল সাইবেরীয় বায়ুর প্রভাবে চিনে শীতকালীন উষ্ণতা হ্রাস পায় ।

(v) সমুদ্রস্রোত (Ocean Currents) : বায়ুর তাপমাত্রার উপর সমুদ্রস্রোতের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় । উপকূলের পাশ দিয়ে প্রবাহিত উষ্ণ স্রোতের প্রভাবে বায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় ও শীতল স্রোতের প্রভাবে বায়ুর উষ্ণতা হ্রাস পায় । যেমন— উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের উপকূলভাগ সারা বছর বরফমুক্ত থাকে । উষ্ণ উত্তর আটলান্টিক স্রোতের প্রভাবে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ ও পশ্চিম ইউরোপের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শীতকালে প্রচন্ড ঠান্ডার হাত থেকে ওখানকার দেশগুলি রক্ষা পেয়েছে । কিন্তু শীতল লাব্রাডার স্রোতের প্রভাবে লাব্রাডার উপকূল বরফে জমে থাকে এবং শীতল বেরিং স্রোতের প্রভাবে জাপানের উত্তর উপকূলীয় অঞ্চল অধিক শীতল হয়ে ওঠে ।

(vi) ভূমির ঢাল (Slope of the Land) : ভূমির ঢালের তারতম্যের জন্য বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য ঘটতে দেখা যায় । ভূমির সূর্যমুখী ঢালে সরাসরি সূর্যকিরণ পড়ার কারণে উষ্ণতা অনেক বেশি হয় । আবার এর বিপরীত ঢালে আলোর ছায়ায় উষ্ণতা তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে । যেমন, মেঘালয় মালভূমির দক্ষিণের সূর্যমুখী ঢাল অপেক্ষা উত্তর ঢালের উষ্ণতা অনেক কম হয় । উত্তর গোলার্ধে হিমালয়, আল্পস প্রভৃতি পর্বতের দক্ষিণদিক নিরক্ষরেখার দিকে ঢালু হওয়ায় তাপমাত্রা বেশি হয়, কিন্তু উত্তর দিক উত্তর মেরুর দিকে ঢালু হওয়ায় তাপমাত্রা খুব কম হয় । 

(vii) মেঘাচ্ছন্নতা ও অধঃক্ষেপণ (Cloudiness) : আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপ মেঘের আবরণে ধাক্কা খেয়ে সম্পূর্ণরূপে মহাশূন্যে ফিরে যেতে পারে না । ফলে নিম্ন বায়ুমন্ডলে উত্তাপ সংরক্ষিত হয় । এই কারণে মেঘমুক্ত রাত্রির তুলনায় মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি অধিক উষ্ণ হয়ে থাকে । আবার জলীয় বাষ্পের তাপ শোষণ ও সংরক্ষণ ক্ষমতা বেশি হওয়ার কারণে অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলের উষ্ণতা কম এবং বৃষ্টিহীন অঞ্চলের উষ্ণতা বেশি হয়ে থাকে । যেমন, ব্রাজিলের মানাউস নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবস্থান করা সত্ত্বেও প্রতিদিন বৃষ্টিপাতের কারণে এখানকার গড় উষ্ণতা থাকে ২৬° সে. । আবার কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি পশ্চিমবঙ্গের গ্রীষ্মকালীন প্রখর উষ্ণতাকে কিছুটা কমিয়ে দেয় ।

(viii) স্বাভাবিক উদ্ভিদ (Vegetation cover) : স্বাভাবিক উদ্ভিদের ঘন অরণ্যের মধ্যে সূর্যালোক সহজে প্রবেশ করতে পারে না বলে অরণ্যাঞ্চলের উষ্ণতা সাধারণত কম হয় । মাটি থেকে উদ্ভিদ যে রস শোষণ করে, সেই রস বাষ্পের আকারে পাতা দিয়ে বায়ুতে ছেড়ে দেয় । ফলে বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । এই কারণে অরণ্যের বাতাস আর্দ্র হয় বলে সেখানকার উষ্ণতার হ্রাস বা বৃদ্ধি বিশেষ ঘটে না । এই কারণে ব্রাজিলের সেলভা অরণ্যাঞ্চলের উষ্ণতা স্বাভাবিকের তুলনায় কম হয় । আবার জলীয়বাষ্প বৃষ্টিপাত ঘটাতে সাহায্য করে । বৃষ্টিপাতের ফলে বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায় । ফলে অরণ্যাঞ্চলে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে উষ্ণতা কম হয়ে থাকে । এই ভাবে স্বাভাবিক উদ্ভিদের অবস্থান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বায়ুর তাপমাত্রার ওপর প্রভাব বিস্তার করে ।

(ix) মৃত্তিকা (Nature of Soil) : মৃত্তিকার প্রকারভেদে বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য ঘটে থাকে । কাদাযুক্ত পলি মৃত্তিকার তাপ ধারণ ক্ষমতা বেশি হওয়ার কারণে পলি মৃত্তিকা সমৃদ্ধ অঞ্চলের উষ্ণতা অধিক হয় । আবার পাথুরে ল্যাটেরাইট মৃত্তিকার তাপ ধারণ ক্ষমতা কম বলে এই মৃত্তিকা দ্রুত উষ্ণ বা শীতল হয় । এই কারণে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার পলি মৃত্তিকা অঞ্চলের তুলনায় ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা সমৃদ্ধ বীরভূম জেলার উষ্ণতা চরম প্রকৃতির হয় । আবার মৃত্তিকার রং বায়ুর উষ্ণতার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটায় । হালকা রঙের মৃত্তিকার তুলনায় গাঢ় রঙের মৃত্তিকা অধিক তাপ শোষণ করে উষ্ণ হয়ে উঠে । 

(x) নগরায়ণ ও শিল্পায়ন (Urbanisation and Industrialisation) : নগরায়ণ ও শিল্পায়ন বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতাকে বাড়িয়ে তোলে । নগর ও শহরাঞ্চলে গাছপালা কেটে বাড়িঘর, কলকারখানা প্রভৃতি নির্মাণের ফলে বায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় । কলকারখানা, পরিবহন যান প্রভৃতি থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া বায়ুদূষণ ঘটিয়ে বায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি করে । এই কারণে পার্শ্ববর্তী গ্রামাঞ্চলের থেকে কলকাতার উষ্ণতা স্বাভাবিকের তুলনায় ২° - ৩° সে. বেশি ।

****

Comments

Related Items

কাবেরী নদী (The Kaveri)

কাবেরী নদী (The Kaveri) : কর্ণাটক রাজ্যের তালাকাভেরি উচ্চভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে কাবেরী নদী কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । কাবেরী নদীর দৈর্ঘ্য ৭৬৫ কিমি.

কৃষ্ণা নদী (The Krishna)

কৃষ্ণা নদী (The Krishna) : পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মহাবালেশ্বরের শৃঙ্গের কিছুটা উত্তরে প্রায় ১৪০০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হওয়ার পর কৃষ্ণা নদী দক্ষিণ-পূর্বে তেলেঙ্গানা ও অন্ধপ্রদেশ রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিশাল বদ্বীপ সৃষ্টি করে

গোদাবরী নদী (The Godavari)

গোদাবরী নদী (The Godavari) : গোদাবরী নদী 'দক্ষিণ ভারতের গঙ্গা' নামে পরিচিত । মহারাষ্ট্রের ব্রম্ভগিরি পাহাড়ের ত্র্যম্বক শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে এবং পরে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে গোদাবরী নদী মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ

মহানদী (The Mahanadi)

মহানদী (The Mahanadi) : ছত্তিসগড় রাজ্যের রায়পুর জেলার দক্ষিণাংশের সিয়াওয়া মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্য অতিক্রম করার পর বদ্বীপ সৃষ্টি করে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । মহানদী

তাপী নদী (The Tapti)

তাপী বা তাপ্তি নদী (The Tapti) : মধ্যপ্রদেশের মহাদেব পর্বতের মুলতাই উচ্চভূমির প্রায় ৭৭০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হয়ে তাপী নদী মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের ওপর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে সাতপুরা ও অজন্তার মধ্যবর্তী সংকীর্ণ উপত