বায়ুর আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (Humidity and Precipitation)

Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 09/03/2021 - 18:26

বায়ুর আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ (Humidity and Precipitation):

জলচক্র (Hydrological cycle) : পৃথিবী ও বায়ুমণ্ডলে জল কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় অবস্থায় প্রধানত (১) সাগর ও মহাসাগর, (২) বরফের আচ্ছাদন, (৩) নদনদী ও (৪) ভৌমজল —এই চারটি আধারে অবস্থান করে । বাষ্পীভবন, ঘনীভবন ও অধঃক্ষেপণের মাধ্যমে জলের এক আধার থেকে অন্য আধারে অবিরাম প্রবাহের প্রক্রিয়াকে জলচক্র বলে ।

(i) বাষ্পীভবন, (ii) ঘনীভবন ও (iii) অধঃক্ষেপণ এই তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে জলচক্রে জলের আবর্তন হয় ।   

(i) বাষ্পীভবন (Evaporation) : জল থেকে বাষ্পে রূপান্তরীকরণের প্রক্রিয়াকে বাষ্পীভবন বলে । সৌরশক্তির দ্বারা ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয় । এই তাপশক্তি পরিবাহিত হয়ে সমুদ্র, নদী, খাল, বিল, জলাশয় প্রভৃতির জলকে বাষ্পীভূত করে জলীয় বাষ্পে পরিণত করে । আবার মাটি এবং গাছপালা থেকেও জল বাষ্পীভূত হয় । বাষ্পীভবনের পরিমাণ নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলের দিকে ক্রমশ কমতে থাকে ।

(ii) ঘনীভবন (Condensation) : সাগর, মহাসাগর, নদনদী ও অন্যান্য তরল আধারের জল বাষ্পীভবনের মাধ্যমে ওপরে উঠে বায়ুমণ্ডলে মেশে । জলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলের ধুলিকণাকে আশ্রয় করে ঘনীভূত হয় ও প্রথমে মেঘ তৈরি করে এবং পরে ওই বায়ুতে ভাসমান জলীয় বাষ্প ঘনীভবনের দ্বারা জলকণা বা বরফকণায় রূপান্তরিত হয় ।    

(iii) অধঃক্ষেপণ (Precipitation) : ঘনীভবনের দ্বারা রূপান্তরিত জলকণা ও বরফকণাসমূহ আবার বৃষ্টিপাতসহ বিভিন্নরূপে অধঃক্ষেপণের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয় । এভাবে জলের বিভিন্ন অবস্থায় আবর্তনের ফলে জলচক্রের সৃষ্টি হয় ।

*****

Comments

Related Items

কাবেরী নদী (The Kaveri)

কাবেরী নদী (The Kaveri) : কর্ণাটক রাজ্যের তালাকাভেরি উচ্চভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে কাবেরী নদী কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । কাবেরী নদীর দৈর্ঘ্য ৭৬৫ কিমি.

কৃষ্ণা নদী (The Krishna)

কৃষ্ণা নদী (The Krishna) : পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মহাবালেশ্বরের শৃঙ্গের কিছুটা উত্তরে প্রায় ১৪০০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হওয়ার পর কৃষ্ণা নদী দক্ষিণ-পূর্বে তেলেঙ্গানা ও অন্ধপ্রদেশ রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিশাল বদ্বীপ সৃষ্টি করে

গোদাবরী নদী (The Godavari)

গোদাবরী নদী (The Godavari) : গোদাবরী নদী 'দক্ষিণ ভারতের গঙ্গা' নামে পরিচিত । মহারাষ্ট্রের ব্রম্ভগিরি পাহাড়ের ত্র্যম্বক শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়ে এবং পরে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে গোদাবরী নদী মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ

মহানদী (The Mahanadi)

মহানদী (The Mahanadi) : ছত্তিসগড় রাজ্যের রায়পুর জেলার দক্ষিণাংশের সিয়াওয়া মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্য অতিক্রম করার পর বদ্বীপ সৃষ্টি করে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে । মহানদী

তাপী নদী (The Tapti)

তাপী বা তাপ্তি নদী (The Tapti) : মধ্যপ্রদেশের মহাদেব পর্বতের মুলতাই উচ্চভূমির প্রায় ৭৭০ মিটার উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হয়ে তাপী নদী মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের ওপর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে সাতপুরা ও অজন্তার মধ্যবর্তী সংকীর্ণ উপত