ভারতের প্রধান ঋতু — গ্রীষ্মকাল

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 11/15/2014 - 10:43

গ্রীষ্মকাল (Summer) :

(১) এপ্রিল থেকে জুন মাসে ভারতের সর্বত্র বেশি তাপমাত্রা অনুভুত হয়, এই সময়টি তাই গ্রীষ্মকাল নামে পরিচিত ।

(২) মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে এবং জুন মাসের শুরুতে উত্তর ভারতের সমভূমি অঞ্চলে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ হয় । উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজস্থানে ৪৫° থেকে ৫৫° সেলসিয়াস এবং দিল্লি ও মধ্যভারতে ৪০° থেকে ৪৫° সেলসিয়াস এবং দক্ষিণ ভারতে ৩৫° থেকে ৪৫° সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা দেখা যায় । এই সময় উচ্চতা এবং সমুদ্রের সমভাবাপন্ন জলবায়ুর প্রভাবে দক্ষিণ ভারতের মালভূমি অঞ্চলে উত্তর ভারতের সমভূমির তুলনায় কিছুটা কম তাপমাত্রা থাকে । মোটামুটি ৩৫° থেকে ৪০° সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকে ।

(৩) গ্রীষ্মকালে উত্তর ভারতের থর মরুভূমি থেকে শুরু করে ছোটনাগপুর মালভূমি পর্যন্ত স্থানের বায়ুতে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় । কিন্তু এই সময় উত্তর ভারতের সমভূমির তুলনায় কিছুটা শীতল হওয়ায় দাক্ষিণাত্যের মালভূমি অঞ্চলের বায়ুতে খানিকটা উচ্চচাপ বজায় থাকে যা আরব সাগর থেকে ভারতে জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ুপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে ।

(৪) এই সময় পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি থেকে উত্তর ভারতের সমভূমি অঞ্চলে মাঝে মাঝে কালবৈশাখীর মতো প্রবল ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসে ।

লু (loo) : গ্রীষ্মকালে বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে ভারতের উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, বিহার প্রভৃতি অঞ্চলে মাথার উপর লম্বভাবে প্রচন্ড সূর্য কিরণের ফলে ভুপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হওয়ার জন্য শোঁ শোঁ শব্দ করে উত্তপ্ত বায়ু প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়, তাকে লু বলে । এই বায়ুর প্রচন্ড উত্তাপের ফলে প্রতি বছর বহু মানুষ ও গবাদি পশু মারা যায় । 

*****

Related Items

নর্মদা নদী (The Narmada)

নর্মদা নদী (The Narmada) : মহাকাল পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ অমরকন্টক থেকে উৎপন্ন হয়ে নর্মদা নদী উত্তর-পশ্চিমে বেঁকে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র হয়ে গুজরাটের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিন্ধ্য ও সাতপুরার সংকীর্ণ গিরিখাত অতিক্রম করে

ব্রহ্মপুত্র নদ (The Brahmaputra)

ব্রহ্মপুত্র নদ : তিব্বতের মানস সরোবরের নিকটবর্তী চেমায়ুং-দুং হিমবাহ থেকে সাংপো নামে উৎপন্ন হয়ে নামচাবারওয়া শৃঙ্গের কাছে চুলের কাটার মত বেঁকে অরুণাচল প্রদেশের মধ্য দিয়ে ডিহং নামে ভারতে প্রবেশ করেছে । এর মোট দৈর্ঘ্য ২,৯০০ কিমি, এর মধ্

সিন্ধু নদ (The Indus)

সিন্ধু নদ : সিন্ধু নদ তিব্বতের মানস সরোবরের উত্তরে অবস্থিত সিন-কা-বাব জলধারা থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর-পশ্চিমে প্রথমে তিব্বতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পরে লাদাখ অঞ্চল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে । সিন্ধু নদের মোট দৈর্ঘ্য ৩,১৮০ কিমি এবং এর মধ

গঙ্গা নদী (The Ganges)

গঙ্গা নদী : গঙ্গা ভারতের শ্রেষ্ঠ নদী এবং ভারতের দীর্ঘতম নদী । গঙ্গানদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৫১০ কিমি এবং এর মধ্যে ২০১৭ কিমি ভারতে প্রবাহিত । কুমায়ুন হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে ভাগীরথী নামে উৎপন্ন হয়ে সংকীর্ণ গিরিখাতের

ভারতের নদনদী (Rivers of India)

ভারতের নদনদী : ভারতে অসংখ্য নদনদী বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়েছে । উৎস, প্রবাহের অঞ্চল, এবং মোহানা অনুসারে ভারতের নদনদীকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যেমন— (১) উত্তর ভারতের নদী এবং (২) দক্ষিণ ভারতের নদী ।