দ্বীপপুঞ্জ, বঙ্গোপসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, আরব সাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ

Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 11/12/2014 - 23:59

দ্বীপপুঞ্জ :- (ক) পূর্ব উপকূলের বঙ্গোপসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ ও (খ) পশ্চিম উপকূলের আরব সাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ :

(ক) পূর্ব উপকূলের বঙ্গোপসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ : ভারতের পূর্ব দিকে কলকাতা থেকে প্রায় ১২৫৫ কিমি ও চেন্নাই থেকে ১১৯১ কিমি দূরত্বে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত প্রায় ৩২৪ টি দ্বীপের মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জই প্রধান । এই অঞ্চলের অন্য সব দ্বীপগুলি আয়তনে খুবই ছোট হওয়ায় ও পানীয় জলের অভাবের জন্য জনবসতিহীন । গোটা আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত— (i) বড়ো আন্দামান ও (ii) ছোট আন্দামান । নিকোরব দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপগুলির মধ্যে দক্ষিণতম প্রান্তে অবস্থিত বৃহৎ নিকবর দ্বীপটি সবচেয়ে বড়ো । এই দ্বীপের দক্ষিণের শেষ প্রান্তটির নাম ইন্দিরা পয়েন্ট, এটি ভারতের দক্ষিণতম স্থল বিন্দু । আন্দামান ও নিকবর দ্বীপপুঞ্জ দুটি ১০° উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত ১০° চ্যানেল নামে গভীর সাগর দ্বারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে । আন্দামান ও নিকবর দ্বীপপুঞ্জ দুটির মোট আয়তন ৮২৯৩ বর্গ কিমি । ভুপ্রাকৃতিক দিক থেকে এরা গভীর সমুদ্রে ডুবে থাকা মায়ানমারের আরাকান ইয়োমা পর্বতের একটি অংশ, যা সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে গিয়ে পূর্ব দিকে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রাজাভা দ্বীপ পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে । আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের নারকনদমব্যারেন দ্বীপে দুটি সবিরাম আগ্নেয়গিরি আছে ।

(খ) পশ্চিম উপকূলের আরব সাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ : ভারতের পশ্চিম দিকে কেরালার মালাবার উপকুল থেকে প্রায় ৩২৪ কিলোমিটার দূরত্বে ৩৬টি ছোট ছোট প্রবাল দ্বীপ নিয়ে লাক্ষা দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত । লাক্ষা, আমিনদিভি ও মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জের সরকারি নাম রাখা হয়েছে লাক্ষাদ্বীপ । লাক্ষা, আমিনদিভি ও মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জের মোট আয়তন ৩২ বর্গকিলোমিটার মাত্র । এই দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড়ো দ্বীপ হল মিনিকয় দ্বীপ । এর আয়তন ৪.৫০ বর্গ কিমি । ভুবিজ্ঞানীদের মতে, আরবল্লী পর্বতের সম্প্রসারিত শিলাস্তরের ওপর যুগ যুগ ধরে আরব সাগরের প্রবাল কীটদের মৃত দেহাবশেষ স্তরে স্তরে সজ্জিত হয়ে এই দ্বীপপুঞ্জের সৃষ্টি হয়েছে ।

*****

Related Items

নর্মদা নদী (The Narmada)

নর্মদা নদী (The Narmada) : মহাকাল পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ অমরকন্টক থেকে উৎপন্ন হয়ে নর্মদা নদী উত্তর-পশ্চিমে বেঁকে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র হয়ে গুজরাটের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিন্ধ্য ও সাতপুরার সংকীর্ণ গিরিখাত অতিক্রম করে

ব্রহ্মপুত্র নদ (The Brahmaputra)

ব্রহ্মপুত্র নদ : তিব্বতের মানস সরোবরের নিকটবর্তী চেমায়ুং-দুং হিমবাহ থেকে সাংপো নামে উৎপন্ন হয়ে নামচাবারওয়া শৃঙ্গের কাছে চুলের কাটার মত বেঁকে অরুণাচল প্রদেশের মধ্য দিয়ে ডিহং নামে ভারতে প্রবেশ করেছে । এর মোট দৈর্ঘ্য ২,৯০০ কিমি, এর মধ্

সিন্ধু নদ (The Indus)

সিন্ধু নদ : সিন্ধু নদ তিব্বতের মানস সরোবরের উত্তরে অবস্থিত সিন-কা-বাব জলধারা থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর-পশ্চিমে প্রথমে তিব্বতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পরে লাদাখ অঞ্চল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে । সিন্ধু নদের মোট দৈর্ঘ্য ৩,১৮০ কিমি এবং এর মধ

গঙ্গা নদী (The Ganges)

গঙ্গা নদী : গঙ্গা ভারতের শ্রেষ্ঠ নদী এবং ভারতের দীর্ঘতম নদী । গঙ্গানদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৫১০ কিমি এবং এর মধ্যে ২০১৭ কিমি ভারতে প্রবাহিত । কুমায়ুন হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে ভাগীরথী নামে উৎপন্ন হয়ে সংকীর্ণ গিরিখাতের

ভারতের নদনদী (Rivers of India)

ভারতের নদনদী : ভারতে অসংখ্য নদনদী বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়েছে । উৎস, প্রবাহের অঞ্চল, এবং মোহানা অনুসারে ভারতের নদনদীকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যেমন— (১) উত্তর ভারতের নদী এবং (২) দক্ষিণ ভারতের নদী ।