থার্মোমিটার স্কেল (Thermometric Scale)
উষ্ণতা মাপার স্কেল তৈরি করার জন্য দুটি নির্দিষ্ট উষ্ণতা স্থির ধরে নেওয়া হয় । এই উষ্ণতা দুটিকে স্থিরাঙ্ক বলে ।
নিম্ন-স্থিরাঙ্ক (Lower fixed point) : প্রমাণ বায়ুমন্ডলীয় চাপে যে উষ্ণতায় বিশুদ্ধ বরফ গলে জলে পরিণত হয় অথবা বিশুদ্ধ জল জমে বরফে পরিণত হয় তাকে নিম্ন-স্থিরাঙ্ক বা হিমাঙ্ক (ice point) বা বরফ বিন্দু (freezing point) বলে ।
ঊর্ধ্ব-স্থিরাঙ্ক (Upper fixed point) : প্রমাণ বায়ুমন্ডলীয় চাপে যে উষ্ণতায় বিশুদ্ধ জল স্টীমে পরিণত হয় তাকে ঊর্ধ্ব-স্থিরাঙ্ক বা স্ফুটনাঙ্ক (Boiling point) বা স্টীম বিন্দু (steam point) বলে ।
প্রাথমিক অন্তর (Fundamental interval) : থার্মোমিটারের নিম্ন-স্থিরাঙ্ক ও ঊর্ধ্ব-স্থিরাঙ্ক দুটির মধ্যবর্তী উষ্ণতার ব্যবধানকে বলা হয় প্রাথমিক অন্তর । এই ব্যবধানকে কয়েকটি সমান অংশে ভাগ করে বিভিন্ন থার্মোমিটার স্কেল তৈরি করা হয় । প্রত্যেক অংশকে ডিগ্রি বলে । আমাদের দেশে সাধারণত দুই রকমের থার্মোমিটার স্কেল চালু আছে ,যথা— (a) সেলসিয়াস স্কেল ও (b) ফারেনহাইট স্কেল ।
(a) সেলসিয়াস স্কেল (Celsius Scale) : সেলসিয়াসকে আগে সেন্টিগ্রেড বলা হত । এই স্কেলে নিম্ন-স্থিরাঙ্ককে 0oC এবং ঊর্ধ্ব-স্থিরাঙ্ককে 100oC ধরে মাঝখানের অংশকে সমান 100 ভাগে ভাগ করা হয় । প্রতি ভাগকে বলা হয় এক ডিগ্রি সেলসিয়াস (oC) । অ্যানডার্স সেলসিয়াস (Celsius) নামে সুইডেনের একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী 1742 খ্রিস্টাব্দে এই স্কেল উদ্ভাবন করেন ।
(b) ফারেনহাইট স্কেল (Farenheit Scale) : এই স্কেলে নিম্ন-স্থিরাঙ্ককে 32oF এবং ঊর্ধ্ব-স্থিরাঙ্ককে 212oF ধরে মাঝখানের অংশকে সমান 180 ভাগে ভাগ করা হয় । প্রতি ভাগকে বলা হয় এক ডিগ্রি ফারেনহাইট (oF) । জি.ডি. ফারেনহাইট নামে একজন বিজ্ঞানী 1720 খ্রিস্টাব্দে এই স্কেল উদ্ভাবন করেন ।
*****
- 5743 views