ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর : গ্যাসের ধর্ম

Submitted by arpita pramanik on Wed, 10/24/2012 - 09:33

ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর : গ্যাসের ধর্ম (Properties of gases) :

প্রশ্ন:- পরম শূন্য তাপমাত্রার মান সেলসিয়াস স্কেলে কত ?

উত্তর:- পরম শূন্য তাপমাত্রার মান সেলসিয়াস স্কেলে -273oC  ।

 

প্রশ্ন:- কেলভিন স্কেলে প্রমাণ তাপমাত্রার মান কত ?

উত্তর:- কেলভিন স্কেলে প্রমাণ তাপমাত্রার মান 273 K  ।

 

প্রশ্ন:- বয়েল ও চার্লসের সূত্র দুটিতেই যে ভৌতরাশিকে ধ্রুবক ধরা হয় তার নাম লেখ ।

উত্তর:- বয়েল ও চার্লসের সূত্র দুটিতেই গ্যাসের ভর-কে ধ্রুবক ধরা হয় ।

 

প্রশ্ন:-  তাপমাত্রার পরম স্কেলে জলের স্ফুটনাঙ্কের মান কত ?

উত্তর:- তাপমাত্রার পরম স্কেলে জলের স্ফুটনাঙ্কের মান (273 + 100)K = 373K ।

 

প্রশ্ন:- পরম শূন্য উষ্ণতায় কোনো আদর্শ গ্যাসের আয়তন কত হবে ?

উত্তর:- পরম শূন্য উষ্ণতায় (-273oC) আদর্শ গ্যাসের আয়তন শূন্য হয় ।

 

প্রশ্ন:- to সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে কেলভিন স্কেলে প্রকাশ করো ।

উত্তর:- সেলসিয়াস স্কেলে কোনো বস্তুর তাপমাত্রা toC হলে কেলভিন স্কেলে ওই তাপমাত্রা T = (273 + t)K ।

 

প্রশ্ন:-  30oC এবং 300K -এর মধ্যে কোন উষ্ণতাটি বেশি ?

উত্তর:-  30oC = (273 + 30)K = 303K,  সুতরাং 30oC এবং 300K -এর মধ্যে  30oC  উষ্ণতাটি বেশি ।  

 

প্রশ্ন:- কোনো একদিনের তাপমাত্রা সেলসিয়াস স্কেলে 32oC হলে কেলভিন স্কেলে এই তাপমাত্রার মান কত ?

উত্তর:- সেলসিয়াস স্কেলে 32oC হলে কেলভিন স্কেলে এই তাপমাত্রার মান হবে = (273 + 32)K = 305K ।

 

প্রশ্ন:- গ্যাসের একটি প্রধান ধর্ম কী ?

উত্তর:- গ্যাসের একটি প্রধান ধর্ম হল গ্যাসকে যে পাত্রে রাখা হয়, গ্যাস সব সময় সেই পাত্রের দেওয়ালে চাপ প্রয়োগ করে । একে গ্যাসীয় চাপ বলে ।

 

প্রশ্ন:-  চার্লসের সূত্রটিতে ধ্রুবক কী কী ?

উত্তর:- চার্লসের সূত্রের ধ্রুবক দুটি হল :  (i) গ্যাসের চাপ এবং  (ii) গ্যাসের ভর ।

 

প্রশ্ন:-  ফারেনহাইট স্কেলে পরমশূন্যের মান কত ?

উত্তর:- ফারেনহাইট স্কেলে পরমশূন্যের মান = -459.4oF ।

 

প্রশ্ন:-  গ্যাসের চাপ এবং বায়ুমন্ডলীয় চাপ মাপতে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলির নাম লেখো ।

উত্তর:- গ্যাসের চাপ মাপতে ম্যানোমিটার এবং বায়ুমন্ডলীয় চাপ মাপতে ব্যারোমিটার যন্ত্র ব্যবহার করা হয় ।

 

প্রশ্ন:- গ্যাসের চাপ বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর:- নির্দিষ্ট উষ্ণতায় আবদ্ধ পাত্রে রাখা কোনো গ্যাস পাত্রের ভেতরের দেওয়ালে একক ক্ষেত্রফলযুক্ত  তলের উপর লম্বভাবে যে বল প্রয়োগ করে তাকে ঐ গ্যাসের চাপ বলে । কোনো পাত্রে আবদ্ধ গ্যাস যদি পাত্রটির ভেতরের দেওয়ালের A ক্ষেত্রফলযুক্ত তালের ওপর  F বল প্রয়োগ করে তবে ওই গ্যাসের চাপ,  P = F/A  অর্থাৎ ,  চাপ = প্রযুক্ত বল / ক্ষেত্রফল

 

প্রশ্ন:- পাস্কাল কী ?

উত্তর:- S.I. পদ্ধতিতে চাপের একক হল পাস্কাল বা নিউটন /মি2

 

প্রশ্ন:- পর পর দুটি ধাক্কার মধ্যে একটি গ্যাসীয় অণু যে দুরত্ব অতিক্রম করে তাকে কী বলে  ?

উত্তর:- পর পর দুটি ধাক্কার মধ্যে একটি গ্যাসীয় অণু যে দুরত্ব অতিক্রম করে তাকে মুক্তপথ বলে  ।

 

প্রশ্ন:-  250cm3  আয়তনের গ্যাস জারে H2S গ্যাস আবদ্ধ আছে । জারটির সাথে একটি চাপ মাপার যন্ত্র ম্যানোমিটার যুক্ত । এখন জারটিতে তাপ প্রয়োগ করা হলে ম্যানোমিটারের পাঠ একই থাকবে, বাড়বে  না কমবে  ? গ্যাসের অণুগুলির গতিশীলতার ভিত্তিতে তোমার উত্তর সমর্থন করো ।

উত্তর:- আবদ্ধ পাত্রে রাখা গ্যাসে তাপ প্রয়োগ করলে গ্যাসে উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় । এরফলে গ্যাসীয় অণুগুলির গড় গতিবেগ তথা ভরবেগ বৃদ্ধি পায় ।  গ্যাসীয় অণুগুলির গ্যাসজারের দেওয়ালের সঙ্গে সংঘর্ষের হার বৃদ্ধি পায় । এইজন্য গ্যাসের চাপ বাড়বে । ফলে ম্যানোমিটারের পাঠ বাড়বে ।  

*****

Related Items

জারণ ও বিজারণ একসঙ্গে ঘটে

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারণ ও বিজারণ প্রক্রিয়া একই সঙ্গে ঘটে । অর্থাৎ, জারণ ও বিজারণ ক্রিয়া পরস্পরের পরিপূরক । কোনো বিক্রিয়ায় জারণ-ক্রিয়া ঘটলেই বিজারণ ক্রিয়াও ঘটবে । এই রকম রাসায়নিক বিক্রিয়াকে রেডক্স বিক্রিয়া বলা হয় । ...

কয়েকটি জারক ও বিজারক পদার্থ

কয়েকটি জারক পদার্থ - ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড, নাইট্রিক অ্যাসিড, অক্সিজেন, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড, ওজোন, পটাশিয়াম ডাই-ক্রোমেট, হাইড্রোজেন পারক্সাইড, ফ্লুওরিন, রেড লেড, তরল ব্রোমিন, ক্লোরিন, কয়েকটি বিজারকের বিজারণ ক্ষমতার উদাহরণ ...

জারণ বিজারণের ইলেক্ট্রনীয় মতবাদ

জারণ ও বিজারণ রসায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিক্রিয়া । সাধারণত কোনো মৌলে বা যৌগে অক্সিজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে হাইড্রোজেনের বিযুক্তিকে জারণ এবং কোনো মৌলে বা যৌগে হাইড্রোজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে অক্সিজেনের বিযুক্তিকে বিজারণ বলা হয় । ...

সমযোজী যৌগগুলির বৈশিষ্ট্য

সাধারণ তাপমাত্রায় বেশির ভাগ সমযোজী যৌগ সাধারণত তরল কিংবা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে কিন্তু বেশি আণবিক গুরুত্ববিশিষ্ট সমযোজী মৌল বা যৌগগুলি কঠিন বা তরল হয় । সমযোজী যৌগে সমযোজী বন্ধন দৃঢ় প্রকৃতির, তার ফলে অণুগুলি স্থায়ী হয় । ...

ইলেক্ট্রনীয় যোজ্যতা বা তড়িৎ-যোজ্যতা

সাধারণ অবস্থায় পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন এবং প্রোটন সংখ্যা সমান হওয়ার জন্য পরমাণু নিস্তড়িৎ হয় । সাধারণ নিয়মে পরমাণুর সংযোগ হওয়ার সময় ধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন এবং অধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ করে । ফলে কোনো পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হয় ...