চার্লসের সূত্রের বিকল্প রূপ

Submitted by arpita pramanik on Wed, 01/09/2013 - 10:28

চার্লসের সূত্রের বিকল্প রূপ (Alternative form of Charles's law) :

চার্লসের সূত্রানুসারে, t1oC উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন [tex]{V_t} = {V_o}\left( {1 + {{{t_1}} \over {273}}} \right) = {V_o}\left( {{{273 + {t_1}} \over {273}}} \right)[/tex]

এখন [tex](273 + {t_1}) = {T_1}K[/tex] 

[tex]\therefore {V_t} = {V_o} \times \frac{{{t_1}}}{{273}}[/tex] ...(i)

 

আবার, t2oC  উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন [tex]{V_2} = {V_o}\left( {1 + \frac{{{t_1}}}{{273}}} \right) = {V_o}\left( {\frac{{273 + {t_2}}}{{273}}} \right)[/tex]

এখন [tex](273 + {t_2}) = {T_2}K[/tex]  [tex]\therefore {V_2} = {V_o} \times \frac{{{t_2}}}{{273}}[/tex] ... (ii)

সমীকরণ (i) ÷ (ii) করে পাই, [tex]\frac{{{V_1}}}{{{V_2}}} = \frac{{{T_1}}}{{{T_2}}}[/tex] বা, [tex]\frac{{{V_1}}}{{{T_1}}} = \frac{{{V_2}}}{{{T_2}}}[/tex] বা [tex]\frac{V}{T}[/tex] = ধ্রুবক

[tex]\therefore[/tex] স্থির চাপে [tex]V \propto T[/tex]

অর্থাৎ, স্থির চাপে নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের আয়তন তার পরম উষ্ণতার সমানুপাতিক— এটাই পরম স্কেল অনুযায়ী চার্লসের সুত্র ।

প্রমাণ চাপ ও উষ্ণতা (Standard Temperature and pressure, STP) : 76 সেন্টিমিটার পারদস্তম্ভের চাপ এবং 0oC বা 273K উষ্ণতাকে একসঙ্গে প্রমাণ চাপ ও উষ্ণতা (STP) বলে ।

*****

Related Items

তড়িৎ-বিশ্লেষণের প্রয়োগ

তীব্র তড়িৎ-ধনাত্মক ধাতুগুলি যেমন - সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি ধাতুগুলিকে তাদের আকরিক থেকে নিষ্কাশিত করা হয় । আবার কতকগুলি ধাতু যেমন - কপার, জিঙ্ক, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতির তড়িৎ-বিশ্লেষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিশোধন করা হয় । ...

কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণ

কপার সালফেট জলে আয়নিত হয়ে কপার (+) এবং সালফেট (-) আয়ন উত্পন্ন করে । সুতরাং, জলীয় দ্রবণে চার প্রকার আয়ন থাকে, দুধরনের ক্যাটায়ান H (+) ও Cu (+) এবং দু ধরনের অ্যানায়ন OH (-) ও সালফেট (-) ।

জলের তড়িৎ-বিশ্লেষণ

বিশুদ্ধ জল তড়িতের কুপরিবাহী, কিন্তু সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার জলে মেশালে ওই জল তড়িতের সুপরিবাহী হয় । এর কারণ হল বিশুদ্ধ জলে খুব কম সংখ্যক অণু H+ এবং OH- আয়নে বিশ্লেষিত অবস্থায় থাকে । ওই জলে সামান্য অ্যাসিড কিংবা ক্ষার যোগ করলে এদের আয়ন ...

তড়িৎ-বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ

যেসব পদার্থ জলে দ্রবীভূত বা গলিত অবস্থায় আয়নে বিশ্লিষ্ট হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ পরিবহনের ফলে নিজেরা রাসায়নিকভাবে বিশ্লিষ্ট হয়ে নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উত্পন্ন হয়, সেই সব পদার্থকে তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে ।

তড়িৎ-পরিবাহী এবং তড়িৎ-অপরিবাহী

যে সব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ-প্রবাহিত করলে তা তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম হয়, তাদের তড়িৎ-পরিবাহী পদার্থ বলে । যেমন; সোনা, রুপো, তামা, প্রভৃতি ধাতু, গ্রাফাইট, সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণ ইত্যাদি । তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম এমন পদার্থগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় --