গ্যাসের সূত্রাবলি (Gas laws)

Submitted by arpita pramanik on Tue, 01/08/2013 - 18:29

গ্যাসের সূত্রাবলি (Gas laws) :

চাপ ও উষ্ণতার পরিবর্তনের সঙ্গে গ্যাসের আয়তনের পরিবর্তনের সূত্রগুলিকে গ্যাসের সুত্র বলে ।

[1] বয়েলের সূত্র (Boyle's Law) : উষ্ণতা স্থির থাকলে, নির্দিষ্ট ভরের যে কোনো গ্যাসের আয়তন ওই গ্যাসের চাপের সঙ্গে ব্যাস্তানুপাতে পরিবর্তিত হয় ।

বয়েলের সূত্রের গাণিতিক রূপ : নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন যদি V হয় এবং এর চাপ P হয়, তাহলে বয়েলের সূত্রানুযায়ী [tex]V \propto {1 \over P}[/tex],যদি উষ্ণতা স্থির থাকে । অথবা, PV = ধ্রুবক । স্থির উষ্ণতায় কোনো নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের চাপ যদি P1, P2, P3 ইত্যাদি হয় এবং আয়তন যথাক্রমে V1, V2, V3 ইত্যাদি হয়, তাহলে বয়েলের সূত্রানুযায়ী P1V1 = P2V2 = P3V3 = K (ধ্রুবক) ।

 

[2] চার্লসের সূত্র (Charles' Law's) : চাপ স্থির থাকলে নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন প্রতি ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধি বা হ্রাসের জন্য ওই গ্যাসের 0oC উষ্ণতায় যে আয়তন হয়, তার [tex]{1 \over 273}[/tex] অংশ যথাক্রমে বৃদ্ধি বা হ্রাস পায় । [tex]{1 \over 273}[/tex] ভগ্নাংশটিকে স্থির চাপে গ্যাসের আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্ক বলা হয় ।

সূত্রের ব্যাখ্যা : চার্লসের সূত্রানুযায়ী এখান ধরা যাক, 0oC উষ্ণতায় কোনো নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন = Vo

অতএব চার্লসের সূত্রানুসারে,

1oC উষ্ণতায় গ্যাসটির আয়তন = [tex]{V_o} + {{{V_o}} \over {273}}[/tex]

2oC উষ্ণতায় গ্যাসটির আয়তন = [tex]{V_o} + {{2{V_o}} \over {273}}[/tex]

toC উষ্ণতায় গ্যাসটির আয়তন = [tex]{V_o} + {{t{V_o}} \over {273}}[/tex]

অর্থাৎ toC উষ্ণতায় গ্যাসটির আয়তন Vt ধরলে, [tex]{V_t} = {V_o}\left( {1 + {1 \over {273}}} \right)[/tex]

এই সমীকরণটি চার্লসের সূত্রের আঙ্কিকরূপ নির্দেশ করে ।

যদি উষ্ণতা বৃদ্ধি না করে হ্রাস করা হয়, তবে toC উষ্ণতা হ্রাসে গ্যাসের আয়তন হবে,[tex]{V_t} = {V_o}\left( {1 - {1 \over {273}}} \right)[/tex]

*****

Related Items

রোধাঙ্ক (Resistivity)

একই প্রস্থচ্ছে এবং একই দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট বিভিন্ন তারের রোধ তারের উপাদানের ওপর নির্ভর করে । যেমন, একই প্রস্থচ্ছেদ এবং একই দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট তামার ও রুপোর তারের রোধ কম । কোনো পদার্থের একক দৈর্ঘ্য এবং একক প্রস্থচ্ছেদবিশিষ্ট তারের রোধকে রোধাঙ্ক বলে । আবার একক প্রস্থচ্ছেদ ...

বিভিন্ন রাশির ব্যবহারিক এবং SI একক

তড়িৎ পরিমাণের ব্যবহারিক এবং SI একক ‘কুলম্ব’ [coulomb] । যে পরিমাণ তড়িৎ সিলভার নাইট্রেট দ্রবণে পাঠালে রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে ক্যাথোডে 0.001118 গ্রাম সিলভার জমা হয়, সেই পরিমাণ তড়িৎকে 1 কুলম্ব [coulomb] ধরা হয় । এর প্রতীক C ।

ওহমের সূত্র (Ohm’s Law)

ওহমের সূত্র থেকে রোধের সংজ্ঞা পাই, কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব-প্রভেদ এবং ওই পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহমাত্রার অনুপাতকে ওই পরিবাহীর রোধ বলে । যেসব পরিবাহী ওহম-সূত্র মেনে চলে তাদের ওহমীয় পরিবাহী বলে । যেমন— তামা, অ্যালুমিনিয়াম, লোহা প্রভৃতি বেশির ...

তড়িচ্চালক বল ও বিভব-প্রভেদ

যে বাহ্যিক কারণ স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে পারে বলবিজ্ঞানে তাকে বল বলা হয় । এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তড়িৎ-কোশের তড়িতাধান চালনা করার ক্ষমতাকে বলা হয় তার 'তড়িচ্চালক বল' । যার প্রভাবে বা যে কারণে তড়িৎ-বর্তনীর কোনো অংশে রাসায়নিক কিংবা অন্য কোনো রকম ...

তড়িৎ-বিভব এবং বিভব-প্রভেদ

কোনো তড়িৎগ্রস্থ বস্তুর তড়িৎ-বিভব বলতে ওই বস্তুর এমন এক তড়িৎ-অবস্থা বোঝায়, যার দ্বারা বোঝা যায় ওই বস্তু অন্য কোনো বস্তুকে তড়িৎ দেবে কিংবা অন্য কোনো বস্তু থেকে তড়িৎ নেবে । অসীম দুরত্ব থেকে একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে ...