দ্রবণের প্রকারভেদ (Types of Solution) :
দ্রবণে দ্রাব (Solute) ও দ্রাবকের (Solvent) ভৌত অবস্থা অনুযায়ী দ্রবণকে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয় । যেমন —
1. কঠিনে কঠিনের দ্রবণ
2. কঠিনে তরলের দ্রবণ
3. তরলে কঠিনের দ্রবণ
4. তরলে তরলের দ্রবণ
5. তরলে গ্যাসের দ্রবণ
6. গ্যাসে গ্যাসের দ্রবণ
1. কঠিনে কঠিনের দ্রবণ : দুই বা ততোধিক কঠিন ধাতু সমসত্ব ভাবে মিশে যে মিশ্র ধাতু উৎপন্ন করে তাকে কঠিন দ্রবণ বলে ।
2. কঠিনে তরলের দ্রবণ : কঠিন দ্রাবকে (Solvent) তরল দ্রাব (Solute) সমসত্ব ভাবে মিশে যে দ্রবণ উৎপন্ন করে তাকে কঠিনে তরলের দ্রবণ বলে । কঠিন সোডিয়াম ধাতু তরল পারদ এর সঙ্গে মিশে যে সমসত্ব দ্রবণ উৎপন্ন করে তাকে সোডিয়াম অ্যামালগাম বলে । একে পারদ সংকর বলা হয় ।
3. তরলে কঠিনের দ্রবণ : তরল দ্রাবকের (Solvent) মধ্যে কঠিন দ্রাব (Solute) দ্রবীভূত হয়ে তরলে কঠিনের দ্রবণ উৎপন্ন হয় । সাধারণ দ্রবণ বলতে এই জাতীয় দ্রবণকে বোঝায় । যেমন আয়োডিন, সালফার, ফসফরাস ইত্যাদি কার্বন ডাই সালফাইডে দ্রবীভূত হয় ।
4. তরলে তরলের দ্রবণ : তরল দ্রাবকের (Solvent) মধ্যে তরল দ্রাব (Solute) দ্রবীভূত হয়ে যে সমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন হয় তাকে তরলে তরলের দ্রবণ বলে । যেমন জলের সঙ্গে অ্যালকোহল মেশালে এই জাতীয় দ্রবণ উৎপন্ন হয় ।
5. তরলে গ্যাসের দ্রবণ : তরল দ্রাবকের (Solvent) মধ্যে গ্যাসীয় দ্রাব (Solute) দ্রবীভূত হয়ে যে সমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন হয় তাকে তরলে গ্যাসের দ্রবণ বলে । জলের মধ্যে দ্রাব্য গ্যাস যেমন অ্যামোনিয়া, কার্বন-ডাই-অক্সাইড দ্রবীভূত হয়ে এই জাতীয় দ্রবণ উৎপন্ন হয় ।
6. গ্যাসে গ্যাসের দ্রবণ : পরস্পর বিক্রিয়া করে না এইরকম দুই বা ততোধিক গ্যাস যে কোন অনুপাতে মিশে সমসত্ব গ্যাসীয় দ্রবণ উৎপন্ন হয় । যেমন বায়ু - নাইট্রোজেন অক্সিজেন জলীয়বাষ্প কার্বন-ডাই-অক্সাইড স্বল্প পরিমাণ নিষ্ক্রিয় গ্যাস নিয়ন আর্গন ইত্যাদির সমসত্ব মিশ্রণ ।
*****