দ্রবণের প্রকারভেদ

Submitted by arpita pramanik on Mon, 09/21/2020 - 22:45

দ্রবণের প্রকারভেদ (Types of Solution) :

দ্রবণে দ্রাব (Solute) ও দ্রাবকের (Solvent) ভৌত অবস্থা অনুযায়ী দ্রবণকে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয় । যেমন —

1. কঠিনে কঠিনের দ্রবণ

2. কঠিনে তরলের দ্রবণ

3. তরলে কঠিনের দ্রবণ

4. তরলে তরলের দ্রবণ

5. তরলে গ্যাসের দ্রবণ

6. গ্যাসে গ্যাসের দ্রবণ

1. কঠিনে কঠিনের দ্রবণ : দুই বা ততোধিক কঠিন ধাতু সমসত্ব ভাবে মিশে যে মিশ্র ধাতু উৎপন্ন করে তাকে কঠিন দ্রবণ বলে ।

2. কঠিনে তরলের দ্রবণ : কঠিন দ্রাবকে (Solvent) তরল দ্রাব (Solute) সমসত্ব ভাবে মিশে যে দ্রবণ উৎপন্ন করে তাকে কঠিনে তরলের দ্রবণ বলে । কঠিন সোডিয়াম ধাতু তরল পারদ এর সঙ্গে মিশে যে সমসত্ব দ্রবণ উৎপন্ন করে তাকে সোডিয়াম অ্যামালগাম বলে । একে পারদ সংকর বলা হয় ।

3. তরলে কঠিনের দ্রবণ : তরল দ্রাবকের (Solvent) মধ্যে কঠিন দ্রাব (Solute) দ্রবীভূত হয়ে তরলে কঠিনের দ্রবণ উৎপন্ন হয় । সাধারণ দ্রবণ বলতে এই জাতীয় দ্রবণকে বোঝায় । যেমন আয়োডিন, সালফার, ফসফরাস ইত্যাদি কার্বন ডাই সালফাইডে দ্রবীভূত হয় ।

4. তরলে তরলের দ্রবণ : তরল দ্রাবকের (Solvent) মধ্যে তরল দ্রাব (Solute) দ্রবীভূত হয়ে যে সমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন হয় তাকে তরলে তরলের দ্রবণ বলে । যেমন জলের সঙ্গে অ্যালকোহল মেশালে এই জাতীয় দ্রবণ উৎপন্ন হয় ।

5. তরলে গ্যাসের দ্রবণ : তরল দ্রাবকের (Solvent) মধ্যে গ্যাসীয় দ্রাব (Solute) দ্রবীভূত হয়ে যে সমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন হয় তাকে তরলে গ্যাসের দ্রবণ বলে । জলের মধ্যে দ্রাব্য গ্যাস যেমন অ্যামোনিয়া, কার্বন-ডাই-অক্সাইড দ্রবীভূত হয়ে এই জাতীয় দ্রবণ উৎপন্ন হয় ।

6. গ্যাসে গ্যাসের দ্রবণ : পরস্পর বিক্রিয়া করে না এইরকম দুই বা ততোধিক গ্যাস যে কোন অনুপাতে মিশে সমসত্ব গ্যাসীয় দ্রবণ উৎপন্ন হয় । যেমন বায়ু - নাইট্রোজেন অক্সিজেন জলীয়বাষ্প কার্বন-ডাই-অক্সাইড স্বল্প পরিমাণ নিষ্ক্রিয় গ্যাস নিয়ন আর্গন ইত্যাদির সমসত্ব মিশ্রণ ।

*****

Comments

Related Items

কার্য ও কার্যের পরিমাপ

বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল এবং ওই বলের প্রয়োগ বিন্দু স্মরণ এর গুণফল দ্বারা কার্যের পরিমাপ করা হয় । কোন বস্তুর উপর একক বল প্রয়োগ করলে যদি বলের প্রয়োগ বিন্দুর স্মরণ বলের অভিমুখে এক একক হয় তাহলে যে কার্য করা হয় তাকে একক কার্য বলে । কার্যের একক, কার্যের ব্যবহারিক একক ...

দ্রবণের বৈশিষ্ট্য

দ্রবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি হল -.দ্রবণে কোন নতুন পদার্থের সৃষ্টি হয় না অর্থাৎ দ্রবণে দ্রাবক (Solvent) ও দ্রাবের (Solute) নিজস্ব ধর্ম বজায় থাকে। দ্রবণের প্রতিটি অংশের উপাদান গঠন এবং ধর্ম একই অর্থাৎ দ্রবণ সবসময় সমসত্ব হবে। দ্রবণের মধ্যে দ্রাবের (Solute) কনাগুলিকে খালি চোখে বা খুব শক্তিশালী অণুবীক্ষণ ..

প্রশমন ক্রিয়া (Neutralisation)

অ্যাসিড ও ক্ষারের মধ্যে যে বিক্রিয়ার ফলে অ্যাসিড ও ক্ষারের ধর্ম সম্পূর্ণভাবে লোপ পেয়ে লবণ ও জল উৎপন্ন হয় সেই বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে ।যেমন তুল্যাঙ্ক পরিমাণ ক্ষার NaOH এর সঙ্গে তুল্যাঙ্ক পরিমাণ অ্যাসিড HCl এর বিক্রিয়ায় NaCl লবণ ও জল উৎপন্ন হয় ...

লবণ ও লবণের ধর্ম

অ্যাসিডের প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু ধাতু বা অপর কোন ধাতুধর্মী মূলক দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিস্থাপিত হয়ে যে যৌগ উৎপন্ন হয় তাকে লবণ বলে। যেমন- সোডিয়াম ক্লোরাইড, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট, জিংক সালফেট, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ইত্যাদি।

ক্ষারক ও ক্ষারকের ধর্ম

ক্ষারকের গুলি হল---ক্ষারকের জলীয় দ্রবণ নির্দেশকের (Indicators) বর্ণ পরিবর্তন করে । যেমন ক্ষারকের জলীয় দ্রবণ লাল লিটমাসকে নীল করে । ক্ষারকের সঙ্গে অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় লবণ এবং জল উৎপন্ন হয় ।